কম্পিউটারে যে কয়টি হার্ডওয়ার আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডয়ারটি’র নাম হলো Hard disk। অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেগুলো বদলানো যায়। এতে কিছু অর্থ খরচ হলেও পিসি’র তেমন কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু Hard disk নষ্ট হলে সেটি বদলানো গেলেও এতে জমা থাকা গুরুত্বপূর্ণ ডাটাগুলো আর ফেরৎ পাওয়া যায় না। Hard disk হলো মেমোরি কার্ডের মত যা আমাদের সমস্ত অডিও, ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্টস ইত্যাদি ডাটা জমা রাখে। Hard disk এর যে জায়গায় ডাটাগুলো জমা থাকে তার নাম হলো Sector।
Bad Sector কিঃ
আমরা যখন Hard disk এ কোন ডাটা জমা করি বা সেভ করি, পেষ্ট করি তখন তাকে বলে Data Write, আর যখন তা বিভিন্ন সফটওয়ারের মাধ্যমে ওপেন করি বা কপি করি তখন তাকে বলে Data Read। যতক্ষণ পর্যন্ত Sector নামের মূল্যবান অংশটুকু ভাল থাকে ততক্ষণ Hard disk ভালভাবে কাজ করতে পারে। Data Write আর Read করতে কোন সমস্যা হয় না। এই Sector এ যখন সমস্যা দেখা দেয় তখন তাকে বলে Bad Sector। Bad Sector এর কারণে কম্পিউটার সঠিক সময়ে Data Write আর Read করতে পারে না বা Data Write/Read করতে দেরী হয়। এ সমস্যা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে হার্ডডিস্কটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায়। তখন হার্ডডিস্কটিতে থাকা সমস্ত ডাটা নষ্ট হয়ে যায় যা ফেরৎ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই Hard disk এর Bad Sector সম্পর্কে সজাগ থাকা দরকার এবং কখনো Bad Sector সমস্যা পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ তা Repair করে নিতে হবে।
Bad Sector Test করাঃ
Hard Disk এ দুই ধরনের Bad Sector পড়তে পারে। একটি Logical অন্যটি Physical। Logical Bad Sector হলো সফটওয়ারগত কারণে Hard Disk এর Sector গুলোতে ডাটা Read/Write এর সমস্যা হওয়া। আর Physical Bad Sector হলো হার্ডডিস্কে আঘাত জনিত কারণে Sector স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া। এটি অনেকটা Scratch পড়া CD’র মত। Physical Bad Sector রিপেয়ার করার তেমন সুযোগ নেই। এটি হার্ডডিস্কে স্থায়ীভাবে নস্ট করে দিতে পারে।
Bad Sector পড়েছে কি না তা Test করার জন্য বিভিন্ন টুল রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিটি ব্রান্ডের নিজস্ব টুল। তবে কিছু লক্ষণ দেখেও Bad Sector অনুমান করা যায়। নিচে কিছু লক্ষণ লেখা হলো।
১। পিসি স্লো হয়ে গেছে বা প্রায় সময় হ্যাং করছে। স্লো সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিলেও ভাল ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে অনুমান করা যায় Bad Sector এর কারণে এটি হচ্ছে।
২। পিসি চলতে চলতে হঠাৎ BSOD (Blue Screen Of Death) আসতে পারে। তার কারণ হলো গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম ফাইল যখন Bad Sector এলাকায় থাকে তখন অপারেটিং সিস্টেম সে ফাইলগুলো পড়তে পারে না। ফলে অপারেটিং সিস্টেম কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে BSOD দেখা যায়। [RAM কিংবা ড্রাইভার সমস্যার কারণেও BSOD দেখা যায়।]
৩। কম্পিউটার বুট না করতে পারে। পিসি চালু হওয়ার পর কালো স্ক্রীন এসে থেমে যায় আর পিসি বুট করে না। Hard Disk পাচ্ছে না বা কোন ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না কিংবা পড়তে পারছে না এরকম মেসেজ আসতে পারে। Bad Sector এর কারণে বায়োস MBR ডিটেক্ট করতে না পারলে এ ধরনের মেসেজ আসতে পারে। [বায়োসে হার্ডডিস্কের সেটিং ঠিক না থাকলে, মাদারবোর্ডে হার্ডডিস্কের ক্যাবল সমস্যার কারণে, হার্ডডিস্কের জাম্পার সমস্যার কারণে, উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল ক্ষতিগ্রস্থ বা মুছে গেলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।]
৪। Windows সেটাপ দিতে গিয়ে হার্ডডিস্ক পাওয়া যাচ্ছে না বা হার্ডডিস্ক Detection করার সময় BSOD দেখা দিচ্ছে বা পিসি রিস্টার্ট দিচ্ছে। কিন্তু পার্টিশান টুলস বা ডস দিয়ে হার্ডডিস্ক পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে অনুমান করতে হবে Bad Sector এর কারণে এটি হচ্ছে। [মাদারবোর্ডে হার্ডডিস্কের ক্যাবল সমস্যার কারণে ও এ ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে।] সেটাপের কোন এক পর্যায়ে সেটাপ থেমে যাচ্ছে আর এগুচ্ছে না এমন ঘটনাও হতে পারে।
৫। Bad Sector জনিত কারণে Partition Create বা Format করতে দেরী হতে পারে। কাজগুলো করার সময় পিসি হ্যাং হতে পারে বা কাজ শেষ নাও হতে পারে।
৬। Physical Bad Sector এর পরিমাণ বেশি হলে খুব নিকট থেকে হার্ডডিস্কের ভিতরে আঘাতের শব্দ শুনা যেতে পারে।
ডাটা রিকভার করাঃ
হার্ডডিস্কে যখন Bad Sector ধরা পড়বে তখন আপনাকে সতর্ক হতে হবে মূল্যবান ডাটাগুলো নিয়ে। প্রথমে মূল্যবান ডাটাগুলো কোথাও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন। কারণ Bad Sector একটু থেকে একটু বাড়তে বাড়তে এক সময় আপনার মূল্যবান ডাটাগুলো Recover করা কঠিন হতে পারে। ডাটা Recover করার আগে হার্ডডিস্কে পূর্ণ বিশ্রামে পাঠান। বিশ্রামের সময়টা হতে পারে ২৪ ঘন্টা বা তারও বেশি। এতে হার্ডডিস্ক ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পাবে। হার্ডডিস্ক যখন ঠান্ডা থাকে তখন ডাটা Read/Write এর ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং আপনি খুব দ্রুত ডাটা কপি করে নিতে পারবেন। ৩০ মিনিট এর মধ্যে ডাটা কপি করার চেষ্টা করুন। ডাটা কপি করার গতি কমে গেলে প্রয়োজনে আবার হার্ডডিস্ক ঠান্ডা করুন। সম্ভব হলে হার্ডডিস্ক পিসি থেকে খুলে ফ্রিজে রেখে দিন। এতে দ্রুত ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পাবে। আপনার অপারেটিং সিস্টেম যদি কাজ করে তাহলে কপি’র কাজটি সেখান থেকে করে নিতে পারেন। যদি অপারেটিং সিস্টেম কাজ না করে তাহলে Windows বা Linux এর Live CD চালিয়ে কাজটি করুন।
যদি নরমাল অবস্থায় ডাটা কপি করা না যায় তাহলে ডিস্ক বা পার্টিশান Clone করে ইমেজ করেও মূল্যবান ডাটা সংরক্ষণ করে নিতে পারে। এ জন্য Data Backup & Recover সফটওয়ার ব্যবহার করতে হবে। যেমন Norton Ghost, Acronis True Image, Paragon Backup and Recovery, Macrium, Kroll Ontrack, SpinRite, EaseUS Partition Master ইত্যাদি টুলস ব্যবহার করা যায়।
Bad Sector এর কারণঃ
এর বেশ কয়েকটি কারণ আছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন কারণের কথা বলেছেন। নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো।
১। Hard disk ঝাঁকুনি, আঘাত বা ধাক্কা লাগার কারণে Bad Sector সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। বিশেষ করে ল্যাপটপ বিভিন্ন দিকে আনা নেয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সেটি কোন কিছু’র সাথে ধাক্কা না লাগে। চলন্ত অবস্থায় ধাক্কা খাওয়া আরো বেশি ক্ষতিকর। তাই ইন্টারনাল হার্ডডিস্ক, এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক, ফ্লাস ড্রাইভ ইত্যাদি পিসিতে সংযুক্ত বা চলন্ত অবস্থায় নাড়া-চাড়া করা উচিত নয়। এতে এগুলোতে Bad Sector সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২। হার্ডডিস্কে সঠিকভাবে পাওয়ার সাপ্লাই হতে না পারলে। বিশেষ করে পোর্টেবল হার্ডডিস্কগুলোতে ইউএসবি ক্যাবলগত সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যে পাওয়ার বিভ্রাট ঘটে। কারণ ইউএসবি ক্যাবল বেশি লম্বা হলে বা পোর্টে সমস্যা থাকলে মাঝে মাঝে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না। এতে পেনড্রাইভ বা ফ্লাস ড্রাইভ সহ সব ডিস্কের ক্ষতি হতে পারে। ইন্টারনাল হার্ডডিস্কের ক্যাবলগত সমস্যার কারণেও একই সমস্যা হতে পারে।
৩। হার্ডডিস্ক অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে। যেমন একটানা ১০-১২ ঘন্টা ধরে পিসি চলছে আবার পিসি থেকে বাতাস চলাচলে সমস্যা থাকার কারণে পিসি অধিক গরম হয়ে যায়। এর ফলে হার্ডডিস্কও মাত্রারিক্ত গরম হতে পারে যা Bad Sector সমস্যা ঘটাতে পারে। গরমের কারণে হার্ডডিস্কের Data Write/Read এর গতিও কমে যেতে পারে।
৪। একই সেক্টরে বার বার কোন ফাইল Replace/Overwrite এর কারণেও Bad Sector সমস্যা ঘটাতে পারে। অথবা হঠাৎ করে পিসি রিস্টার্ট দিলে এতে ডাটা Read/Write হওয়ার কাজটি সঠিকভাবে হতে পারে না যা পরবর্তীতে Bad Sector সমস্যা তৈরি করে। তাই হার্ডওয়ার বা সফটওয়ারগত সমস্যার কারণে পিসি রিস্টার্ট বা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া কোন সফটওয়ার ইনস্টল হওয়ার পরবর্তী রিস্টার্ট নেয়ার সময় কোন প্রোগ্রাম খোলা থাকলে সব প্রোগ্রাম Close করার পর রিস্টার্টের কাজটি করা উচিত।
৬। ভাইরাস সমস্যার কারণেও Hard Disk এ Bad Sector পড়তে পারে। যেমন শক্তিশালী ভাইরাসগুলো সবসময় ওল্টা-পাল্টা অপারেশন নিয়ে ব্যস্থ থাকে। অনেক সময় ইউজার যেটা করছে ভাইরাস করে তার ওল্টো। এতে হার্ডডিস্কের ঘূর্ণন প্রক্রিয়া প্রচন্ড রকম বেড়ে যেতে পারে। তা Hard Disk এ Bad Sector সমস্যা ঘটাতে পারে।
৭।HDD platter এ head এর আঘাত জনিত কারণেও Bad Sector সমস্যা হতে পারে। এটি সাধারণত Manufacturing এর ত্রুটি বা ১ নং সমস্যার কারণে ঘটে থাকে। এটি খুব ক্ষতিকর। এতে HDD Physically Damage হতে পারে যা রিপেয়ার করা খুব একটা সম্ভব হয় না
৭।HDD platter এ head এর আঘাত জনিত কারণেও Bad Sector সমস্যা হতে পারে। এটি সাধারণত Manufacturing এর ত্রুটি বা ১ নং সমস্যার কারণে ঘটে থাকে। এটি খুব ক্ষতিকর। এতে HDD Physically Damage হতে পারে যা রিপেয়ার করা খুব একটা সম্ভব হয় না
Bad Sector Rpair করা যায় কিভাবেঃ
১। Bad Sector Rpair করার জন্য অনেক কাজ করা যায়। যেমন Check Disk, Scandisk, Formating, HDD Utility টুল (HDD Regenerator, HDAT2) ইত্যাদি ব্যবহার করা।
২। উপরের পদ্ধতিতে কাজ না হলে FDISK দিয়ে ডস মোডে সব পার্টিশান ডিলিট করে নতুনভাবে পার্টিশান তৈরি করতে পারেন। পার্টিশানগুলো সম্ভব হলে ছোট সাইজ দিয়ে করার চেষ্টা করুন। যেমন 10GB, 15GB, 20GB। পার্টিশান তৈরি করার পর ডস মোডে সব ড্রাইভ ফরমেট করতে হবে। ফরমেট করতে হবে নরমাল, Quick Format করা যাবে না। নরমাল Format এর কাজটি কুইক ফরমেটের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। তাই বিরক্ত হয়ে মাঝখানে ফরমেট বন্ধ করবেন না। এতে হার্ডডিস্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। একটি একটি করে সব ড্রাইভ ফরমেট করুন। ফরমেট করার সময় দেখুন কোন্ ড্রাইভটি ফরমেট শেষ করতে পারছে না। ফরমেট শেষ হচ্ছে না ড্রাইভটিতে UN-Recoverable Bad-Sector আছে। তাই পরবর্তীতে FDISK দিয়ে সেই ড্রাইভটি ডিলিট করে দেন। সবশেষে Scandisk এর কাজটি করতে পারেন এখানে। এভাবে আপনি Bad-Sector যুক্ত হার্ডডিস্ক থেকে Bad-Sector বাদ দিতে পারেন। এতে হার্ডডিস্কের সাইজ কমে যাবে। আর তৈরি করা ড্রাইভগুলো পার্টিশান টুল দিয়ে Merge করতে পারেন পছন্দের সাইজ দেয়ার জন্য। এভাবে Physical Bad Sector সমস্যারও সমাধান হয় অনেক ক্ষেত্রে।
৩। পরবর্তী চেষ্টা হিসেবে Low-Lavel Format করা যেতে পারে। এটি খুব শক্তিশালী ফরমেট যা হার্ডডিস্কের সমস্ত ডাটা চিরতরে মুছে ফেলে। তাই Low Label Format করার পর ডাটা ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকে না। Low Label Format এর মাধ্যমে হার্ডডিস্ককে Zero Fill এ পরিণত করে প্রতিটি Sector কে Re-arrange করা হয়। কাজগুলো নতুন ইউজারদের করা উচিত নয়। কারণ ভুল অপারেশনের কারণে যেকোন হার্ডডিস্ক সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। Low Label Format বা হার্ডডিস্ককে Zero Fill এ পরিণত করার জন্য প্রত্যেক ব্রান্ডের হার্ডডিস্ক কোম্পানি নিজস্ব ইউটিলিটি তৈরি করে। ব্রান্ড অনুযায়ী নিজস্ব ইউটিলিটি গুলো ব্যবহার করা উচিত। তবে বর্তমানে খুব উন্নত কিছু টুল বের হয়েছে যা প্রায় সব ব্রান্ডের হার্ডডিস্কে কাজ করতে পারে। আমার প্রিয় সেই রকম কিছু টুল যেগুলো আমি ব্যবহার করে সেরা মনে হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে Active Kill Disk, Darik’s Boot and Nuke, HDDGURULow Level Format Tool Partition Wizard EaseUS® Partition Master ইত্যাদি। আর বিখ্যাত হার্ডডিস্ক ব্রান্ড গুলোর মধ্যে Toshiba, Seagate (আগের Maxtor বর্তমানে Seagate), Samsung এর নিজস্ব ইউটিলিটি রয়েছে। লিনাক্স প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে DD টুল। আর যাদের কাছে Hiren’s BootCD আছে তারা প্রায় সবগুলো টুলস ওখানেই পাবেন।
৪। সবশেষে নতুন একটি হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করে নিতে পারেন। এছাড়া আর কোন বিকল্প আছে বলে আমার মনে হয় না।
২। উপরের পদ্ধতিতে কাজ না হলে FDISK দিয়ে ডস মোডে সব পার্টিশান ডিলিট করে নতুনভাবে পার্টিশান তৈরি করতে পারেন। পার্টিশানগুলো সম্ভব হলে ছোট সাইজ দিয়ে করার চেষ্টা করুন। যেমন 10GB, 15GB, 20GB। পার্টিশান তৈরি করার পর ডস মোডে সব ড্রাইভ ফরমেট করতে হবে। ফরমেট করতে হবে নরমাল, Quick Format করা যাবে না। নরমাল Format এর কাজটি কুইক ফরমেটের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। তাই বিরক্ত হয়ে মাঝখানে ফরমেট বন্ধ করবেন না। এতে হার্ডডিস্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। একটি একটি করে সব ড্রাইভ ফরমেট করুন। ফরমেট করার সময় দেখুন কোন্ ড্রাইভটি ফরমেট শেষ করতে পারছে না। ফরমেট শেষ হচ্ছে না ড্রাইভটিতে UN-Recoverable Bad-Sector আছে। তাই পরবর্তীতে FDISK দিয়ে সেই ড্রাইভটি ডিলিট করে দেন। সবশেষে Scandisk এর কাজটি করতে পারেন এখানে। এভাবে আপনি Bad-Sector যুক্ত হার্ডডিস্ক থেকে Bad-Sector বাদ দিতে পারেন। এতে হার্ডডিস্কের সাইজ কমে যাবে। আর তৈরি করা ড্রাইভগুলো পার্টিশান টুল দিয়ে Merge করতে পারেন পছন্দের সাইজ দেয়ার জন্য। এভাবে Physical Bad Sector সমস্যারও সমাধান হয় অনেক ক্ষেত্রে।
৩। পরবর্তী চেষ্টা হিসেবে Low-Lavel Format করা যেতে পারে। এটি খুব শক্তিশালী ফরমেট যা হার্ডডিস্কের সমস্ত ডাটা চিরতরে মুছে ফেলে। তাই Low Label Format করার পর ডাটা ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকে না। Low Label Format এর মাধ্যমে হার্ডডিস্ককে Zero Fill এ পরিণত করে প্রতিটি Sector কে Re-arrange করা হয়। কাজগুলো নতুন ইউজারদের করা উচিত নয়। কারণ ভুল অপারেশনের কারণে যেকোন হার্ডডিস্ক সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। Low Label Format বা হার্ডডিস্ককে Zero Fill এ পরিণত করার জন্য প্রত্যেক ব্রান্ডের হার্ডডিস্ক কোম্পানি নিজস্ব ইউটিলিটি তৈরি করে। ব্রান্ড অনুযায়ী নিজস্ব ইউটিলিটি গুলো ব্যবহার করা উচিত। তবে বর্তমানে খুব উন্নত কিছু টুল বের হয়েছে যা প্রায় সব ব্রান্ডের হার্ডডিস্কে কাজ করতে পারে। আমার প্রিয় সেই রকম কিছু টুল যেগুলো আমি ব্যবহার করে সেরা মনে হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে Active Kill Disk, Darik’s Boot and Nuke, HDDGURULow Level Format Tool Partition Wizard EaseUS® Partition Master ইত্যাদি। আর বিখ্যাত হার্ডডিস্ক ব্রান্ড গুলোর মধ্যে Toshiba, Seagate (আগের Maxtor বর্তমানে Seagate), Samsung এর নিজস্ব ইউটিলিটি রয়েছে। লিনাক্স প্রোগ্রামের মধ্যে রয়েছে DD টুল। আর যাদের কাছে Hiren’s BootCD আছে তারা প্রায় সবগুলো টুলস ওখানেই পাবেন।
৪। সবশেষে নতুন একটি হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করে নিতে পারেন। এছাড়া আর কোন বিকল্প আছে বলে আমার মনে হয় না।
সতর্কতাঃ হার্ডডিস্কের টুলগুলো চালানোর আগে নিশ্চিত হোন যে, মাঝখানে আপনি অপারেশন বন্ধ করবেন না বা পিসি বন্ধ হবে না। কারণ কাজ চলাবস্থায় বন্ধ হয়ে গেলে হার্ডডিস্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন