রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০১০

Windows xp-র মজা

কম্পিউটারে অনেক বিষয় খুজে পাওয়া যায় যেগুলো খুবই মজার। তেমনি কিছু মজার ব্যপার নিচে দেওয়া হল। উল্লেখ্য যে, ব্যপার গুলো Windows xp service pack 2-তে কাজ করে বা আছে।

Nameless folder

নামহীন ফোল্ডার তৈরীর জন্য New Folder- কে select করে F2 চাপুন। এবার Alt চেপে ধরে 255 অথবা 0160 টাইপ করে Enter press করুন। ব্যস হয়ে গেল নামহীন ফোল্ডার।

CON, PRN, AUX, NUL:

সাধারন ভাবে কম্পিউটারে CON, PRN, AUX, NUL, COM1, COM2, COM3, COM4, COM5, COM6, COM7, COM8, COM9, LPT1, LPT2, LPT3, LPT4, LPT5, LPT6, LPT7, LPT8, LPT9 ইত্যাদি নামে কোন নতুন ফোল্ডার খোলা যায় না। এর মুল কারণ হল উপরের নামগুলো DEVICE এবং PORT-এর নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নিচে সেগুলো বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

CON - CONSOLE
PRN - PRINTER
AUX - AUXILIARY DEVICE
NUL - Bit-bucket device
COM1 - First serial communications port
LPT1 - First parallel printer port
LPT2 - Second parallel printer port
LPT3 - Third parallel printer port
COM2 - Second serial communications port
COM3 - Third serial communications port
COM4 - Fourth serial communications port

মজার বিষয় হল CON, PRN, AUX, NUL নাম গুলো অন্যভাবে লেখা যায়।

(১) New Folder- কে select করে F2 চাপুন। এবার Alt চেপে ধরে 255 অথবা 0160 টাইপ করলে নামহীন ফোল্ডার হবে। এরপর যে নাম লেখতে চান (যেমনঃ CON) তা টাইপ করে Enter press করুন।

(২)Start থেকে Run বাটনে গিয়ে cmd লিখে Enter press করুন।
এবার Command prompt-এ লিখুন md \\.\c:\con এবং Enter press করুন। ব্যস c drive-এ con নামে ফোল্ডার তৈরী হয়ে গেল। আপনি ইচ্ছা করলে ভিন্ন drive বা ভিন্ন নাম ব্যবহার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে md \\.\c:\con-এ আপনার পছন্দনীয় drive বা নাম লিখতে পারেন।
ফোল্ডারটি সাধারন ভাবে Delete হবে না। সে ক্ষেত্রে আগের মত Start থেকে Run বাটনে গিয়ে cmd লিখে Enter press করুন।
এবার Command prompt-এ লিখুন rd \\.\c:\con এবং Enter press করুন। ব্যস c drive-এ con নামে ফোল্ডারটি Delete হয়ে গেল।

Windows Funny Speaks:

(১) প্রথমে control panel-এ যান
(২) "speech" ওপেন করুন
(৩)"preview voice" -এ টাইপ করুন SOY
(৪) "preview voice"-প্রেস করুন

Windows Error Speaks:

(১) প্রথমে control panel-এ যান
(২) "speech" ওপেন করুন
(৩)"preview voice" -এ টাইপ করুন Crotch
(৪) "preview voice"-প্রেস করুন
"Crotch"-এর বদলে "Crow's nest" উচ্চারন করে

Hidden Movie:
Start থেকে Run বাটনে গিয়ে টাইপ করুন telnet towel.blinkenlights.nl
Star Wars মুভি ASCII কোডে দেখা যাব।
[hidden movie দেখতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে]

Windows Classic Scroll Bars:
(১) MS Paint খুলুন
(২) Image অপশন থেকে Attributes-এ যান
(৩) size ৫০x৫০ ইঞ্চি করুন
(৪)OK ক্লিক করুন
(৫)Text Tool সিলেক্ট করুন
(৬)একটি Textbox তৈরী করুন
(৭)এবার খালি জায়গায় ক্লিক করুন
Scroll Bar পরিবর্তন হয়ে যাবে।

Microsoft Word :

Microsoft Word খুলে টাইপ করুন =rand (2, 9)
এটি পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন শব্দের দ্বারা তৈরী একটি text file। আপনি ইচ্ছা করলে 2 এবং 9-র পরিবর্তে অন্য সংখ্যা ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথম সংখ্যা দ্বারা প্যারাগ্রাফ সংখ্যা এবং দ্বিতীয় সংখ্যা দ্বারা প্রতি প্যারাগ্রাফে বাক্য সংখ্যা প্রকাশ করে।

Microsoft Word খুলে ctrl+alt+NumPlus একসঙ্গে প্র্বেস করুন।
Cursor-এর অদ্ভুত shape আসবে।

Windows Welcome Music:
Start থেকে Run বাটনে গিয়ে C:\Windows\system32\oobe\images\title.wma লিখে Enter press করুন।

"0" Blank File এবং Clock AVI File:
কম্পিউটারের WINDOWS ফোল্ডারে 0 নামে একটি text file আছে যা ওপেন করলে ভিতরে কিছুই নেই এবং এটি আদোও কোন কাজে লাগে না।

Clock নামে আরেকটি AVI file আছে যা Windows Media Player-এ চলে। এটি ও অপ্রয়োজনীয় ফাইল।

Candy Cane Pipes:

(১) control panel থেকে Display Properties-এ যান
(২)Screen saver ট্যাব নিবার্চন করে 3D Pipes-এ ক্লিক করুন
(৩)3D Pipes-এর Settings-এ ক্লিক করুন
(৪) এরপর Textured ক্লিক করুন
(৫) এবার Choose Texture ক্লিক করুন
(৬)Cancel ক্লিক করুন
(৭) সবশেষে OK ক্লিক করুন।
পাইপটি ক্যান্ডি কালার হয়ে গেছে


Source: http://www.somewhereinblog.net/blog/TUSHARZIA/28975502।


অফলাইনে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা

ব্যক্তিগত বা অফিসের কমপিউটারকে সুরক্ষিত করতে চান সবাই। আপনি যদি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে এই কমপিউটারকে ভাইরাস, ট্রোজান, ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার থেকে রক্ষা করতে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে। বলা যায়, অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করাটা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক। বাজারে ও ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের প্রচুর অ্যান্টিভাইরাস রয়েছে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে দেখতে পারেন, তবে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার আগে এর রিভিউ ও রেটিং দেখে নিলে বুঝতে সুবিধা হবে এই অ্যান্টিভাইরাস সম্পর্কে অন্য ব্যবহারকারীদের মতামত কী ও কোন অ্যান্টিভাইরাস কেমন।



অ্যান্টিভাইরাস কিনে বা ডাউনলোড করে ইনস্টল করলেই হলো না। এই অ্যান্টিভাইরাসকে নিয়মিত আপডেট করতে হবে। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করতে পারেন দু’ভাবে। এক. ইন্টারনেটে সংযোগ থাকা অবস্থায় আপডেট করতে বা আপডেটেড ফাইল ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে তা ম্যানুয়ালি অ্যান্টিভাইরাসকে আপডেট করে নিতে পারেন। দুই. কমপিউটারে ইন্টারনেটের সংযোগ না থাকে যেকোনো স্থান বা যে কমপিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে সেখান থেকে আপডেটেড ফাইল ডাউনলোড করে পেনড্রাইভ বা সিডিতে রাইট করে আপনার কমপিউটারে ম্যানুয়ালি আপডেট করে নিতে পারেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, অটোম্যাটিক্যালি আপডেট করেছেন কিন্তু উইন্ডোজ নতুন করে ফরমেট দিলে বা অন্য কমপিউটারের এই অ্যান্টিভাইরাসকে আপডেট করতে হলে আবার ইন্টারনেটের সংযোগের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আপডেট ফাইলকে ডাউনলোড করে নিয়ে অনেকবার এবং একাধিক কমপিউটারের অ্যান্টিভাইরাসকে আপডেট করে নিতে পারেন। এর জন্য বারবার আপনাকে ইন্টারনেট থেকে উল্লিখিত ফাইলটি ডাউনলোড করতে হবে না। এবারের সংখ্যায় ম্যানুয়ালি অফলাইনে কিভাবে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

অ্যাভাইরা অ্যান্টিভাইরাস ডেফিনেশন আপডেট

অ্যাভাইরা অ্যান্টিভাইরাস আপডেট ফাইল হিসেবে ভাইরাস ডেফিনেশন ফাইল ব্যবহার করে থাকে। এই আপডেট ফাইল ইন্টারনেট থেকে যেকোনো কমপিউটারে ডাউনলোড করে নিয়ে তা পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি দিয়ে আপনার কমপিউটারে বা একাধিক কমপিউটারে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহার

ধরে নিচ্ছি, আপনার কাছে অ্যাভাইরা অ্যান্টিভাইরাসের ভাইরাস ডেফিনেশন আপডেট ফাইল রয়েছে। ফাইলটি জিপ অর্থাৎ *.zip ফরমেটে থাকবে। কমপিউটারের কোনো ড্রাইভে একটি ফোল্ডার তৈরি করে আপডেট ফাইলটি কপি করে এনে এখানে রাখুন।

এবার টাস্কবার থেকে অ্যাভাইরার আইকনের ওপর ডবল ক্লিক করে মেনুবারে দেখুন Update নামে একটি মেনু রয়েছে, এখানে ক্লিক করলে দুই ধরনের অপশন দেখতে পারবেন। 1. Start Update, 2. Manually Update। অপশন দুই অর্থাৎ ম্যানুয়ালি আপডেটে ক্লিক করলে একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে। আপনার ড্রাইভের যে ফোল্ডারে আপডেটেড ফাইলটি রেখেছিলেন, তার পাথ দেখিয়ে দিয়ে জিপ ফাইলটি সিলেক্ট করে দিন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যান্টিভাইরাসটি এই আপডেট ফাইল থেকে নিজেকে আপ-টু-ডেট করে নেবে ও Successfully updated মেসেজ প্রদর্শন করবে। মনে রাখবেন, জিপ ফাইলকে আনজিপ করবেন না।

অফলাইনে এভিজি আপডেট করা

সময়মতো অ্যান্টিভাইরাসের ভাইরাস ডাটাবেজকে আপডেট রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। যদি এভিজি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে এই অ্যান্টিভাইরাসকে নিয়মিত আপ-টু-ডেট রাখতে হবে, যা কমপিউটারের সুরক্ষায় ভালো ভূমিকা রাখবে। ইন্টারনেট থেকে এভিজি অ্যান্টিভাইরাসের ভাইরাস ডেফিনেশন ফাইল আপনার কমপিউটারে ডাউনলোড করে নিন বা অন্য কমপিউটার থেকে ডাউনলোড করে তা পেনড্রাইভে করে নিয়ে আসুন। আপনার কমপিউটারের হার্ডডিস্কে ফোল্ডার তৈরি করে তাতে আপডেট ফাইলটি রাখুন।

ব্যবহার

টাস্কবার হতে এভিজি আইকনের ওপর ডান ক্লিক করে Open AVG User Interface-এ ক্লিক করুন অথবা আইকনের ওপর ডবল ক্লিক করুন। এবার ওপরের মেনু বার হতে Tools-এ ক্লিক করে টুল মেনু হতে Update from directory মেনুতে ক্লিক করুন। এতে একটি উইন্ডো খুলবে, যেখানে আপনাকে আপডেটেড ফাইলের লোকেশন দেখিয়ে দিতে হবে। যদি সঠিকভাবে অ্যান্টিভাইরাস আপডেট করতে পারেন, তাহলে Update was finished successfully মেসেজ দেখাবে।

অফলাইনে ESET NOD 32 আপডেট
ESET NOD 32 অ্যান্টিভাইরাস ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাসের মতো এই অ্যান্টিভাইরাসকেও ম্যানুয়ালি আপডেট করা যায় এবং এর জন্য আপনাকে প্রথমেই আপডেটেড ফাইলটি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে কমপিউটারের যেকোনো ড্রাইভে একটি ফোল্ডারে রাখতে হবে।

ব্যবহার

অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাস থেকে একটু ভিন্ন এই অ্যান্টিভাইরাসটি আপডেট করার পদ্ধতি। আপডেটেড ফাইলটি আনজিপ করুন। ধরে নিচ্ছি, D ড্রাইভের ESET_Update ফোল্ডারে আনজিপ ফাইলগুলো রেখেছেন। অর্থাৎ ফাইলের লোকেশন হবে D:\ESET_Update।

ধাপ-১ :
এবার টাস্কবার হতে ইসেট bW ৩২ অ্যান্টিভাইরাসের আইকনে ডবল ক্লিক করে ESET Antivirus-এর কন্ট্রোল প্যানেল ওপেন হওয়ার পর Update অপশনে ক্লিক করুন। ওপরের দিকে দেখুন Setup নামে একটি অপশন রয়েছে, এই অপশনে ক্লিক করে Advance Setup-এ ক্লিক করুন।

ধাপ-২ :
অ্যাডভান্স সেটআপের যে উইন্ডো প্রদর্শিত হবে এর Antivirus and Antispyware মেনু হতে Update-এ ক্লিক করুন। এখানে দেখুন Update Settings for Selected Profile-এ Update Server-এ Choose automatically সিলেক্ট করা আছে। এর পাশে যে Edit অপশন রয়েছে এতে ক্লিক করুন।

ধাপ-৩ :
Update server list নামে একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে। এখানে Update Server-এর নিচে আপডেট ফাইলের লোকেশনটি টাইপ করুন অর্থাৎ D:\ESET_Update টাইপ করার পর Add বাটনে ক্লিক করলে Update server list-এ D:\ESET_Update লোকেশন দেখাবে। একে ক্লিক করে ওকে বাটনে প্রেস করে অ্যাডভান্স সেটআপের উইন্ডোটি বন্ধ করুন।

ধাপ-৪ :
এবার Update মেনু হতে Update virus signature database-এ ক্লিক করলে আপনার সেট করে দেয়া লোকেশন হতে অ্যান্টিভাইরাসকে আপডেট করে নেবে এবং অ্যান্টিভাইরাসকে আপ-টু-ডেট রাখবে। তবে অন্য সময় অ্যান্টিভাইরাসকে সরাসরি ইন্টারনেট থেকে আপডেট করতে হলে অ্যাডভান্স সেটআপ অপশন থেকে Choose automatically সিলেক্ট করে দিতে হবে।

এখানে তিনটি অ্যান্টিভাইরাসকে ম্যানুয়ালি বা অফলাইনে আপডেট করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

BIOS Password ভুলে গেলে আপনার করণীয়

বায়োস পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে অনাক্ষাংখীত ব্যবহার থেকে রক্ষা করতে পারি। বায়োসে দুই ধরনের পাসওয়ার্ড সেট করা যায়। এক ধরনের পাসওয়ার্ড হল পাওয়ার অন করার পর পাসওয়ার্ড চাইবে, সঠিক পাসওয়ার্ড দিতে ব্যার্থ হলে কম্পিউটার চালু হবে না। এবং অন্য ধরনের পাসওয়ার্ড হল কম্পিউটার অন হবে কিন্তু বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহারকারী বায়োস পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তাই কম্পিউটার অন করতে পারছেন না। অথবা কারো কাছ থেকে ব্যবহৃত কম্পিউটার কিনেছেন বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড চাইছে। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করার প্রয়োজন হয়। নিচের তিন পদ্ধতিতে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

১. বায়োস ব্যাটারী খুলে:

মাদারবোর্ডে একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন একটা চ্যাপ্টা ব্যাটারী লাগানো আছে। এই ধরনের ব্যাটারী হাতঘড়িতে ও ব্যবহার করা হয়। সাবধানে ব্যাটারীটি খুলে ফেলুন(অবশ্যই কম্পিউটার বন্ধ অবস্থায়)। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ব্যাটারীটি লাগিয়ে কম্পিউটার চালু করুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাওয়ার কথা। তবে কিছু মাদারবোর্ডে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় পাওয়ার ব্যাকআপ রাখার জন্য। এই ধরনের মাদারবোর্ডে ১০/১৫ মিনিটে কাজ হবে না। অন্তত ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যাটারীটি খুলে রাখুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাবে। কিছু কিছু মাদারবোর্ডে ব্যাটারীটি সোল্ডার করা থাকে। এক্ষেত্রে সোল্ডারিংয়ের অভীজ্ঞতা না থাকলে অভীজ্ঞ কাউকে দিয়ে ব্যাটারীটি খুলিয়ে নিন। শেষ কথা হল, আধুনিক কিছু কিছু মাদারবোর্ডে বিশেষ করে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের ব্যাটারী খুলে কাজ হয় না। এই ধরনের মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন।

২. জাম্পার অথবা DIP সুইচ এর মাধ্যমে:

অনেক মাদারবোর্ডে জাম্পার অথবা ডিপ সুইচের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট করার ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে জাম্পার বা ডিপ সুইচের পাশে লেখা থাকে কোন ধরনের সেটিংস দিতে হবে। মাদারবোর্ডে লেখা না থাকলে মাদারবোর্ডের সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়ে অথবা মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে ও জেনে নিতে পারেন।

৩. গোপন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে:

অনেক বায়োস প্রস্তুতকারী কোম্পানী তাদের বায়োসে কিছু গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। এই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য পাসওয়ার্ডগুলোকে বাইপাস করে চলে যাওয়া যায়। নিচে এধরনের একটা তালিকা দেওয়া হল।

Award BIOS এর জন্য:

ALFAROME, BIOSTAR, KDD, ZAAADA, ALLy, CONCAT, Lkwpeter, ZBAAACA, aLLy, CONDO, LKWPETER, ZJAAADC, aLLY, Condo, PINT, 01322222, ALLY, d8on, pint, 589589, aPAf, djonet, SER, 589721, _award, HLT, SKY_FOX, 595595, AWARD_SW, J64, SYXZ, 598598, AWARD?SW, J256, syxz, AWARD SW, J262, shift + syxz, AWARD PW, j332, TTPTHA, AWKWARD, j322, awkward ইত্যাদি।

AMI BIOS এর জন্য:

AMI, BIOS, PASSWORD, HEWITT RAND, AMI?SW, AMI_SW, LKWPETER, CONDO ইত্যাদি।

Phoenix BIOS এর জন্য:

phoenix, PHOENIX, CMOS, BIOS ইত্যাদি।

কিছু কমন পাসওয়ার্ড:

ALFAROME, BIOSTAR, biostar, biosstar, CMOS, cmos, LKWPETER, lkwpeter, setup, SETUP, Syxz, Wodj ইত্যাদি।

অন্যান্য কোম্পানীর BIOS Password:

কোম্পানী = = পাসওয়ার্ড
VOBIS & IBM = = merlin
Dell = = Dell
Biostar = = Biostar
Compaq = = Compaq
Enox = = xo11nE
Epox = = central
Freetech = = Posterie
IWill = = iwill
Jetway = = spooml
Packard Bell = = bell9
QDI = = QDI
Siemens = = SKY_FOX
TMC = = BIGO
Toshiba = = Toshiba
Toshiba = = BIOS
বেশিরভাগ Toshiba Laptop এবং কিছু Desktop এ বুট হওয়ার সময় কিবোর্ডের বাম পাশের Shift কী চেপে ধরে রাখলে ও বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।
পিসি বুট হবার সময় খুব দ্রুত মাউসের বাটন দুটি চাপতে থাকলে IBM Aptiva BIOS এর পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

পিসি সমস্যা, সমাধান, ধাপে ধাপে

যখন পিসিতে স্বাভাবিক কাজ করি, তখন কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হলে ভালোই লাগে। কিন্তু কমপিউটার সবসময় যে স্বাভাবিক আচরণ করে, তা নয়। কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যেমন- ইন্টারনেট সার্ফিং, ডকুমেন্ট তৈরি করা এবং ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে। যখন কমপিউটারে সব ধরনের কাজ প্রায় ধীরগতিতে চলতে থাকে, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবে ধরে নিতে পারি, কমপিউটারে বিপর্যয় ঘটবে।

যদি ইন্টারনেট সংযোগের কারণে সমস্যা হয়, যা হঠাৎ করে চলমান প্রোগ্রামকে অদৃশ্য করে অথবা আপনার প্রোগ্রাম কোন সমস্যার কারণে সবধরনের কাজ করতে প্রত্যাখ্যান করছে। কিন্তু কেনো করছে? এসব সমস্যার সমাধান কিভাবে নিজে নিজে করতে পারবেন, এজন্য কিভাবে এগুতে হবে তাই ধরা হয়েছে এ লেখায়। মূলত সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং যথাযথ বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে ইন্টারনেট, ভাইরাস এবং প্রোগ্রামসংশ্লিষ্ট যেকোনো সমস্যার কারণ নিরূপণ ও সমাধান নিজে নিজেই অনায়াসে করতে পারবেন নিচে উলি­খিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে।





এ কথা সত্য, কমপিউটার ও কমপিউটারসংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি পণ্যের ট্রাবলশূটিংয়ের বিভিন্ন উপায় থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাবলশূট করা যায় প্রায় একইভাবে বা একই নিয়মে। যেমনটি মেকানিক্যাল ডিভাইসের ক্ষেত্রে করা হয় কিছু লজিক প্রয়োগ করে। ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে এ লেখায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে কয়েকটি সহজ ইউনিক ট্রাবলশূট গাইডসহ অ্যাডভান্সড ট্রাবলশূট গাইড, যার মাধ্যমে পেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান।

আতঙ্কিত না হওয়া

যখনই কোনো সমস্যা দেখা দেবে, তখন কোনো অবস্থায় বিচলিত বা আতঙ্কিত হওয়া উচিত হবে না। যখন কোনো প্রোগ্রাম বা ডিভাইসের চালু বা কার্যকর হবার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখন বাজে সেটিং দিয়ে পিসি বা ডিভাইসকে সক্রিয় করার চেষ্টা অনর্থক সময় নষ্ট করা ছাড়া কোনো কাজ তো করেই না, বরং নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে।

সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছু না জেনে না বুঝে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করে বরং সামান্য কিছু লজিক প্রয়োগ করে সমস্যার কারণ নিরূপণের চেষ্টা করা উচিত। সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে কমপিউটার ও কমপিউটার নেটওয়ার্ককে মনে হতে পারে স্বেচ্ছাচারী হিসেবে, আসলে তা নয়। এগুলো মূলত সিঙ্গেল সেট প্রোগ্রাম করা নির্দেশাবলী মেনে চলে। সুতরাং আমরা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিতে পারি, গতকাল যে কমপিউটারটি স্বাভাবিক নিয়মে যে কাজগুলো সম্পাদন করতে পেরেছিল কোনো বাধাবিপত্তি ছাড়াই, আজও সেই কাজগুলো কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া এই কমপিউটার স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। যদি এই কমপিউটার স্বাভাবিকভাবে সেসব কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি ইতোমধ্যে ওই কমপিউটারে কোনো পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে বলেই কমপিউটার এমন আচরণ করছে।

এ বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই আমাদেরকে প্রথমেই দেখতে হবে, কমপিউটারে সর্বশেষ কাজ করার পর সিস্টেমে বা প্রোগ্রামে কোনো ধরনের পরিবর্তন করা হয়েছিল কি না? কমপিউটারে নতুন কোনো হার্ডওয়্যার বা পেরিফেরাল ডিভাইস ইনস্টল করেছিলেন কি না? কিংবা কমপিউটারে নতুন কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করেছেন কি না? যদি এ ধরনের কোনো কাজ করে থাকেন, তাহলে খুব সঙ্গত কারণে ধরে নিতে পারেন, সমস্যা সৃষ্টির জন্য এটিই মূলত দায়ী। সুতরাং যে পরিবর্তন আনার জন্য এ সমস্যাটি হয়েছিল, তা আনডু করে দেখুন সমস্যাযুক্ত ডিভাইস বা প্রোগ্রামটি আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে কি না?

পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ধারাবাহিক সমস্যা

আপনার সিস্টেমে কোনো পরিবর্তন আনার ফলে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন, যদি সে সমস্যা খুব সহজে সমাধান করা সম্ভব না হয়, তাহলে পরবর্তী ধাপ বা পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনায় আনতে হবে, আপনার সিস্টেমের সাথে সংশ্লিষ্ট সব ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইস ও প্রোগ্রাম, যা এই উদ্ভূত সমস্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। এ বিষয়টিকে সহজবোধ্য করার জন্য উদাহরণ টেনে বলা যেতে পারে, মেকানিক্যাল ডিভাইস আস্থার সাথে নির্ভর করে বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে আন্তেসংযোগের ওপর এবং এসব উপাদানের মধ্যে যদি কোনো একটি ডিভাইস পরস্পরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হয়ে ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে পুরো সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়ে। অনুরূপভাবে বলা যেতে পারে, কমপিউটার প্রোগ্রাম এবং নেটওয়ার্ক সিস্টেম অকার্যকর হয়ে যেতে পারে, যদি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কম্পোনেন্টগুলোর মধ্যে কোনো একটি সমস্যা সৃষ্টি করে।





কখনো কখনো কোনো কোনো সমস্যা শনাক্ত করা বেশ সহজ। উদাহরণ হিসেবে প্রিন্টার প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে। একটি প্রিন্টার চমৎকারভাবে কাজ করছে, যা ইউএসবি হাবের মাধ্যমে কমপিউটারের সাথে যুক্ত। কিন্তু, বর্তমানে এটি কাজ করছে না। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রথমে চেক করা উচিত, যে হাবের মাধ্যমে প্রিন্টারটি সাথে যুক্ত ছিল তা ঠিক আছে কি না। এরপর দেখা উচিত, কমপিউটার এবং হাবের মধ্যে সংযোগ ঠিক আছে কি না? কোনো কোনো সিস্টেম অবশ্য একটু জটিল প্রকৃতির। ধরা যাক, আপনার সিস্টেমটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত এবং এটি বর্তমানে কাজ করছে না। এক্ষেত্রে সমস্যা নিরূপণের জন্য প্রথমে চেক করা দরকার কমপিউটারের প্রান্তে এবং এরপর রাউটারের প্রান্তে অথবা উভয় প্রান্তে।

যদি নেটওয়ার্কিং ইক্যুইপমেন্ট নিয়ে কাজ করেন, তবে সেক্ষেত্রে গুরুত্বের সাথে মনে রাখতে হবে, চেইন প্রোডাক্টের লিঙ্ককে অর্থাৎ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত পণ্য সামগ্রীকে কখনো কখনো অবশ্যই যথাযথ নিয়মে সংযক্ত থাকতে হবে। বিশেষ করে বেশিরভাগ হোম নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক ডিভাইস একটি সিঙ্গেল রাউটারের সাথে সংযুক্ত। সাধারণত প্রতিটি ডিভাইসকে রিস্টার্ট করলে সাধারণ সমস্যাগুলো ফিক্সড হয়ে যায় সচরাচর। তবে যেহেতু অন্যান্য ডিভাইস সব রাউটারের ওপর নির্ভরশীল তাদেরকে নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেস দেয়ার জন্য। সুতরাং সাধারণ সমস্যা ফিক্স করার জন্য প্রথমে রিস্টার্ট করাটা জরুরি।

যদি সাধারণ রিস্টার্টের মাধ্যমে কাজ না হয় কিংবা নেটওয়ার্ক চেইনের অর্থাৎ নেটওয়ার্কের অন্তের্গত প্রতিটি ডিভাইসকে পুনঃসংযোগ স্থাপনের মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া না যায়, তাহলে ইলিমিনেশন প্রসেস প্রয়োগ করে দেখুন। যদি সমস্যাটি হয় ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রিন্টারের, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে চেক করে দেখতে হবে, অন্যান্য ডিভাইস যথাযথভাবে কানেক্টেড কি না। যদি সেখানে কোনো সমস্যা না থাকে অর্থাৎ সংযুক্ত ডিভাইসগুলো যথাযথভাবে সংযুক্ত থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন, এ সমস্যাটি মূলত হতে পারে প্রিন্টার সেটিংসংশ্লিষ্ট।

সফটওয়্যারসংশ্লিষ্ট সমস্যা ও সমাধান

হার্ডওয়্যার ডিভাইস যেভাবে খুব সহজে পরস্পরের সাথে যুক্ত অর্থাৎ ইন্টারকানেক্টেড হয়ে কাজ করতে পারে, সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তত সহজ পরিলক্ষিত হয় না। অর্থাৎ হার্ডওয়্যারের মতো সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও সমস্যার কারণ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ধারাবাহিক বা চেইন অংশ একই রকম হলেও নিরূপণ করা সহজ নয় বরং বেশ জটিল। একটি সফটওয়্যার যেভাবে কাজ করে, তা একটু খতিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন, পুরো প্রসেসে কোনো কিছুই আলাদাভাবে রান করে না।

বেশিরভাগ প্রোগ্রাম সুস্পষ্টভাবে কোনো না কোনোভাবে উইন্ডোজের ওপর নির্ভরশীল, যদি আপনি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী হন। সুতরাং অপারেটিং সিস্টেমের কোনো ত্রুটি হয়ত আপনার সমস্যার কারণ হতে পারে। যদি আপনার ব্যবহৃত বিশেষ কোনো প্রোগ্রাম তার কার্যকারিতার জন্য বিশেষ কোনো পেরিফেরাল ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন সেই ডিভাইসের কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যদি পেরিফেরাল ডিভাইসটি স্ক্যানার হয়ে থাকে এবং স্ক্যানিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করলে চেক করে দেখুন অপটিক্যাল ড্রাইভ উইন্ডোজে কাজ করে কি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হার্ডওয়্যার ডিভাইস যথাযথভাবে রান করানোর জন্য ড্রাইভার সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার কাজ করে। যদি ড্রাইভার সফটওয়্যারটি যথাযথভাবে কাজ না করে, তাহলে ড্রাইভার সফটওয়্যারটি নিজেই প্রোগ্রামকে কাজ করতে বাধা দেয়।

হার্ডওয়্যারের সমস্যার সাথে সাথে সফটওয়্যারের কোন কোন অংশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা স্বতন্ত্রভাবে চেক করে দেখা উচিত। যদি প্রোগ্রাম শব্দ সৃষ্টি করে, তাহলে বুঝতে হবে এ শব্দ উইন্ডোজ সাউন্ড ড্রাইভারের সৃষ্টি। সুতরাং সাউন্ডসহ আরেকটি প্রোগ্রাম চালিয়ে দেখুন ঠিকমতো কাজ করছে কি না। যদি এটি ইন্টারনেট এক্সেসের ওপর নির্ভরশীল হয়, তাহলে ওয়েব ব্রাউজারকে চেক করে দেখুন যদি তা ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড থাকে। যদি পরীক্ষায় সমস্যা নিরূপণে ব্যর্থ হন, তাহলে ধরে নিতে পারেন অন্য কোনো প্রোগ্রাম এ সমস্যার জন্য দায়ী। সুতরাং অন্য সব প্রোগ্রাম বন্ধ করে ভাইরাস চেক করে দেখুন।

মাদারবোর্ড, সিপিইউ এবং র্যাোমের সমস্যা নিরূপণের ফ্লোচার্ট

কমপিউটারে উদ্ভূত সমস্যাগুলো যেমনি ইন্টারনেট, ভাইরাস, ওএস বা বিভিন্ন প্রোগ্রাম সংশি¬ষ্ট হয়ে থাকে, তেমনি কম বেশি হয়ে থাকে মাদারবোর্ড, সিপিইউ এবং র্যািমের কারণেও। মাদারবোর্ড, সিপিইউ ও র্যাভমের কারণে উদ্ভূত সমস্যাগুলো মূলত হার্ডওয়্যারসংশি¬ষ্ট এবং অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য হার্ডওয়্যার পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য যেসব বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখতে হবে, তা নিচে ফ্লোচার্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে সহজবোধ্য করে :

প্রথমে লক্ষ করুন, স্ক্রিন সক্রিয় কি না? ‘No Video Signal’ এ ধরনের কোনো মেসেজ স্ক্রিনে আবির্ভূত হচ্ছে কি না? অথবা এ ধরনের কোনো মেসেজ স্ক্রিনে সক্রিয়ভাবে আবির্ভূত হচ্ছে কি না খেয়াল করুন। সমস্যার কারণ নিরূপণের জন্য ন্যূনতম দরকার বায়োস স্ক্রিন।

প্রথমে সিস্টেমের পাওয়ার অন করে দেখুন তা অন হচ্ছে কী? কোনো বীপ শোনা যায় কী? হার্ডড্রাইভ ফ্যান ইত্যাদি রান করছে কি না, খেয়াল করুন। যদি পাওয়ার না আসে, তা হলে বুঝতে হবে যে পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ক্রটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে ফ্লোচার্ট অনুসরণ করে কমপিউটারের গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট যেমন সিপিইউ, র্যা ম, মাদারবোর্ড সমস্যার কারণ নিরূপণ করে সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিন।


তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

গ্রাফিক্স কার্ডের টুকিটাকি



গ্রাফিক্স কার্ড কয়েক নামে পরিচিত, যেমন - ভিডিও কার্ড, ডিসপ্লে কার্ড, গ্রাফিক্স এক্সেলারেটর কার্ড৷ গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ কোনো ছবিকে জেনারেট করা এবং তা আউটপুট ইমেজ আকারে মনিটরে প্রদর্শন করা৷ গ্রাফিক্স কার্ড যে শুধু গেমারদের জন্য বেশি প্রয়োজনীয় তা ঠিক নয়৷ গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের ক্ষেত্রে, হাই ডেফিনেশন ভিডিও দেখার জন্য এবং ভিডিও কোয়ালিটি ভালো করার জন্যও গ্রাফিক্স কার্ডের ব্যবহার হয়৷ এমনকি গ্রাফিক্স কার্ড উইন্ডোজ ভিসতার কাজ করার দক্ষতা ও সৌন্দর্যবর্ধনে খুবই সহায়ক৷ নতুন গ্রাফিক্স কার্ডগুলো আরো কিছু চমত্কার সুযোগসুবিধা দেয়, যেমন- ভিডিও ক্যাপচারিং, টিভি টিউনার এডাপ্টার, MPEG-2 ও MPEG -4 ডিকোডিং৷ এছাড়াও ফায়ারওয়্যার, মাউস, লাইট পেন, জয়স্টিক যুক্ত করার পোর্ট এমনকি দুইটি মনিটরে কানেকশন দেয়ার সুবিধাও দিয়ে থাকে এসব গ্রাফিক্স কার্ড৷

গ্রাফিক্স কার্ডের কার্যপদ্ধতি

আমরা যে ইমেজ মনিটরে দেখি তা খুবই ছোট ছোট কণার সমন্বয়ে গঠিত যা পিক্সেল নামে পরিচিত৷ যেকোনো একটি সাধারণ রেজ্যুলেশন সেটিংয়ে এক মিলিয়নেরও বেশি পিক্সেল থাকে এবং কমপিউটার প্রতিটি পিক্সেল অনুযায়ী ইমেজটি সৃষ্টি করে থাকে৷ এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন হয় একটি অনুবাদক বা ট্রান্সলেটরের৷ অনুবাদকের কাজ হচ্ছে সিপিইউ থেকে বাইনারি ডাটা নিয়ে তা ছবিতে রূপান্তর করা যাতে আমরা তা দেখতে পারি৷ অনুবাদকের এই কাজটি সম্পন্ন করে গ্রাফিক্স কার্ড৷ গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ করার প্রক্রিয়া জটিল কিন্তু এর অন্যান্য বিষয় এবং অংশগুলো সহজেই বোধোগম্য৷

গ্রাফিক্স কার্ডের অংশ

গ্রাফিক্স কার্ডে একটি প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের উপরে এর প্রয়োজনীয় অংশগুলো বসানো থাকে৷ এগুলো হচ্ছে :

১. গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) :

একটি গ্রাফিক্স কার্ডের গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট হচ্ছে একটি গ্রাফিক্স মাইক্রোপ্রসেসর, যা ফ্লোটিং পয়েন্ট গণনা করে৷ এটি 3D গ্রাফিক্স রেন্ডারিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ জিপিইউয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ক্লক রেট৷ সাধারণত বর্তমানের গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর ক্লক রেট ২৫০ মে. হা. থেকে ১২০০ মে.হা. পর্যন্ত হয়ে থাকে৷

২.ভিডিও মেমরি :

সাধারণত যখন গ্রাফিক্স কার্ড মাদারবোর্ডের সাথে ইন্ট্রিগ্রেটেড থাকে তখন ৠাম থেকে মেমরি শেয়ার করার প্রয়োজন পরে, কিন্তু যদি মাদারবোর্ডের সাথে ইন্ট্রিগ্রেটেড না হয় তবে গ্রাফিক্স কার্ডের নিজস্ব ভিডিও মেমরি ব্যবহার করে থাকে৷ যখন জিপিইউ কোনো ছবি তৈরি করে তখন ছবি তৈরির প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো (যেমন- প্রতিটি পিক্সেলের মান, রং এবং স্ক্রিনে পিক্সেলের অবস্থান ইত্যাদি) কোথাও না কোথাও রাখার প্রয়োজন পড়ে৷ তখন ভিডিও মেমরির একটি অংশ ফ্রেম বাফার হিসেবে কাজ করে৷ এর মানে হলো মূল ছবিটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সব তথ্য এটি ধারণ করে৷ ২০০৩ সাল পর্যন্ত গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর ভিডিও মেমরি ডিডিআর প্রযুক্তিতে বানানো হতো৷ বর্তমানে ডিডিআর-২, জিডিডিআর-৩, এমনকি জিডিডিআর-৪ প্রযুক্তিতেও বানানো হচ্ছে৷ এর ফলে গ্রাফিক্স কার্ডের ক্লক রেটের মান অনেক গুণে বেড়েছে৷



নিচে বিভিন্ন মেমরির ক্লক রেট ও ব্যান্ডউইডথ উল্লেখ করা হলো পার্থক্য বুঝানোর সুবিধার্থে :

৩. ভিডিও বায়োস :

ভিডিও বায়োস ফার্মওয়্যার চিপ নামেও পরিচিত৷ এই চিপ মূল প্রোগ্রাম ধারণ করে যা ভিডিও কার্ডের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কমপিউটার ও সফটওয়্যারের মাঝে যোগসূত্র রক্ষা করে৷

৪. RAMDAC :

RAMDAC (Random Access memory Digital to Anolog Converter) দিয়ে ৠানডম এক্সেস মেমরিকে ডিজিটাল থেকে এনালগে রূপান্তর করাকে বুঝায়৷ এটি গ্রাফিক্স কার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷ সিআরটি ডিসপ্লে মনিটরের ক্ষেত্রে রিফ্রেশ রেট ৭৫ হার্টজ হলে তা ভালো হয় কিন্তু যদি তা ৬০ হার্টজ হয় তবে স্ক্রিন হাল্কা কাঁপবে৷ RAMDAC এই রিফ্রেশ রেট নিয়ে কাজ করে৷ LCD ডিসপ্লে মনিটরে RAMDAC অতটা জরুরি নয়৷

৫. আউটপুট :

কমপিউটারের ডিসপ্লের সাথে ভিডিও কার্ডের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে-

SVGA :
এটি সাধারণ সিআরটি মনিটর সংযোগ করার কাজে লাগে৷

DVI :
ডিজিটাল ডিসপ্লেভিত্তিক অর্থাৎ এলসিডি, প্লাজমা স্ক্রিন ও প্রজেক্টর ইত্যাদি সংযোগ দিতে কাজে লাগে৷

S-Video :
এটি দিয়ে ডিভিডি প্লেয়ার, ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইস, ভিডিও গেম কন্সোল ইত্যাদি সংযোগের কাজে ব্যবহার করা হয়৷ এছাড়াও আরো কিছু কানেকশন পোর্ট হলো- কম্পোজিট ভিডিও, কম্পোনেট ভিডিও, এইচডিএমআই, ডিসপ্লে পোর্ট ইত্যাদি৷

৬. মাদারবোর্ড ইন্টারফেস :
গ্রাফিক্স কার্ড মাদারবোর্ডের একটি টের সাথে লাগানো থাকে, এই স্লট কয়েক প্রকার হতে পারে৷ যেমন- ISA, MCA, EISA, VESA, PCI, AGP, PCI Express ইত্যাদি৷ শেষ তিনটি বহুল ব্যবহৃত ট বা বাস৷ নিচে ছকে এদের পার্থক্য দেখা হলো :

৭. তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা :

গ্রাফিক্স কার্ডের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যখন সেটি কাজ করে৷ তাই গ্রাফিক্স কার্ডের কাজ চলাকালীন তাপমাত্রা কমানোর জন্য কিছু ঠাণ্ডাকরণ যন্ত্র বা কুলিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ এগুলো হলো :

হিট সিঙ্ক :

কপার বা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হিট সিঙ্কটি জিপিইউয়ের তাপমাত্রা কমায় কোনো প্রকার শব্দ না করে৷

কুলিং ফ্যান :

গ্রাফিক্স কার্ডের ওপরে ছোট আকারের ফ্যান ব্যবহার করা হয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য৷ এটি হিট সিঙ্কের চেয়ে বেশি কার্যকর কিন্তু হাল্কা শব্দ করে৷

ওয়াটার ব্লক বা লিকুইড কুলিং :

এক্ষেত্রে জিপিইউ ঠাণ্ডা করতে হিট সিঙ্কের পাশাপাশি তরল পদার্থ ব্যবহার করা হয়৷ এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর গ্রাফিক্স কার্ড ঠাণ্ডা করার ক্ষেত্রে৷

৮. পাওয়ার সাপ্লাই :

গ্রাফিক্স কার্ড যত বেশি শক্তিশালী হবে তার তত বেশি পাওয়ারের প্রয়োজন হবে৷ পিসিআই এক্সপ্রেস পোর্টগুলো সাধারণত ১৫০ ওয়াট পাওয়ার প্রদান করে থাকে৷ নতুন গ্রাফিক্স কার্ডে পাওয়ার কনজাম্পশন টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে তা কম বিদ্যুৎ খরচ করে৷

গ্রাফিক্স অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস

দুইটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রাফিক্স অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস হচ্ছে- মাইক্রোসফটের ডাইরেক্ট থ্রিডি এবং সিলিকন গ্রাফিক্সের ওপেনজিএল৷ বেশিরভাগ উইন্ডোজভিত্তিক গেমগুলো ডাইরেক্ট থ্রিডি-এর ডাইরেক্টএক্স সাপোর্ট করে৷ ডাইরেক্টএক্সের নতুন ভার্সন হচ্ছে ডাইরেক্টএক্স ১০৷ বাজারের নতুন গ্রাফিক্স কার্ডগুলো ডাইরেক্টএক্স ৯.০সি ও ডাইরেক্টএক্স ১০ সাপোর্ট করে৷

ওপেনজিএল হচ্ছে ফ্রি, ওপেন, মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ ও মাল্টি-প্লাটফরম অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস৷ এটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, সায়েন্টিফিক ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ফ্লাইট সিম্যুলেশন, কিছু গেম এবং লিনআক্স ও ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়৷ এর সর্বশেষ ভার্সন হচ্ছে ওপেনজিএল ২.১৷

গ্রাফিক্স টেকনিক্স

গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর গ্রাফিক্স আউটপুট কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য কিছু ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়৷ এই টেকনিক বা ইফেক্টগুলো নিচে দেয়া হলো :

এন্টি-এলাইসিং, শেডার, হাই ডাইনামিক রেঞ্জ রেন্ডারিং, টেক্সটচার ম্যাপিং, মোশন ব্লার, ডেপথ অফ ফিল্ড, লেন্স ফ্লেয়ার, ফ্রেসনেল ইফেক্ট, এনিসোট্রপিক ফিল্টারিং, ওভারক্লকিং৷

গ্রাফিক্স কার্ডের গতি সরাসরি এর হার্ডওয়্যারগুলোর ওপর নির্ভরশীল৷ যেসব হার্ডওয়্যার গ্রাফিক্স কার্ডের গতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে সেগুলোর নাম ও তাদের পরিমাপের একক নিম্নরূপ :

জিপিইউ ক্লক স্পিড (মেগাহার্টজ),মেমরি বাসের আকার (বিটস),মেমরির পরিমাণ (মেগাবাইট),মেমরি ক্লক রেট (মেগাহার্টজ),মেমরি ব্যান্ডউইডথ (গিগাবাইট/সেকেন্ড), Ramdac -এর গতি (মেগাহার্টজ)৷

ওভারক্লকিং :

গ্রাফিক্স কার্ডের পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্য ম্যানুয়ালি এর ক্লক স্পিডের মান বাড়িয়ে দেয়া যায়, একে ওভারক্লকিং বলা হয়৷ মেমরি ওভারক্লকিংয়ের ফলে পারফরমেন্সের উন্নতি হয় ঠিকই কিন্তু এর ফলে জিপিইউর ওপর চাপ পড়ে যা গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য ক্ষতিকর৷ ওভার হিটিংয়ের ফলে গ্রাফিক্স কার্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷

এন্টিএলাইসিং :

ফুল স্কিন এন্টিএলাইসিং বা FSAA দিয়ে ত্রিমাত্রিক কোনো বস্তুর অসমান ধার বা কোণাগুলোকে মসৃণ করা হয়৷ ইদানিং উচ্চমানের ভিডিও গেমগুলোতে 2X থেকে 8X পর্যন্ত এন্টিএলাইসিং করার অপশন থাকে যাতে গেমের গ্রাফিক্স মসৃণ ও বাস্তব মনে হয়৷ তবে এন্টিএলাইসিং চালু করলে গেমের গতির ওপর সামান্য প্রভাব পড়বে, যদি ভিডিও মেমরি কম হয়৷ গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে যা যা দেখা উচিত

চিপসেট :

বাজারে দুই ধরনের চিপসেটের গ্রাফিক্স কার্ড পাওয়া যায়৷ তার একটি হলো এনভিডিয়া ও আরেকটি এটিআই৷ কিছু গেম কোম্পানি চিপসেটের ওপর ভিত্তি করে গেম রিলিজ করে৷ এক চিপসেট সাপোর্টেড গেম অন্য চিপসেটে ভালো চলে না৷ তাই চিপসেট নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷

কানেকশন পোর্ট :

গ্রাফিক্স কার্ড পোর্ট হিসেবে বহুল ব্যবহৃত দুইটি পোর্টের একটি এজিপি, আরেকটি পিসিআই এক্সপ্রেস৷ এজিপি-এর ডাটা ট্রান্সফারের গতি 8X কিন্তু পিসিআই এক্সপেসের 16X, যা এজিপি-এর দ্বিগুণ৷ তাই দাম বেশি হলেও পিসিআই এক্সপ্রেস ভালো৷ মেমরি : গেমের রেজ্যুলেশন বাড়িয়ে খেলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বেশি মেমরিযুক্ত ভিডিও কার্ড কেনা উচিত৷ ১২৮ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ডগুলো দিয়ে এখনকার প্রায় সব গেমই ভালো চলে৷ কিন্তু যারা আরো ভালো পারফরমেন্স আশা করেন তারা ২৫৬ বা ৫১২ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ডের দিকে আগ্রহ দেখাতে পারেন৷

ফ্রেম রেট :

ফ্রেম রেট হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে সিস্টেম কতটি ডিসপ্লে দেখাতে পারে তার হিসেব৷ সব গেমের ফ্রেম রেট এক নয়৷ মানুষের চোখের ফ্রেম রেট হলো প্রতি সেকেন্ডে ২৫টি ফ্রেম৷ আর ভালো মানের একটি অ্যাকশন গেমের ফ্রেম রেট হলো ৬০টি ফ্রেম প্রতি সেকেন্ডে৷ ফ্রেম রেটের মান যত বেশি হবে গেমের গ্রাফিক্স কোয়ালিটি তত সুন্দর হবে৷

ডাইরেক্টএক্স :

গেম চালানোর জন্য এটি অপরিহার্য৷ বাজারের বেশিরভাগ গ্রাফিক্স কার্ডই ডাইরেক্টএক্স ৯.০সি সাপোর্টেড৷ ডাইরেক্টএক্স ১০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ডগুলোর দাম অনেক বেশি৷ কয়েকটি ডাইরেক্টএক্স ১০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ড হলো- -এর GeForce 8800 series, 8500GT এবং ATI-Fr Radeon HD2900XT ও HD2400 series ইত্যাদি৷

ডবল ডিসপ্লে পোর্ট :

নতুন কিছু গ্রাফিক্স কার্ডের ডিভিআই আউটপুটের পাশাপাশি ভিজিএ পোর্টও দেয়া থাকে৷ যার ফলে পুরনো মডেলের মনিটর সংযোগ দেয়া যায় এবং একসাথে দুটি মনিটরও সংযোগ দেয়া যায়৷

ইনহ্যান্স ভিডিও প্লেব্যাক :

নতুন গ্রাফিক্স কার্ডগুলোতে ভিডিও প্লেব্যাক বর্ধিতকরণের জন্য কিছু সুবিধা রয়েছে৷ ATI -এর Avivo এবং nVIDIA -এর Pure Video ডিভিডি প্লেব্যাকের পারফরমেন্স বাড়াতে সাহায্য করে৷

এইচডিসিপি :

এইচডি ডিভিডি (হাইডেফিনেশনডিজিটালভিডিওডিস্ক) বা ব্লু রে ডিস্ক চালানোর জন্য এবং এর উচ্চমান অক্ষুণ্ন রাখতে এটি ব্যবহার হয়৷

টিভি টিউনার :

পিসিতে টিভি দেখা ও পছন্দমতো অনুষ্ঠান কেটে রাখার জন্য কিছু কিছু ভিডিও কার্ড টিভি টিউনার ব্যবহার করে থাকে৷ এই কার্ডগুলো টিভি কার্ডের বিকল্প৷

ডুয়াল কার্ড সাপোর্ট :

দুটি ভিডিও কার্ড একটি মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত করার জন্য মাদারবোর্ডটি ভগঅঊঅই-এর nVIDIA-এর SLI (Scalable Link Interface)অথবা ATI -এর Crossfire dual board technology সমর্থন করে কিনা দেখে নিতে হবে৷

কোয়াড সিএলআই :

এটি nVIDIA -এর একটি টেকনোলজি যা ৪টি গ্রাফিক্স চিপকে একত্র করতে পারে৷ এর ফলে 1920x1200 থেকে 2560x1600 রেজ্যুলেশনে গেম খেলা সম্ভব৷ যারা পিসিতে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ওয়েব ব্রাউজিং, ই-মেইল ইত্যাদি কাজ করেন তাদের জন্য মাদারবোর্ডের বিল্ট ইন গ্রাফিক্স কার্ডই যথেষ্ট৷ সিনেমা দেখা ও ছোটখাটো গেম খেলা যাদের অভ্যাস তাদের জন্য মধ্যম মানের গ্রাফিক্স কার্ড হলেই যথেষ্ট৷ কিন্তু যারা হার্ডকোর গেমার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করেন তাদের জন্য প্রয়োজন খুব ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড৷

প্রকার ক্লক রেট ব্যান্ডউইডথ (মে.হা.) (গি.বা./সে.)) ডিডিআর ১৬৬-৯৫০ ১.২-৩০.৪ ডিডিআর-২ ৫৩৩-১০০০ ৮.৫-১৬ জিডিডিআর-৩ ৭০০-১৮০০ ৫.৬-৫৪.৪ জিডিডিআর-৪ ১৬০০-২৪০০ ৬৪-১৫৬.৬ বাস বা ট ডাটা রেঞ্জ (বিটস) ক্লক রেট (মে.হা.) পিসিআই ৩১-৬৪ ৩৩-১০০ এজিপি ৩২ ৬৬-৫৩৩ পিসিআই এক্সপ্রেস ১-১৬ ২৫০০-৫০০০

তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ

শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০১০

গুগল সার্চের সহজ কৌশল

যারা নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, তাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক লোকই খুঁজে পাওয়া যাবে, যারা সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগলকে ব্যবহার করেন না। যেকোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে বা যেকোনো তথ্য জানতে আজকাল গুগল সহায়ক সাহায্যকারী বন্ধু। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, সমস্যার সমাধান বা তথ্য খোঁজার জন্য প্রয়োজনীয় কী-ওয়ার্ড বা সার্চ আইটেমের নাম সঠিকভাবে দেয়া যায় না। ফলে বেশিরভাগ সময়ই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় না বা এমন কিছু তথ্য চলে আসে, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। এ লেখায় সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগলকে ব্যবহার করার সহজ কিছু কৌশল ও দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।



সার্চ বিষয়টি খুবই সাধারণ। আপনার মনে যা কিছুই আসুক না কেনো তা www.google.com-এর সার্চ বক্সে টাইপ করে Enter দিন অথবা গুগল সার্চ বাটনে ক্লিক করুন। দেখবেন আপনার আইটেমের সাথে সম্পর্কিত কিছু ওয়েব পেজের লিঙ্ক চলে এসেছে। কিন্তু আগেই বলা হয়েছে, যে আইটেমটি বা যে বিষয়টির তথ্য জানতে চান সেই আইটেম বা বিষয়টির নাম সার্চ বক্সে দেয়ার প্রয়োজনীয় কিছু কৌশল আছে। মূলত সে কৌশলগুলো নিয়েই এ লেখা। এ লেখায় ব্যবহার করা সব [ ] বন্ধনীই একটি একক আইটেমের জন্য। যেমন- [black and white] হচ্ছে, আইটেম। আবার [black] এবং [white] দুটি পৃথক আইটেম।

০১.
সার্চিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি শব্দই বাস্তবিক। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। ব্যতিক্রমগুলো নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে। সার্চ সব সময়ই ‘Case-Insensitive’, অর্থাৎ সার্চিং আইটেমের বিষয় বড় হাতের বর্ণের কিংবা ছোট হাতের বর্ণের কিংবা উভয়ের সংমিশ্রণে লিখলেও কোনো সমস্যা নেই। যেমন- [new york times] আর [New York Times]-এর সার্চের ফল একই হবে।

০২.
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া যতি চিহ্নগুলো সবসময়ই সার্চিংয়ের জন্য অগ্রাহ্য করা হয়। অর্থাৎ @, #, $, %, ^, &, *, (), =, +, [ ], \ এবং আরো কিছু বিশেষ চিহ্ন দিয়ে আপনি সার্চ করতে পারবেন না।

০৩.
সার্চিং আইটেমগুলো সাধারণ রাখার চেষ্টা করুন। ধরুন, আপনি একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির তথ্য খুঁজছেন। যদি কোম্পানিটির পুরো নাম আপনার মনে থাকে, তবে পুরো নামটিই সার্চ বক্সে লিখুন। আর যদি পুরো নাম মনে না আসে, তবে যতটা মনে পড়ে ততটাই লিখুন। যদি আপনি কোনো নির্দিষ্ট কনসেপ্ট, স্থান বা পণ্য খুঁজতে চান, তবে এর নামটি দিয়ে লেখা শুরু করুন। যদি পিৎজা রেস্টুরেন্ট খুঁজতে চান, তবে পিৎজার নামটি লিখুন এবং সাথে আপনার শহরের নাম বা জিপ কোডটি লিখুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই advanced অপারেটর বা বিরল যতি চিহ্নগুলোর দরকার হয় না।

০৪.
আপনাকে চিন্তা করতে হবে, সার্চিংয়ের বিষয়টি ওয়েব পেজগুলোতে কিভাবে থাকতে পারে। একটি সার্চ ইঞ্জিন মানুষ নয়। এটি একটি প্রোগ্রাম, যা সার্চ বক্সে দেয়া আপনার শব্দগুলোর সাথে ওয়েবে বিভিন্ন পেজের মিল খোঁজে। সার্চিংয়ের ক্ষেত্রে সেসব শব্দই ব্যবহার করুন, যা সাধারণত ওয়েব পেজগুলোতে থাকতে পারে। যেমন- [my head hurts]-এর পরিবর্তে ব্যবহার করুন [headache]। কারণ, মেডিক্যাল পেজগুলোতে [headache] শব্দটিই ব্যবহার হয়। আবার [in what country are bats considered an omen of good luck?] -এই বাক্যটি একজন মানুষের কাছে খুবই স্পষ্ট। কিন্তু যে ডকুমেন্টটি এই প্রশ্নের জবাব দেবে, সেই ডকুমেন্টে ওই শব্দগুলো নাও থাকতে পারে। কাজেই উক্ত শব্দগুলোর পরিবর্তে যদি আপনি [bats are considered good luck in] অথবা [bats good luck] ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার কাঙ্ক্ষিত পেজগুলো পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

০৫.
আপনার প্রয়োজনীয় আইটেমটি যথাসম্ভব কম শব্দ ব্যবহার করে লিখুন। সার্চ ইঞ্জিন একটি আইটেমের প্রতিটি শব্দকেই ফোকাস করে। যেহেতু সব শব্দই ব্যবহার হয়, সেহেতু প্রতিটি অতিরিক্ত শব্দই আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলকে সীমত করে দেবে এবং এই সীমাটি যদি খুব বেশি হয় তাহলে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য হারাবেন। অল্প পরিমাণ কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার প্রধান সুবিধা হলো, ওই কী-ওয়ার্ডগুলো দিয়ে সার্চ করার ফলে কাঙ্ক্ষিত ফল না পেলেও প্রাপ্ত ফলগুলো থেকে বুঝতে পারবেন নতুন করে ওই আইটেমের বিষয়বস্ত্ত খোঁজার জন্য আপনাকে আরো কী কী শব্দ যোগ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ- কানকুনের আবহাওয়ার অবস্থা জানতে [weather cancun] হচ্ছে [weather report for cancun mexico]-এর চেয়ে ভালো সার্চিং আইটেম।

০৬.
তুলনামূলক বর্ণনামূলক শব্দ ব্যবহার করুন। সার্চিং আইটেম যতটা একক হবে, আপনার প্রাপ্ত ফলগুলো ততই ফলপ্রসূ হবে। যেসব শব্দ খুব বর্ণনামূলক নয় (যেমন- ‘document’, ‘website’, ‘company’ অথবা ‘info’) তা সাধারণত প্রয়োজন হয় না। মনে রাখবেন আপনার শব্দটির সঠিক অর্থ থাকা সত্ত্বেও যদি তা বেশিরভাগ লোক ব্যবহার না করে থাকে, তবে আপনি প্রয়োজনীয় পেজটি খুঁজে পাবেন না। উদাহরণস্বরূপ- [celebrity ringtones], [celebrity sounds]-এর চেয়ে বেশি বর্ণনামূলক ও সুনির্দিষ্ট।

০৭.
আপনার আইটেমটি ডবল কোটেশন (‘‘ ’’) দিয়ে আটকে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে শুধু কোটেশনের মধ্যকার শব্দগুলোর সাথে মিল পাওয়া পেজগুলোই আপনি পাবেন। তবে এক্ষেত্রে দুর্ঘটনাক্রমে অনেক জরুরি তথ্য হারাতে পারেন। যেমন- [“Alexader Bell”] দিয়ে কোনো তথ্য খুঁজতে গেলে আপনি [Alexader G. Bell]-এর সাথে মিল পাওয়া কোনো পেজ পাবেন না।

০৮.
গুগল সার্চিংয়ের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ভেতরেও তথ্য খুঁজতে পারেন। যেমন- [iraq site : nytimes.com]-এর মাধ্যমে ইরাক সম্বন্ধীয় পেজগুলো খুঁজে পাবেন। কিন্তু শুধু nytimes.com সাইটে ইরাক সম্বন্ধীয় যে তথ্যগুলো আছে তা আপনি কোনো সাইটের সম্পূর্ণ শ্রেণীকেও নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। যেমন- [iraq site : .gov] ইরাকের .gov ডোমেইনের সাইটসমূহের ফলগুলো দেবে। আবার [iraq site : .iq] শুধু ইরাকী সাইটগুলোর ফল দেবে।

০৯.
সার্চিংয়ের মধ্যে যেসব শব্দ সম্পর্কিত তথ্য না পেতে চাইলে সেসব শব্দ (-) চিহ্ন দিয়ে বাদ দিতে পারেন। অর্থাৎ শব্দটির আগে (-) চিহ্ন বসিয়ে দিন এবং তার আগে একটা স্পেস বসাতে হবে। যেমন- [anti-virus software] আইটেমটিতে (-) একটা হাইফেন হিসেবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে (-) দিয়ে ‘virus’ শব্দটিকে বাদ দেয়া বুঝায় না। কিন্তু [anti-virus – software] আইটেমে ‘anti-virus’ শব্দ দিয়ে ফল খুঁজবে কিন্তু তা থেকে software-এর রেফারেন্স বাদ দিয়ে। কারণ, এখানে ‘- software’-এর আগে একটা স্পেস আছে।

১০.
গুগল সাধারণত একটি সার্চিং আইটেমের সব শব্দকেই গণনায় ধরে। তবে যদি কয়েকটি শব্দের যে কোনোটি সম্পর্কিত তথ্য পেতে চান, সেক্ষেত্রে ‘OR’ অপারেটর ব্যবহার করতে হবে। উল্লেখ্য, এখানে ‘OR’ বড় হাতের বর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ [San fransisco Giants 2004 or 2005] আইটেমটির মাধ্যমে হয়-২০০৪ সালের অথবা ২০০৫ সালের তথ্যগুলো পাবেন। কিন্তু OR অপারেটর ছাড়া উভয় সালের তথ্যই একই পেজে পাবেন।

ব্যতিক্রম : আগেই বলা হয়েছে, গুগল বেশিরভাগ বিরাম চিহ্ন অগ্রাহ্য করলেও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন-

ক.
কিছু কিছু জনপ্রিয় শব্দ, যেমন C++, C# ইত্যাদির নির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে। এখানে শব্দ দুটির দুটিই প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। এসব ক্ষেত্রে চিহ্নগুলো অগ্রাহ্য হবে না।

খ.
ডলার চিহ্নের ($) ব্যবহার হয় দাম বুঝাতে। যেমন- [nikon 400] এবং [nikon $400] -এর ভিন্ন ভিন্ন ফল আসবে।

গ.
আন্ডারস্কোর (_) চিহ্নটি যখন দুটি শব্দকে যোগ করতে ব্যবহার হয়, তখন এটি অগ্রাহ্য হয় না।

সূত্র

বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০১০

BIOS Password ভুলে গেলে আপনার করণীয়

বায়োস পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে অনাক্ষাংখীত ব্যবহার থেকে রক্ষা করতে পারি। বায়োসে দুই ধরনের পাসওয়ার্ড সেট করা যায়। এক ধরনের পাসওয়ার্ড হল পাওয়ার অন করার পর পাসওয়ার্ড চাইবে, সঠিক পাসওয়ার্ড দিতে ব্যার্থ হলে কম্পিউটার চালু হবে না। এবং অন্য ধরনের পাসওয়ার্ড হল কম্পিউটার অন হবে কিন্তু বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহারকারী বায়োস পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তাই কম্পিউটার অন করতে পারছেন না। অথবা কারো কাছ থেকে ব্যবহৃত কম্পিউটার কিনেছেন বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড চাইছে। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করার প্রয়োজন হয়। নিচের তিন পদ্ধতিতে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

১. বায়োস ব্যাটারী খুলে:
মাদারবোর্ডে একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন একটা চ্যাপ্টা ব্যাটারী লাগানো আছে। এই ধরনের ব্যাটারী হাতঘড়িতে ও ব্যবহার করা হয়। সাবধানে ব্যাটারীটি খুলে ফেলুন(অবশ্যই কম্পিউটার বন্ধ অবস্থায়)। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ব্যাটারীটি লাগিয়ে কম্পিউটার চালু করুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাওয়ার কথা। তবে কিছু মাদারবোর্ডে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় পাওয়ার ব্যাকআপ রাখার জন্য। এই ধরনের মাদারবোর্ডে ১০/১৫ মিনিটে কাজ হবে না। অন্তত ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যাটারীটি খুলে রাখুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাবে। কিছু কিছু মাদারবোর্ডে ব্যাটারীটি সোল্ডার করা থাকে। এক্ষেত্রে সোল্ডারিংয়ের অভীজ্ঞতা না থাকলে অভীজ্ঞ কাউকে দিয়ে ব্যাটারীটি খুলিয়ে নিন। শেষ কথা হল, আধুনিক কিছু কিছু মাদারবোর্ডে বিশেষ করে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের ব্যাটারী খুলে কাজ হয় না। এই ধরনের মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন।

২. জাম্পার অথবা DIP সুইচ এর মাধ্যমে:
অনেক মাদারবোর্ডে জাম্পার অথবা ডিপ সুইচের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট করার ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে জাম্পার বা ডিপ সুইচের পাশে লেখা থাকে কোন ধরনের সেটিংস দিতে হবে। মাদারবোর্ডে লেখা না থাকলে মাদারবোর্ডের সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়ে অথবা মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে ও জেনে নিতে পারেন।

৩. গোপন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে:
অনেক বায়োস প্রস্তুতকারী কোম্পানী তাদের বায়োসে কিছু গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। এই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য পাসওয়ার্ডগুলোকে বাইপাস করে চলে যাওয়া যায়। নিচে এধরনের একটা তালিকা দেওয়া হল।
Award BIOS এর জন্য:
ALFAROME, BIOSTAR, KDD, ZAAADA, ALLy, CONCAT, Lkwpeter, ZBAAACA, aLLy, CONDO, LKWPETER, ZJAAADC, aLLY, Condo, PINT, 01322222, ALLY, d8on, pint, 589589, aPAf, djonet, SER, 589721, _award, HLT, SKY_FOX, 595595, AWARD_SW, J64, SYXZ, 598598, AWARD?SW, J256, syxz, AWARD SW, J262, shift + syxz, AWARD PW, j332, TTPTHA, AWKWARD, j322, awkward ইত্যাদি।
AMI BIOS এর জন্য:
AMI, BIOS, PASSWORD, HEWITT RAND, AMI?SW, AMI_SW, LKWPETER, CONDO ইত্যাদি।
Phoenix BIOS এর জন্য:
phoenix, PHOENIX, CMOS, BIOS ইত্যাদি।
কিছু কমন পাসওয়ার্ড:ALFAROME, BIOSTAR, biostar, biosstar, CMOS, cmos, LKWPETER, lkwpeter, setup, SETUP, Syxz, Wodj ইত্যাদি।
অন্যান্য কোম্পানীর BIOS Password:কোম্পানী = = পাসওয়ার্ডVOBIS & IBM = = merlinDell = = DellBiostar = = BiostarCompaq = = CompaqEnox = = xo11nEEpox = = centralFreetech = = PosterieIWill = = iwillJetway = = spoomlPackard Bell = = bell9QDI = = QDISiemens = = SKY_FOXTMC = = BIGOToshiba = = ToshibaToshiba = = BIOSবেশিরভাগ Toshiba Laptop এবং কিছু Desktop এ বুট হওয়ার সময় কিবোর্ডের বাম পাশের Shift কী চেপে ধরে রাখলে ও বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।পিসি বুট হবার সময় খুব দ্রুত মাউসের বাটন দুটি চাপতে থাকলে IBM Aptiva BIOS এর পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।
source:http://tutorialbd.com/bn/?p=424

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০১০

গুগলের পটভূমিতে পছন্দের ছবি

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সাইটে ঢুকলে বা সার্চ করলে যদি পটভূমিতে পছন্দের ছবি দেখা যায়, তাহলে কেমন হয়! ফায়ারফক্স ওয়েব ব্রাউজারে অ্যাড-অন্সের সাহায্যে এই মজাটুক করা যায়। এ জন্য ২.৯ মেগাবাইটের অ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/10443 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার ফায়ারফক্সের স্ট্যাটাসবারের ডানে Change your Google Background আইকনে ক্লিক করে Google Background Changer উইন্ডো থেকে Image Location-এ ছবির ঠিকানা নির্বাচন করে Ok করুন। এবার গুগলের সাইটে ভিজিট করে দেখুন পটভূমিতে সদ্য সেট করা ছবিটি দেখা যাচ্ছে। আর সার্চের ফলাফলের পটভূমিতে যদি ছবিটি দেখতে চান, তাহলে Show Image in results page এ চেক করতে হবে। এ ছাড়া Google Text-এ যা লিখবেন না, তা গুগলের মূল লোগো পরিবর্তে দেখা যাবে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2009-10-10/news/11089

Windows XPতে folder lock করুন কোন software ছাড়াই





Folder লক করতে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন:

১।Make a Folder in C drive rename it as "abc" without quotes.
২।Now open Command Prompt from Start Menu.
৩।Type "attrib +s +h C:\abc" without quotes and press enter.
৪।This command will Make your folder invisble and it can not be seen even in hidden files and folders
৫।To make it visible again type "attrib -s -h C:\abc"
৬।You can lock any other folder also by changing the location C:\abc to address of your folder.

সোমবার, ২২ মার্চ, ২০১০

ফোল্ডার অপশন হারিয়ে গেছে আমি যে ভাবে ফিরিয়ে আনি.....


অনেক সময় টুলস্ মেনুর অধীনে ফোল্ডার অপশন হারিয়ে যায় । এটি না থাকলে অনেক বিপত্তিতে পরতে হয়। ধরুন আপনি অপনার কোন গুরুত্বপূর্ন ফোল্ডার বা ফাইল হিডেন করে রেখেছেন কিন্তু আপনার এই ফোল্ডার অপশন হারিয়ে গেছে । এখন আপনি ঐ ফোল্ডার খুলতে পারবেন না।এখন এই অপশন ফিরিয়ে আনতে আপনাকে যা করতে হবে।
স্টার্ট মেন্যুতে ক্লিক করে রান এ ক্লিক করতে হবে (এই রান কমান্ড আপনি কি বোর্ড থেকে উইন্ডোজ কি+আর চেপে ও পেতে পারেন)। এর পর

রান কমান্ডে লিখতে হবে gpedit.msc এর পর ওকে তে ক্লিক করতে হবে।
এর পর ইউজার কনফিগারেশন এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

তার পর এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টেমপ্লেট এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

এর পর উইন্ডোজ কম্পোনেন্ট এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

একই ভাবে উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে।

একই ভাবে উই রিমুভ দি ফোল্ডার অপশন এ দুইবার ক্লিক করে খুলতে হবে। এর পর

এই ডায়ালগ বক্স থেকে ইনেবল্ড সিলেক্ট করে ওকে করুন এবং পুনরায় নট কোনফিগারড সিলেক্ট করে কম্পিউটারটি রিস্টার্ট দিন আপনি ফোল্ডার অপশনটি পেয়ে যাবেন

http://www.somewhereinblog.net/blog/com/29060626

শনিবার, ২০ মার্চ, ২০১০

ইন্টারনেট ব্রাউজিং টিপস-১

জান্নাতুল সাদিয়া (sadctg@rocketmail.com )

Browse থেকে এসেছে Browsing শব্দটি। Browse- এর শাব্দিক অর্থ হল উপভোগের নিমিত্তে বইয়ের এখানে সেখানে পড়া কিন্তু ইন্টারনেটে Browsing মানে হল এক ওয়েব পেজ থেকে অন্য ওয়েব পেজে পরিভ্রমণ করা। ইন্টারনেট পরিভ্রমণ কিংবা ব্রাউজিংয়ের জন্য প্রয়োজন ব্রাউজিং সফটওয়্যার। এই ব্রাউজিং সফটওয়্যার ওয়েবে সংরক্ষিত তথ্যাবলীকে ইন্টারপ্রেট করে এবং Readable ফরম্যাটে রুপান্তর করে ব্যবহারকারীর স্ক্রিনে প্রদর্শন করে। এ সকল ব্রাউজিং সফটওয়্যারের মধ্যে নেটস্কেপ নেভিগেটর, মাইক্রোসফট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা, সাফারি, গুগল ক্রোম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে বহুল ব্যবহৃত দুটি ব্রাউজার হল গ Mozilla Firefox এবং Internet Explorer। তাই এ দুটি সফটওয়্যারে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের কিছু টিপস জানা থাকলে আশা করি আপনি সহজে ও দ্রুততার সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে সক্ষম হবেন। চলুন ব্রাউজিংয়ের কয়েকটি টিপস জেনে নিই।
কোনো ওয়েব পেজ অন্য কাউকে ই-মেইল করার জন্য ওয়েব পেজটি ওপেন অবস্থায় মেনু থেকে File>Send>Page by e-mail- -এ ক্লিক করুন(Internet Explorer-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। আর Mozilla Firefox -এর ক্ষেত্রে মেনু থেকে কমান্ড দিন File>Send Link Microsoft Outlook Express ওপেন হবে এবং পেজটি Attach দেখাবে।
৮ বিভিন্ন ওয়েব সাইটে পাওয়া যায় মনোমুগ্ধকর ছবি ও ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ। এ সকল ছবি আপনার ডেস্কটপের ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহারের জন্য ছবিটির উপর মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে Set As Desktop Background(Mozilla Firefox) অথবা Set As Background(Internet Explorer ) সিলেক্ট করুন।
ওয়েব পেজের দৈর্ঘ্য বেশি হলে স্ক্রলিং করে দেখতে হয়। এ কাজটি সহজে করতে পারেন Up Arrow এবং Down Arrow করে। এ্যারো ব্যবহার করে ধীরে ধীরে পেজের উপরে নিচে মুভ করা যায় আর দ্রুত মুভ করতে চাইলে Page Up এবং Page Down ব্যবহার করুন।
কীবোর্ড থেকে Ctrl+5 প্রেস করে ওয়েব পেজ সহজেই রিফ্রেস করা যায়।
ওয়েব পেজে ব্যবহৃত ফ্রেমের মধ্যে সম্মুখ ফ্রেমে যাওয়ার জন্য প্রেস করুন Ctrl+Tab এবং পূর্ববর্তী ফ্রেমে ফেরার জন্য প্রেস করুন Shift+Ctrl+Tab
এড্রেস বারে কোনো ওয়েবসাইট এড্রেসের মধ্যবর্তী অংশ যেমন--www.yahoo.com--এর ক্ষেত্রে Yahoo টাইপ করে Ctrl+Enter প্রেস করুন। ফলে এড্রেসের শুরুতে \\\'\\\'www\\\' এবং শেষে \\\'. com যুক্ত হবে।
আপনি চাইলে আপনার ফেভারিট ওয়েবসাইটের লিস্টটি ড্র্যাগ করেও পুন:সজ্জিত করতে পারেন।
যেকোনো ওয়েব পেজ প্রিন্ট করার জন্য Ctrl+P প্রেস করুন। প্রিন্ট ডায়ালগ বক্স Open হবে।
বর্তমানে ফেভারিট লিস্টের কোন পেজটি ওপেন হয়েছে তা জানার জন্য মেনুবারের ফেভারিট অপশনে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Link অপশন সিলেক্ট করুন।
যে সকল সাইটে আপনি প্রায় ভিজিট করেন সেসব সাইটের এড্রেস লেখার ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে ডেস্কটপে একটি শর্টকাট তৈরি করে নিতে পারেন। এজন্য মেনু থেকে File>Send>Shortcut to Desktopএ ক্লিক করুন।
সিঙ্গেল ক্লিকে ফেভারিট সাইটে প্রবেশের জন্য ফেভারিট সাইটটি লিংকস ফোল্ডারের অন্তর্ভুক্ত করুন। এবার মেনুবারের নিচে লিংকস ফোল্ডারটি প্রদর্শনের জন্য মেনু থেকেView>Toolbars>Links- -এ ক্লিক করুন। দেখবেন লিংকস ফোল্ডারের অন্তর্ভুক্ত সকল আইটেমের সাথে আপনার Add করা প্রিয় সাইটটিও দেখা যাচ্ছে। সাইটটির নামের উপর সিঙ্গেল ক্লিক করুন, সহজেই সাইটটিতে ঢুকতে পারবেন্‌।
ওয়েব পেইজে ব্যবহৃত কোনো ফ্রেমকে প্রিন্ট করার জন্য ফ্রেমের ভেতরে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Prin কমান্ড দিন।
মেনু থেকেView>Explorer Bar>Research -এ ক্লিক করুন। ফলে উইন্ডোর ডান পাশে ওয়েবপেজ ও বামপাশে উইন্ডোজের সার্চ অপশন দেখা যাবে।
 কোনো ওয়েব পেজের Background, Text I Link Color পরিবর্তনের জন্য মেনু থেকে Tools>Option>Content ট্যাব সিলেক্ট করুন। এবার Colors বাটনে ক্লিক করে পছন্দের রংটি সিলেক্ট করে দিন, তারপর Color Allow page to choose their own colors, instead on my selection above এবং Text And Background ক্যাটাগরির Use System Colors অপশন থেকে  চিহ্ন তুলে দিন(Mozilla Firefox-) আর Internet Explorer -এর ক্ষেত্রে মেনু থেকে Tools>Internet Option- এর এবহবৎধষ ট্যাবে ক্লিক করে General অপশনে গিয়ে পছন্দসই কালার সিলেক্ট করে আবার Internet Option -এর General ট্যাব থেকে Accessibility বাটনে ক্লিক করে Formatting ক্যাটাগরির ৩টি অপশনের চেক বক্স সিলেক্ট করে দিন। নিজের রঙে দেখুন ওয়েবের প্রতিটি পাতা।
যেকোনো ব্রাউজারে নতুন Window খোলার জন্য Ctrl+N প্রেস করুন।
কোর ওয়েব পেজের সমস্ত লিংক প্রিন্ট করার জন্য মেনু থেকে File>Print কমান্ড দিন। ফলে প্রিন্ট ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে। এবার এখান থেকে Option ট্যাবে ক্লিক করে Print all linked documents সিলেক্ট করুন(Internet Explorer- -এর জন্য )।
ফেভারিট লিস্টের কোনো আইটেমকে Rename করার জন্য Favorite List থেকে উক্ত আইটেমের উপর মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে Rename সিলেক্ট করে নতুন নাম দিন।

এডোব ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল

টিপলু বড়ুয়া tiplub@yahoo.com


Hand Tool-এর ব্যবহার: এই টুলটি দ্বারা ইলাস্ট্রেটরে কাজ করা কোনো আর্ট ওয়ার্ককে সহজে বিভিন্ন দিকে প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। টুল বক্সে হাতের মত যে টুলটি দেখা যায় সেটিই হল হ্যান্ড টুল। ইলাস্ট্রেটরে কাজ করার জন্য প্রত্যেকটি ধাপে এই টুলের ব্যবহার রয়েছে। টুলবক্স থেকে হ্যান্ড টুল সিলেক্ট না করে কীবোর্ড থেকে Spacebar চেপে ধরেও হ্যান্ড টুলের কাজ করা যায়।


Zoom Tool-এর ব্যবহার: ইলাস্ট্রেটরে করা কোনো কাজের ভিউকে বড় অথবা ছোট করে দেখার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়। এই টুলটির মাধ্যমে কোনো আর্টওয়াককে খুব ছোট পরিসরে অথবা বৃহৎ পরিসরে দেখা যায়। টুলবক্স থেকে জুম টুলটি সিলেক্ট করে স্ক্রিনে মাউস দিয়ে ক্লিক করলে ভিউ বড় করে দেখাবে। তাছাড়া কী বোর্ড থেকে Ctrl+ এবং Ctrl- চেপে যথাক্রমে ভিউ বড় অথবা ছোট করে দেখানো যায়। তবে এর চেয়ে কম সময়ে যদি ভিউ বড় ছোট করে দেখতে চান তাহলে Ctlr+Spacebar চাপুন তখন ভিউ বড় করে দেখাবে। আবার Ctrl+Alt+Spacebar চাপুন তখন ভিউ ছোট হবে।
এডোব ইলাস্ট্রেটরে কাজ করার সময় কম্পিউটার স্ক্রিনে যে সব প্যালেট দেখা যায় তা প্রদর্শন করার বিভিন্ন অপসন রয়েছে। যেমন: Window menu তে গিয়ে Style Libraries-এ ক্লিক করলে সেখান থেকে যেকোনো একটি স্টাইল সিলেক্ট করলে স্টাইল প্যালেট প্রদর্শিত হবে। তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যে বিভিন্ন প্যালেট প্রদর্শন করা যায়। যেমন: Transparency --- Shift+Ctrl+F10, Align --- Shift+F7, Transform --- Shift+F8, Symbols --- Shift+Ctrl+F11, Stroke --- F10, Pathfinder --- Shift+Ctrl+F9, Layers --- F7, Graphic Style --- Shift+F8, Gradient --- F9, Color --- F6, Attributes --- Ctrl+F11, Appearance ---Shift+F6 ইত্যাদি। উল্লেখ্য, মাউস দিয়ে যেকোনো প্যালেটকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুভ করা যায়।


কোনো অবজেক্টকে Group বা Ungroup করা: একের অধিক কোনো অবজেক্টকে প্রয়োজন অনুসারে গ্রুপ বা আনগ্রুপ করতে ওই অবজেক্টগুলোকে সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে গ্রুপ সিলেক্ট করতে হয়। আনগ্রুপ করতে একই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যেও গ্রুপ বা আনগ্রুপ করা যায়। একাধিক অবজেক্টকে গ্রুপ করতে Ctrl+G চাপুন। আর একাধিক অবজেক্টকে আনগ্রুপ করতে Shift+Ctrl+G চাপুন।


কোনো অবজেক্টকে Lock করে রাখা: কোনো আর্টওয়ার্কে অনেকগুলো অবজেক্টকে একত্রে সিলেক্ট করে কাজ করার সময় দেখা যায় কোনো অবজেক্টকে ভুলে সিলেক্ট করা যায়নি। তাই এ ভুলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে অবজেক্টটির কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয় সে অবজেক্টটিকে লক করে রাখা উচিত। সাধারণত যে অবজেক্টটিকে লক করে রাখতে হবে সেটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে লক অপশনে যেতে হবে অথবা আনলক করতে চাইলে একইভাবে আনলক করা যায়। তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যে কোনো অবজেক্টকে লক বা আনলক করা যায়। যে অবজেক্টটিকে লক করতে হবে সেটি প্রথমে সিলেক্ট করুন। এরপর Ctrl+2 চাপুন। আবার যে অবজেক্টটিকে আনলক করতে হবে সেটি প্রথমে সিলেক্ট করে Ctrl+Alt+2 চাপুন। অবজেক্টটি আনলক হয়ে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, লক করা কোনো অবজেক্টকে আনলক না করে মুভ করা, সিলেক্ট করা এবং এডিট করা যায় না।


কোনো অবজেক্টকে Hide করা: কোনো আর্টওয়ার্কে অনেকগুলো অবজেক্ট নিয়ে একসাথে কাজ করার সময় কাজের সুবিধার্থে সিলেক্ট করা অবজেক্টকে কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে অদৃশ্য করা যায়।
ইলাস্ট্রেটরের টুলবার থেকে সিলেকশন টুল নির্বাচন করে যে অবজেক্টটি বা অবজেক্টগুলো হাইড করতে হবে সেগুলো সিলেক্ট করুন।
এরপর Object থেকে Hide Selection-এ যান। আবার হাইড করা অবজেক্টকে প্রদর্শন করার জন্য Object থেকে Show All-এ যান।
তাছাড়া কীবোর্ডের সাহায্যেও কোনো অবজেক্টকে হাইড করা বা পুনরায় প্রদর্শন করা যায়। কোনো অবজেক্টকে হাইড করতে Ctrl+3 চাপুন। আবার কোনো অবজেক্টকে পুনরায় প্রদর্শন করতে Ctrl+Alt+3 চাপুন।


কোনো অবজেক্টকে Arrange করা: অনেকগুলো অবজেক্ট নিয়ে একসাথে কাজ করার সময় কোনো অবজেক্টকে অন্য অবজেক্টের নিচে অথবা উপরে নিয়ে আসার প্রয়োজন পড়ে কারণ এতে কাজের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়।
টুলবার থেকে স্টার টুলটি নির্বাচন করে কম্পিউটার স্ক্রিনে এটি এঁকে নিন। এরপর কালার প্যালেট থেকে যেকোনো একটি কালার দিয়ে এটির ফিল করে নিন। একইভাবে টুলবার থেকে রেকটেঙ্গুলার টুল নিয়ে তাও এঁকে নিন। এটি রং করে নিন কিন্তু এতে একটু ভিন্ন রং করুন। এরপর এই দুটি অবজেক্টকে একসাথে আংশিক লাগিয়ে রাখুন। দেখা যাবে একটি অবজেক্ট অন্য একটি অবজেক্টের উপর স্থাপিত হয়েছে। এখানে যে অবজেক্টটি নিচে আছে তা যদি উপরে স্থাপন করা হয় তাহলে সেটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Bring to Front-এ যান। তখন নির্বাচিত অবজেক্টটি সামনে চলে আসবে।
দুটি বা তার বেশি কোনো অবজেক্টের মধ্যে কোনো অবজেক্টকে পিছনে নিয়ে স্থাপন করতে চাইলে ওটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Bring to Back-এ যান।
কয়েকটি অবজেক্ট থেকে কোনো অবজেক্টকে অন্য অবজেক্ট থেকে এক লেবেল সামনে আনতে চাইলে তাহলে ওটি সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Bring to Forward-এ যান।
একইভাবে কোনো অবজেক্টকে এক লেবেল পিছনে নিয়ে যেতে চাইলে ওই অবজেক্টটি সিলেক্ট করে একইভাবে Bring to Backward-এ যান।
অর্থাৎ Bring to Front দিয়ে অবজেক্টকে সামনে আনা যায়, Bring to Back দিয়ে অবজেক্টকে পিছনে নেয়া যায়, Bring to Forward-এ গিয়ে অবজেক্টকে এক লেবেল সামনে আনা যায় এবং Bring to Backward দিয়ে অবজেক্টকে এক লেবেল পিছনে নেয়া যায়।


কোনো অবজেক্টের বিভিন্ন অংশকে সিলেক্ট করা: কোনো অবজেক্টকে সিলেক্ট করার জন্য সিলেকশন টুল ব্যবহার করে সিলেক্ট করা যায়। তাছাড়া Select Menu-তে গিয়ে সিলেক্ট বা ডি-সিলেক্ট করা যায়। তবে কীবোর্ডের সাহায্যেও কোনো অবজেক্টকে সিলেক্ট বা ডি-সিলেক্ট করা যায়। যেমন: কোনো আর্টওয়াকের সব অবজেক্ট একসাথে সিলেক্ট করতে Ctrl+A চাপুন। কোনো অবজেক্টকে ডি-সিলেক্ট করতে Ctrl+Shift+A চাপুন। তাছাড়া সিলেক্ট মেনু থেকে কোনো অবজেক্টকে রি-সিলেক্ট এবং ইনভার্সও করা যায়। কোনো আর্টওয়ার্কে বিভিন্ন রংয়ের অবজেক্টের মধ্যে একই ধরনের কালারের অবজেক্ট সিলেক্ট করতে প্রথমে সিলেক্ট মেনুতে যেতে হবে। এরপর Same Option-এ গিয়ে Fill Color অথবা Stroke Color Select করতে হবে। ফলে একই রংয়ের সব অবজেক্টই সিলেক্ট হয়ে যাবে।


কোনো টেক্সট বা অবজেক্ট-এর কালারের পারসেন্টেজ কমানো বা বাড়ানো: অবজেক্টের রং কমানো বা বাড়ানোর কাজ করতে হলে প্রথমে ট্রান্সপারেন্সি অপশনে যেতে হবে। কীবোর্ড থেকে Shift+F10 চাপুন। তারপর ট্রান্সপারেন্সি যত টাইপ করে দেয়া হয় তত পারসেন্ট কালার দেখা যাবে।


Brush Palette থেকে ব্রাশ সিলেক্ট করে বর্ডার তৈরি করা: যেকোনো ধরনের বর্ডার তৈরি করার জন্য প্রথমে টুলবক্স থেকে রেকটেঙ্গুলার টুল নিয়ে এটি আর্টবোর্ডে এঁকে নিন। এর এটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Window>Brush Libraries>Border Sample যেতে হবে। তারপর রেকটেঙ্গুলারটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় বর্ডার সেম্পল থেকে যেকোনো একটি বর্ডার সিলেক্ট করুন। ফলে ওই রেকটেঙ্গুলারটির চারদিকে একটি বর্ডার তৈরি হবে।


Brush Palette-এ নতুন করে ব্রাশ তৈরী করা: ব্রাশ প্যালেটে যে সমস্ত ব্রাশ আছে এগুলো ছাড়া নিজের ইচ্ছেমত ব্রাশ তৈরি করা যায়। এটি করার জন্য প্রথমে ব্রাশ তৈরি করার জন্য যে সিম্বল বা টেক্সট নির্বাচন করতে হবে তা আর্টবোর্ডে আঁকতে হবে। এরপর উইন্ডো থেকে ব্রাশ লাইব্রেরি অথবা ব্রাশেস অপশনে যেতে হবে। তারপর যে অবজেক্টটি বর্ডার হিসেবে তৈরি করতে চান সেটি মাউস দিয়ে ড্র্যাগ করে ব্রাশ প্যালেটে রাখতে হবে। ফলে নতুন করে একটি ব্রাশ তৈরি হবে। এরপর টুলবক্স থেকে রেকটেঙ্গুলার টুল নিয়ে আর্টবোর্ডে একটি রেকটেঙ্গুলার অংকন করে সেটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় তৈরিকৃত ব্রাশটিতে ক্লিক করলে ঐ রেকটেঙ্গুলারের চারদিকে সেই বর্ডারটি প্রদর্শিত হবে।

ইন্টারনেট ব্রাউজিং টিপস-2

জান্নাতুল সাদিয়া ( sadctg@rocketmail.com )


আপনি চাইলে জায়গা সংরক্ষণের জন্য Toolbar,Links bar এবং Address bar কে ড্র্যাগ করে যেকোনো দিকে স্থাপন করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন বার একসাথেও রাখতে পারেন।
Internet Explorer সম্বন্ধে নানা তথ্য জানার জন্য কিংবা ব্রাউজিং সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানার জন্য মেনু থেকে Help>Contents and Index-এ ক্লিক করুন।


Mozila Firefox-এর টুলবারের পরিবর্তনরে জন্য মেনু থেকে কমান্ড দিন View>Toolbars>Customize।
কোনো পেজের ডাউনলোড মাঝপথে বন্ধ করার জন্য \'Esc\' প্রেস করুন।


হোম পেজ পরিবর্তন করার জন্য পেজটি খোলা অবস্থায় মেনু থেকে Tools>Internet Options-এ ক্লিক করে Use Current বাটন সিলেক্ট করুন।
ইন্টারনেট ব্রাউজিং হিস্ট্রি ক্যাশ মেমোরি দখল করে রাখে। ফলে কম্পিউটারের গতি হ্রাস পেতে পারে,এজন্য Temporary Internet File ডিলিট করুন। মেনু থেকে কমান্ড দিন Tools>Internet Option>Delete।


আপনি চাইলে যেকোনো পেজকে আপনার ফেভারটি লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, এজন্য পেজটি ওপেন অবস্থায় Mozila Forefox-এর ক্ষেত্রে Bookmarks>Organize Bookmarks বা Ctrl+Shift+B কিংবা Bookmarks this page-এ ক্লিক করুন। আপনি যদি Internet Explorer ইউজার হন তাহলে Favorite>Organize Bookmarks বা Add to Favorite-এ ক্লিক করুন অথবা কীবোর্ড থেকে Ctrl+D Press করুন।


ওয়েবপেজে লিংকের নিচে Underline Turn Off করে দেয়ার জন্য Internet Explorer-এর মেনুবার থেকে Tools>Internet Option- ক্লিক করে Advanced ট্যাব সিলেক্ট করে Underline links ক্যাটাগরি থেকে Never সিলেক্ট কর\"ন। আর মজিলা ফায়ারফক্সের Tools>Option-এর অধীনে Content ট্যাবের Colors বাটন সিলেক্ট করে Link Colors ক্যাটাগরির Underline Links থেকে ÔÕ চিহ্ন তুলে দিন।
পরবর্তী পেজে যাওয়ার জন্য কীবোর্ড থেকে Alt+RightArrow প্রেস করুন এবং পূর্ববর্তী পেজে আসার জন্য কীবোর্ড থেকে Alt+Left Arrow অথবা Backspace প্রেস করুন।


কোন কোন সাইট সমপ্রতি ভিজিট করেছেন তার তালিকা দেখার জন্য এড্রেস বারের ড্রপ ডাউন লিস্টে ক্লিক করুন অথবা F4 প্রেস করুন।


Internet Explorer -এর টুলবার Tools Add অথবা Remove করার জন্য টুলবারের Tools আইকন থেকে Toolbars>Customize-এ ক্লিক করুন অথবা টুলবারের ফাঁকা জায়গায় মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে Customize command bar-এ ক্লিক করে টুলস Add অথবা Remove করতে পারেন। এছাড়া Mozila Forefox-এর ক্ষেত্রে মেনু থেকে কমান্ড দিন View>Toolbars>Customize।


কোনো ওয়েবপেজ পরবর্তী যেকোনো সময় ইন্টারনেটবিহীন অবস্থায় পড়ার জন্য মেনুবার থেকে কমান্ড দিন File>Save As। একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে, এতে একটি পছন্দসই নাম দিয়ে ওয়েব পেজটি কাংঙ্ক্ষিত লোকেশনে সেভ করে রাখুন।


Full Screen মোডে ওয়েব সাইট দেখার জন্য F11 প্রেস করুন।
কোনো ওয়েব পেজ কিংবা পিকচার ওপেন না করেই Save করতে চাইলে লিংকটির উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Save Target As সিলেক্ট করুন।
যে ওয়েবসাইটে যত বেশি ছবি, এনিমেশন, সাউন্ড ব্যবহার করা হয় সেই ওয়েবসাইট লোডিং হতে তত বেশি সময় লাগে। ওয়েব পেজের লোডিং দ্রুতগতিসম্পন্ন করার জন্য মেনু থেকে Tools>Internet Option-এর Advanced ট্যাব সিলেক্ট করে Multimedia ক্যাটাগরি থেকে চষধু Play animation in webpages, Play sound in webpages এবং Show pictures অপশনের উপর থেকে ÔÕ তুলে দিন (Internet Explorer-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
কোনো ওয়েব পেজের শুরুতে ফিরে যেতে কীবোর্ডের Home কী প্রেস করুন এবং পেজের একেবারে শেষ প্রান্তে যাওয়ার জন্য End কী প্রেস করুন।
আপনি চাইলে প্রতিটি ওয়েব পেজের জন্য পৃথক পৃথক Security Level নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এজন্য মেনু থেকে Tools>Internet Options-এর Security ট্যাব সিলেক্ট করে Security Level নির্ধারণ করুন।
ওয়েব পেজের অন্তর্ভুক্ত কোনো Word বা Phrase খোঁজার জন্য কীবোর্ড থেকে Crl+F প্রেস করুন। ফলে Find ডায়ালগ বক্স আসবে। ওয়েব পেজের যেকোনো একটি ওয়ার্ড লিখে Next দিন, ফলে ওয়েব পেজের যে যে স্থানে শব্দটি আছে সেটি হাইলাইট করে দেখাবে।


পিসির গতি বাড়ানোর টিপস


জান্নাতুল সাদিয়া ( sadctg@rocketmail.com )
Temporary ফাইল ডিলিট করুন: বিভিন্ন প্রোগ্রাম চলাকালীন অনবরত Temporary ফাইল তৈরি হয় যা ওই প্রোগ্রামের জন্য জরুরি। প্রোগ্রামটি বন্ধ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট হবার কথা থাকলেও এসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল হার্ডডিস্কের একটি অংশ দখল করে রাখে। এসব টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করলে হার্ডডিস্কের ফ্রি স্পেস বৃদ্ধি পায়, ফলে কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি পাবে। টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট করার জন্য Start মেনু থেকে Run- এ ক্লিক করুন কিংবা কীবোর্ড থেকে Winkey+R প্রেস করুন। Run ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে, এতে \'%temp%\'\' লিখে Enter প্রেস করুন। Temp নামের একটি উইন্ডো ওপেন হবে, এতে প্রদর্শিত সমস্ত ফাইল ডিলিট করে দিন।

টেম্পোরারি ফাইল খোঁজার আরেকটি উপায় হল Search>All files and folder-এ ক্লিক করে টেক্সট বক্সে Õ*.temp’ লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন। এবার সার্চে প্রাপ্ত সকল ফাইল ডিলিট করুন।

স্টার্টআপ পরিচ্ছন্ন রাখুন: কোনো কম্পিউটারের স্টার্টআপ যত দ্রুত হবে সেই কম্পিউটারের পারফরমেন্স তত বেশি ভাল হবে। Start upএ কোন কোন প্রোগ্রাম লোড হয়েছে তা দেখার জন্য Start মেনু থেকে Run-এ ক্লিক করুন অথবা শর্টকাট কী Win-key+R প্রেস করুন। Run নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এর টেক্সট বক্সে টাইপ করুন \'configure\'\'। এবার Ok বাটনে ক্লিক করুন। System Configuration Utility নামের একটি উইন্ডো ওপেন হবে। এবার উইন্ডোটির Startup ট্যাবে ক্লিক করুন। কম্পিউটার স্টার্ট হবার সময় যত প্রোগ্রাম লোড হয় তার একটি লিস্ট দেখা যাবে। প্রতিটি প্রোগ্রামের নামের বাম পাশে টিক চিহ্ন দেয়ার ব্যবস্থা আছে। এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলোর নামের উপর থেকে (চ)চিহ্ন তুলে দিন। তারপর কম্পিউটারটি একবার রিস্টার্ট দিন।

ক্যাশ পরিষ্কার রাখুন: যখন কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা হয় তখন তা মেমোরির একটি অংশ দখল করে রাখে। পরে অন্য সাইট খুললেও ক্যাশ মেমোরি আগের ওয়েবসাইটটি মনে রাখে এবং কম্পিউটারের গতি হ্রাস করে। তাই ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করে ক্যাশ মেমোরি পরিচ্ছন্ন রাখুন।
ব্রাউজিং হিস্ট্রি ডিলিট করার জন্যMozilla Firefox -এর ক্ষেত্রে মেনু থেকে কমান্ড দিন History>Show All History Library নামে একটি উইন্ডো ওপেন হবে। এত প্রদর্শিত ফাইলগুলো ডিলিট করে ক্যাশ মেমোরি ফ্রি রাখুন।Internet Explorer--এর ক্ষেত্রে মেনু থেকে Tools>Delete Browsing History তে ক্লিক করুন। একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে, এর Delete All বাটনে ক্লিক করুন। একটি Warning মেসেজ আসবে, এর Yesবাটনে ক্লিক করুন। ফলে Temporary Internet File, Cookies, History, Form Data, Password ইত্যাদি একসাথে ডিলিট হয়ে যাবে। তাছাড়া এগুলো আলাদা আলাদা করে ডিলিট করার ব্যবস্থাও আছে।

অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইন্সটল করুন: যে সকল প্রোগ্রাম আপনি কখনোই ব্যবহার করেন না কিংবা আগে ব্যবহার করতেন কিন্তু এখন প্রয়োজন হয় না, এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো সিস্টেম থেকে রিমুভ বা Uninstall করে ফেলুন। ফলে সিস্টেমেরFree Space বেড়ে যাবে এবং গতি বৃদ্ধি পাবে। অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইন্সটল করার জন্য Start>Control Panel>Add Or Remove Programs -এ ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামটির নামের উপর Remove বাটনে ক্লিক করে প্রোগ্রামটি সিস্টেম থেকে রিমুভ করে দিন।
অপ্রয়োজনীয় ফন্ট আনইন্সটল করুন: অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো মেমোরির একটি বড় জায়গা দখল করে রাখে। তাই এগুলো আনইন্সটল করা প্রয়োজন তবে লক্ষ্য রাখতে হবে উইন্ডোজের ডিফল্ট ফন্ট যেন ডিলিট হয়ে না যায়। অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো v Uninstall করতে Start>Control Panel>Fonts-এ ক্লিক করুন। এবার এখান থেকে অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলোর নামের উপর মাউসের রাইট বাটন প্রেস করে Delete বাটনে ক্লিক করুন।

কম্পিউটারে বেশি RAM যোগ করুন: উচ্চ গতিসম্পন্ন উইন্ডোজের স্বাদ পেতে RAM -এর কোনো বিকল্প নেই। ইদানীং কম্পিউটারগুলোতে বেশ উচ্চমানের RAM ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি যদি পুরোনো কম্পিউটার ইউজার হয়ে থাকেন এবং আপনার র‌্যামটি যদি ৬৪ বা ১২৮ মেগাবাইটের হয়ে থাকে তবে আরেকটি ২৫৬ বা ৫১২ মেগাবাইটের RAM লাগিয়ে নিয়ে পিসির স্পিড কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। RAM যোগ করার ফলে মাল্টিটাস্কিং এনভায়রনমেন্ট অর্থাৎ একসাথে অনেকগুলো প্রোগ্রাম অনায়াসে রান করতে পারবেন এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের গতি বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি পুরো সিস্টেমের গতি আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

নিয়মিত Disk Cleanup করুন: আমাদের অজান্তে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফাইল কম্পিউটারের মেমোরি দখল করে রাখে। এসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করার উপযুক্ত উপায় হল ডিস্ক ক্লিনআপ। ডিস্ক ক্লিনআপ করার জন্য Start>Accessories> System tools>Disk Cleanup-এ ক্লিক করুন। Select Drive উইন্ডো আসবে। এতে ড্রাইভ সিলেক্ট করে Ok বাটন প্রেস করুন। Disk Cleanup উইন্ডো আসবে। View File অপশনে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডিলিট করে দিন। এছাড়া উরংশ Disk Cleanup উইন্ডোতে More Option ট্যাবে ক্লিক করে ক্যাটাগরি অনুসারে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলি রিমুভ করতে পারেন।

নিয়মিত ডিস্ক ডিফ্র্যাগ করুন: ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার কম্পিউটারের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাটাগুলোকে এক জায়গায় এনে পিসির পারফরম্যান্স বা অ্যাকসেস গতি বাডিয়ে দেয়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ডিস্ক ডিফ্র্যাগ করলে সিস্টেমের গতি অনেক বেড়ে যায়। এজন্য >Accessories>System Tools>Disk Defragmenter- এ ক্লিক করুন। ডিস্ক ডিফ্র্যাগ উইন্ডো ওপেন হবে। এতে ড্রাইভ সিলেক্ট করে Close বাটনে ক্লিক করুন। একটি মেসেজ আসবে, রিপোর্ট দেখা যাবে আর রিপোর্ট দেখতে না চাইলে ঈষড়ংব বাটনে ক্লিক করে দ্বিতীয় ড্রাইভটি সিলেক্ট করে আগের নিয়ম অনুসারে সবগুলো ড্রাইভ ডিফ্র্যাগ করে নিন।

ডিস্ক স্পেস ফ্রি রাখুন: আপনার হার্ডডিস্ক যতই বড় হোক না কেন একটি ড্রাইভের কমপক্ষে ৩০% স্পেস খালি রাখুন। ৩০%-এর কম জায়গা থাকলে সিস্টেমের গতি হ্রাস পায়।
র্স্টাটমেনু স্পিডআপ করুন: উইন্ডোজ এক্সপিতে ডিফল্টভাবে স্টার্টমেনুর স্পিড স্লো কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলে এর গতি বাড়িয়ে দিতে পারেন। এজন্য Start>Run--এ ক্লিক করুন। রান ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে। এই বক্সের টেক্সট বক্সে টাইপ করুন \'regedit\' এবার ok বাটন প্রেস করুন। Registry Editor উইন্ডো ওপেন হবে। এই উইন্ডোর বামপাশের ক্যাটাগরি থেকে HKEY_CURRENT_USER>Control Panel>Dekstop>Menushowdelay তে ডাবল ক্লিক করুন। Edit String উইন্ডো ওপেন হবে। এতে Value Data টেক্সট বক্সের মান ’১’ লিখে এন্টার চাপুন। লক্ষ্য করুন স্টার্টমেনুর স্পিড অনেক বেড়ে গেছে।

মাউস স্পিড বৃদ্ধি করুন: মাউস ধীর গতিতে কাজ করছে? ভাবছেন মাউসটি ভাল মানের নয় কিন্তু জানেন কি আপনি চাইলে সহজে মাউসস্পিড বাড়িয়ে দিতে পারেন। এজন্য Start>Run>Regedit লিখেok বাটনে ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো ওপেন হবে। HKEY_CURRENT_USER>Control Panel>Mouse>Mousespeed- -এ ডাবল ক্লিক করে মান বাড়িয়ে দিন।

পিসি ভাইরাসমুক্ত রাখুন: কম্পিউটার ধীর গতির হবার একটা সাধারণ কারণ হল কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যাবে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিস্টেম ফাইল ও প্রোগ্রাম হারিয়ে যেতে পারে। এজন্য সব সময় একটি আপডেট এন্টিভাইরাস দিয়ে কম্পিউটারের সকল ড্রাইভ স্ক্যান করুন। কম্পিউটার অতিরিক্ত ভাইরাস আক্রান্ত হলে C ড্রাইভটি ফরম্যাট করুন। আর সাধারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে System Restore করে দেখতে পারেন। সিস্টেম রিস্টোর করার জন্য মেনু থেকে Start>All Programs> Accessories>System Tools>System Restore -এ গিয়ে কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত ছিল এমন একটি তারিখ সিলেক্ট করে দিন। তাহলে কম্পিউটারটি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

পিসির পারফরম্যান্স বৃদ্ধির আরও কয়েকটি টিপস
স্টার্টমেনু থেকে রান ডায়ালগ বক্স ওপেন করে টেক্সট বক্সে লিখুন \' \'Tree\'। একটি কালো পর্দা ওপেন হয়ে নিজে নিজে বন্ধ হয়ে যাবে।
রান ডায়ালগ বক্সের টেক্সট বক্সে লিখুন \'Pref etch\' তারপর কীবোর্ড থেকে এন্টার কী প্রেস করুন। প্রিফেচ উইন্ডো ওপেন হলে সমস্ত ফাইল Shift+Delet করে দিন।
এছাড়া রান টেক্সট বক্সে \'temp লিখে এন্টার প্রেস করুন। একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে। এখান থেকে সমস্ত ফাইল ও ফোল্ডার শিফট সহকারে ডিলিট করুন।
রান ডায়ালগ বক্স খুলে টাইপ করুন \'ৎবপবহঃ\', এবার কীবোর্ড থেকে এন্টার কী প্রেস করুন। My Recent Document নামক একটি উইন্ডো খুলবে। এবার সব ফাইল ডিলিট করুন।কারণ রিসেন্ট ডকুমেন্ট মেমোরির অনেক জায়গা দখল করে রাখে ফলে সিস্টেম ধীরগতির হতে পারে। উপরোক্ত কমান্ডসমূহ নিয়মিত প্রয়োগের ফলে কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০১০

ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি

Windows Vista বাজারে আসার পর নুতন বেশকিছু ল্যাপটপ কম্পিউটারকে উইন্ডোজ ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা হয় । এ সব কম্পিউটারে Windows XP Setup করতে গেলে মেসেজ আসে setup did not find any hard disk. এসব কম্পিউটারে Windows XP setup করতে হলে নতুন করে Windows XP CD তৈরি করে নিতে হয় । নুতন ল্যাপটপ কিনে যারা Windows XP setup করতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই লেখা। Vista যদি আপনার বিরক্তির কারণ হয় তাহলে এখুনি সেটআপ করে নিতে পারেন Windows XP ।

প্রয়োজনীয় সফ্টওয়ার

এ জন্য আমাদেরকে তিনটি সফ্টওয়্যার সংগ্রহ করতে হবে । এই তিনটি সফ্টওয়্যারের সাথে প্রয়োজন হবে সাটা (SATA) ড্রাইভার । চিন্তার কিছুই নেই সবগুলো সফ্টওয়ার ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে । 1. nlite 2. net fremwork 2.0 3. iso buster

কম্পিউটারের প্রতিটি ডিভাইসের জন্য ড্রাইভার প্রয়োজন হয। যেমন – সাউন্ড ড্রাইভার, মাউস ড্রাইভার, হার্ডডিস্ক ড্রাইভার, সিডিরম ড্রাইভার ইত্যাদি । windows xp যখন বাজারে ছাড়া হয় তখন ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলোতে সাটা হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হত না । এ কারণে সাটা হার্ডডিস্কের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রাইভার windows xp cd –তে দেওয়া হয়নি । বর্তমানে বেশীরভাগ লেপটপ কম্পিউটারেই সাটা হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হচ্ছে । windows xp cd-তে সাটা (SATA) হার্ডডিস্ক ড্রাইভার না থাকায় নতুন ল্যাপটপে xp সেটাপ করতে গেলে মেসেজ আসে setup did not find any hard disk. সাটা (SATA) হার্ডডিস্কের জন্য ড্রাইভার না থাকার কারণে এ মেসেজটি আসে । এখানে আমাদের মূল কাজ হচ্ছে windows xp cd-তে সাটা (SATA) ড্রাইভার এড করা । nlite দিয়ে xp সিডিতে যেকোন ড্রাইভার এড করা য়ায় ।

সাটা ড্রাইভার কোথায় পাবেন

প্রতেকটি ল্যাপটপ কম্পিউটার কোম্পানীর নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে । আপনি যে কোম্পানীর কম্পিউটার ব্যবহার করেন সে কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে সাটা (SATA) ড্রাইভার সংগ্রহ করুন। অথবা গুগল থেকে সার্চ করেও সাটা (SATA) ড্রাইভার সংগ্রহ করতে পারেন । বেশীরভাগ কম্পিউটারেই Toshiba হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয় । Toshiba সাটা হার্ডডিস্ক ড্রাইভার দিয়ে একটি সিডি বানালে বেশীরভাগ ল্যাপটপে XP setup করা যাবে ।

Dot Netfremwork 2.0 : net framework ছাড়া nlite setup করা যায় না । তাই আগে ডট নেটফ্রেমওয়ার্ক সেটাপ করে নিন, এরপর nlite setup করুন ।

ডাউনলোড লিংক-

আসুন এবারে আমরা উইন্ডোজ এক্সপি সিডিকে নুতন করে তৈরি করে নেই, যা দিয়ে আমরা নতুন ল্যাপটপ কম্পিউটারগোলোতে উইন্ডোজ এক্সপি সেটাপ করতে পারব । প্রথমেই আইএসও বুস্টার সেটাপ করে রান করুন । এবারে উইন্ডোজ এক্সপি সিডিটি (Original XP CD) ড্রাইভে ঢুকিয়ে দিন । সিডিটি চালু করার পর আই এসও বুস্টারের লঞ্চ স্ক্রীণ থেকে bootable disc এ ক্লিক করুন । এরপর Microsoft Corporation.img এ ক্লিক করে Extract Microsoft Corporation.img ক্লিক করুন । এবারে ইমেজটি সেভ করুন । (Windows XP setup করার শুরুতে স্কীনে লেখা আসে press any key to boot from cd … এটি হচ্ছে Microsoft Corporation.img এর কাজ । কোন ফুল্ডারে কপি করা xp cd বার্ন করলে Microsoft Corporation.img টি কাজ করবে না । এজন্য ইমেজটিকে nlite দিয়ে সিডি বার্ন করায় আগে সেট করে দিতে হবে । Microsoft Corporation.img টি গুগল থেকে সার্চ করেও সংগ্রহ করা যাবে ।)

এবারে একটি ফোল্ডার বানিয়ে এক্সপি সিডিটি ফোল্ডারে কপি করুন । একই ফোল্ডারে Microsoft Corporation.img টিকেও কপি করুন । যে কম্পিউটারের জন্য সিডি তৈরি করবেন ঐ কম্পিউটারে সাটা ড্রাইভারগুলো একটি ফ্লপিতে কপি করে নিন । জিপ ফাইলগুলোকে এক্সট্রাক্ট করার পর ফ্লপিতে কোনো ফোল্ডার ছাড়া এক্সট্রাক্ট করা ফাইলগুলো কপি করুন ।

  • এন লাইট রান করন ।
  • নেক্সট এ ক্লিক করুন ।

SATAWIN 002 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 003 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 004 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 005 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 006 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 007 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  TechtunesSATAWIN 007 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 008 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 009 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

SATAWIN 011 small ভিস্তার জন্য ডিজাইন করা ল্যাপটপ কম্পিউটারে XP Setup করার পদ্ধতি  Techtunes

  • ব্রাউজে ক্লিক করে ফোল্ডারে কপি করা এক্সপি সিডিটি লোড করুন ।
  • কয়েক ধাপ অগ্রসর হয়ে Drivers এন্ড Bootable iso সিলেক্ট করুন ।
  • Insert এ ক্লিক করে ফ্লপি থেকে সাটা ড্রাইভারগুলো এড করুন । এখন nlite দিয়ে সিডি বার্ন করা যাবে । বার্ন করার আগে Microsoft Corporation.img টি এড করে বার্ন কমপ্লিট করুন

  • http://techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/2033/

“NTLDR file is missing” সমস্যা হলে কি করবেন ?

Windows xp তে আমার কমবেশী সবাই এই ত্রুটিটি সর্ম্পকে জানি, এটি সর্বাপেক্ষা সাধারণ ত্রুটির একটি এটি সিস্টেমে ঘটায়প্রাযই দেখি । এটির সাধারণ সমাধান না করে আমরা অনেকেই সিস্টেম ফরম্যাট করে নতুন করে Windows xp setup করি কারণ, হয়তো জানি না কিভাবে এটি সমাধান করা যায় । আসুন আগে জানার চেস্টা করি কেন এটি হয় ।
“এই সমস্যাটি ঘটেতে পারে যদি MFT root folder টি severely fragmented হয়। অথবা যদি MFT মূল ফোল্ডার অনেক ফাইল ধারণ করে, MFT fragmented হতে পারে যদি সেখান একটি অতিরিক্ত বরাদ্দ করা সূচিপত্র (additional allocation index) তৈরি করা হয়। কারণ ফাইল বরাদ্দ করা সূচিপত্রে বর্ণানুক্রমিক ম্যাপ করা হয়, NTLDR ফাইলটি হয়তো দ্বিতীয় allocation index. এ ধাক্কা দেয় । যখন এইটি ঘটায়, আপনি ত্রুটি বার্তা গ্রহন করেন যে , NTLDR is missing . এই অবস্থাটি ঘটেতে পারে যদি একটি program নিয়মিতভাবে তৈরি করে এবং removes temporary files in the root folder , অথবা যদি অনেক ফাইল ভূলের কারনে মূল ফোল্ডারে (root folder ) কপি করা হয়।”
আসুন জনে নেই এই ত্রুটিটি যে বড় নয় এবং Windows পার্টিশনের মূল ডিরেক্টরীতে উইন্ডোজ XP সিডি-রম থেকে NTLDR ফাইল কপি করে কিভাবে সমাধান করা যায় ।
 “NTLDR file is missing”  সমস্যা হলে কি করবেন ? | Techtunes

পদক্ষেপ সমূহ :

১। আপনার কম্পিউটার সিডি-রম ড্রাইভে Windows XP ইনস্টলেশন সিডি ঢোকান এবং Computer Restart করুন।
২। আপনার কম্পিউটারকে CD থেকে Boot করতে Del,F2,F10,F8, যা চাপতে হয় চেপে CD থেকে Boot করতে হবে ।
৩।এবার লোডকৃত, Windows XP setup মেনু থেকে আপনাকে Windows Repair “R” select করতে হবে ।
৪।এবার স্কীনে আসবে
1:c:\windows
Which windows installation would you like to log into
( to cancel………………press enter )
এখন আপনাকে 1 চাপতে হবে
এবার আপনার কাম্পউটারে যদি পূর্বে পাশওয়ার্ড দেওয়া থাকে তাহলে সেই এডমিন পাশওয়ার্ড দিয়ে Enter চাপতে হবে ।
৫। এবার স্কীনে আসবে
C:\ Windows>-
এবার CD Rom drive এ প্রবেশ করতে (ধরি আপনার CD Rom drive টি আছে E : তে )
C:\ Windows>e: লিখে Enter চাপতে হবে ।
৬। এবার স্কীনে আসবে
E:\
E:\ dir লিখে Enter চাপতে হবে (Confirm হওয়ার জন্য যে আপনার CD Rom drive টিতে Windows XP আছে) ।
৭। এবার
E:\ copy e:\i386\ntldr c:\ লিখে Enter চাপতে হবে ।
নীচে 1 file(s) Copied লেখাটি আসবে
৮।এবার
E:\ exit লিখে Enter চাপতে হবে ।
ব্যাস আপনার কাজ শেষ ।
এবার Computer Restart হবে এবং আপনার Boot Option পবির্বতন করে HDD করে দিন । দেখুন এখন Computer ঠিক মতো চলছে ।
লেখাটি আমার মতো কম জানা টিউনারদের জন্য সহজ ভাবে লেখা হয়েছে ভুল হলে বলবেন ঠিক করে নিবো । সবাইকে ধন্যবাদ ।


Source

সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

উইন্ডোজ সেটাপ করার আগে কম্পিউটার থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল সরিয়ে ফেলতে হবে । সিডি অথবা ফ্লাশ মেমোরীতে কপি করা যেতে পারে অথবা কম্পিউটারে যদি একাধিক ডিস্ক পার্টিশন থাকে C ড্রাইভ ছাড়া অন্য যেকোন ড্রাইভে প্রয়োজনীয় ফাইল কপি করে রাখা যাবে । WINDOWS সাধারণত: C ড্রাইভে সেটাপ করতে হয় ।

বায়োসে প্রবেশ করার জন্য সাধারণত: F2 অথবা DELETE প্রেস করতে হয় । কোন কোন কম্পিউটারে এর ব্যতিক্রমও আছে । কম্পিউটার চালু করে স্কীনে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বায়োসে প্রবেশ করার জন্য কোন কী প্রেস করতে হবে । নীচের ছবিটি লক্ষ্য করুন । press F2 to enter setup এখানে বায়োস সেটাপে প্রবেশ করার জন্য F2 প্রেস করতে হবে ।

q large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের ছবিটিতে লক্ষ্য করুন 1ST BOOT DEVICE [CDROM] সেট করা আছে । এটিকে প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যায় । একটি কম্পিউটারে একাধিক BOOT ডিভাইচ থাকে । আমরা যেহেতু সিডি থেকে WINDOWS XP SETUP করব সেজন্য আমাদেরকে 1ST BOOT সেটাপ করতে হবে CDROM . কোন কোন কম্পিউটারে বায়োচে প্রবেশ না করে F12 প্রেস করেও BOOT সিলেক্ট করা যায় ।

উইন্ডোজ সিডি অথবা সিডিরমে যদি কোন সমস্যা থাকে অথবা সিডি রম যদি দুর্বল হয় তাহলে উইন্ডোজ সেটাপ করতে সমস্যা হতে পারে ।

bootscreen1 large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

xp1 large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

বায়োচ সেটাপ কমপ্লিট করার পর F10 প্রেস করে SAVE করুন । সিডি রমে WINDOWS সিডি দিয়ে বায়োচ থেকে বেরিয়ে আসুন ।

WINDOWS SETUP করার জন্য কম্পিউটার RESTART করুন । PRESS ANY KEY TO BOOT FORM CD লেখাটি স্কীনে দেখা যাবার সাথে সাথে কীবোর্ড থেকে যেকোন একটি কী প্রেস করুন ।

newpicture large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

বুট শুরু হবার পর BLUE NCREEN –এর নীচে একটি ম্যাসেজ থাকবে PRESS F6 IF YOU NEED TO INSTALL ANY THIRD PARTY OR RIDE DRIVERS. এই RIDE DRIVER বা সাটা DRIVER সব কম্পিউটারে দরকার হয় না । যদি সাটা ড্রাইভার সেটাপ করার প্রয়োজন হয় তাহলে F6 প্রেস করে ফ্লপি থেকে সাটা ড্রাইভার ইনস্টল করতে হবে ।

newpicture1 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের ছবিতে লক্ষ্য করুন ENTER = CONTINUE R=REPAIR F3 = QUIT

এখানে CONTINUE করার জন্য ENTER করুন ।

newpicture2 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের ছবিটি লক্ষ্য করুন F8 = I AGREE ESC = I DO NOT AGREE. এখানে F8 প্রেস করুন ।

newpicture3 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের স্কীনে লক্ষ্য করুন ENTER = INSTAL D=DELETE PARTITION F3=QUIT

এখানে হার্ডডিস্কে প্রয়োজনমত যে কোন সাইজে পাটিশন করা যাবে । পার্টিশনা করতে চাইলে প্রথমে D প্রেস করে পার্টিশান DELETE করে নিতে হবে । এরপর C প্রেস করে পাটিশন সাইজ দিয়ে এন্টার করতে হবে । কোন একটি ড্রাইভকে ২০ গিগাবাইটে ভাগ করতে চাইলে ২০০০০ টাইপ করুন । কোন একটি পার্টিশন ডিলিট করার আগে খেয়াল রাখতে হবে সে ড্রাইভে কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জমা আছে কিনা ।

newpicture4 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

পার্টিশন শেষ করে C ড্রাইভ সিলেক্ট করে এন্টার করলে নীচের ছবিটি দেখা যাবে । এখানে QUICK FORMAT এর দুটি এবং NORMAL FORMAT এর দুটি অপশন দেখা যাবে । NTFS FAT হচ্ছে ফাইল সিসটেম । NORMAL FORMAT করাই উত্তম । এখান থেকে যেকোন একটি অপশন সিলেক্ট করে এন্টার করুন ।

newpicture5 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

ফাইল সিসটেম সিলেক্ট করে এন্টার করার পর নীচের ছবিটি আসবে । F = FORMATE ESC = CANCEL . ফরমেট করার জন্য F প্রেস করুন ।

newpicture6 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

ফরমেট শেষ হবার পর অটোমেটিক সিডি থেকে ফাইল কপি শুরু হবে । কপি শেষ হবার পর কম্পিউটার RESTART হবে । আবারো স্কীনে ম্যাসেজ আসবে PRESS ANY KEY TO BOOT FORM CD……. এবারে কোন কী প্রেস করা যাবে না ।

newpicture7 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

RESTART হবার পর নীচের স্কীনটি আসবে । এতে বেশ কিছু সময় ধরে সেটাপ চলতে থাকবে ।

newpicture14 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের স্কীনটি আসার পর NEXT –এ ক্লিক করুন ।

newpicture9 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের স্কীনটি আসার পর কীবোর্ড থেকে যেকোন একটি নাম টাইপ করে NEXT –এ ক্লিক করুন ।

newpicture10 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

এবারে উইন্ডোজ এক্সপির ২৫টি কী টাইপ করে NEXT –এ ক্লিক করুন । এই কীগুলো সিডির লেবেলের সংগে দেয়া থাকে । যদি অরিজিনাল উইন্ডোজ না হয় তাহলে এই কীগুলো ব্যবহার করতে পারেন । [ V2C47-MK7JD - 3R89F - D2KXW - VPK3J]

newpicture11 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচে স্কীনে কম্পিউটার নেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া যেতে পারে । এটি অপশনাল । না দিলেও কোন সমস্যা নেই । সেটাপ কমপ্লিট করার পরেও ইউজার নেম পাসওয়ার্ড দিয়ে কম্পিউটার লক করা যায় । CONTINUE করার জন্য NEXT- এ ক্লিক করুন ।

newpicture12 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের স্কীনটি আসার পর NEXT-এ ক্লিক করুন ।

newpicture13 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

এখানেও NEXT – এ ক্লিক করুন ।

newpicture15 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

এখানে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ।

newpicture16 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের স্কীনটি আসার পর OK করুন । এরপর আরো একটি ম্যাসেজ বক্স আসবে সেখানে CENCLE অথবা OK করতে পারেন । CNCLE করলে সেটাপ কমপ্লিট হবে । আর যদি OK করেন তাহলে আরো কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে ।

newpicture17 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

উপরের শেষের ম্যাসেজটি আসার পর যদি OK করেন তাহলে নীচের ম্যাসেজটি আসবে । এখানেCONTINUE করার জন্য NEXT-এ ক্লিক করুন ।

newpicture18 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের স্কীনটি আসার পর SKIP-এ ক্লিক করুন ।

newpicture19 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের স্কীনটি আসার পর NOঅপশনটি সিলেক্ট করে NEXT –এ ক্লিক করুন ।

newpicture20 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

নীচের এই স্কীনটি আসার পর একাধিক ইউজার অথবা একটি ইউজার নেম দিয়ে NEXT-এ ক্লিক করুন । একাধিক ইউজার নেম দিলে ভিন্ন ভিন্ন ইউজার তৈরি হবে ।

newpicture21 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

এটি হলো WELCOME SCREEN.

newpicture22 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

এখানেই সেটাপ সমাপ্ত ।

newpicture23 largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি | Techtunes

এবারে ড্রাইভার সিডি থেকে প্রয়োজনীয় ড্রইভার ও সফ্টওয়ার সেটাপ করে নিতে হবে ।


source

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Buy Coupons