গাইড লাইন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গাইড লাইন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ২ মে, ২০১২

কম্পিউটার কেনার গাইডলাইন

আমার মনে হয় নতুন যারা কম্পিউটার কিনে তাদের অধিকাংশরাই কেনার কিছুদিন পরে তাদের ভুল বুঝতে পারে কারণ যখন কম্পিউটার কিনে তথন অনভিজ্ঞ থাকে তারপর কিছুদিন পরে যখন অভিজ্ঞ হয় তখন বুঝতে পারে তার কেনার সময় কি কি ভুল হয়েছে।তাহলে আজকে চলেন কেনার আগেই কি কি করা উচিত তা জেনে নেই ।
প্রথমত একটি কথা মনে রাখবেন আউটলুকের বেলায় আপনার যা ভাল লাগে তাই কিনবেন কারণ আপনি কম্পিউটারটি আপনি চালাবেন আপনার বন্ধু চালাবে না ।মনে করুন আপনার এক ধরনের মাউস পছন্দ হয়েছে কিন্ত ফ্রেন্ড বলছে অন্যটি সেক্ষেতে অবশ্যই আপনি আপনার পছন্দ প্রাধান্য দিবেন তবে টেকনিক্যাল ব্যাপারে অভিজ্ঞদের মতামত প্রাধান্য দিবেন।

প্রসেসর :
প্রথমেই আ
সি প্রসেসরের কথায আমি অধিকাংশ টেকি অভিজ্হদের দেখেছি পরামর্শ দেয় যে আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী প্রসেসর কিনুন যেমন শুধু গান ভিডিও বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর জন্য হাই মানের প্রসেসরের দরকার নেই কিন্তু এই পরামর্শ এখন পযর্ন্ত কাউকে মানতে দেখেনি ।যে কাজের জন্যই কম্পিউটার কিনুক বাংগালির চাই হাই মানের পিসি সুতরাং কিনুন হাই প্রসেসর যত লেটাষ্ট আসুক তার থেকে লেটেস্ট কিনুন যেমন কোর i7 ,কোয়াড কোর কোর টু কোয়াড আর ও কত হাই মানের।যাদের বাজেট কম দয়া করে সেলেরন কিনবেন না বাঝে একটা প্রসেসর তার থেকে পেন্টিয়াম ৪ ভাল, দরকার হলে এক দুই হাজার টাকা অন্যদিকে কমিয়ে মোটামুটি ভাল মানের প্রসেসর কিনুন কারণ প্রসেসর ভাল না হলে কম্পিউটার স্লো থাকে ।দরকার হলে ইউপিএস পরে কিনুন কারণ ইউপিএস খুব একটা কাজে লাগেনা আমি নিজে ৩ বছর ধরে ইউপিএস ছাড়া চলতেছি কোন সমস্যা হচ্ছেনা।


মাদারবোর্ড:মাদার বোর্ড ভাল হওয়াটা জরুরী কারন মাদারবোর্ডে অধিকাংশ জরুরী পার্টস যেমন রেম,প্রসেসর হার্ডডিস্ক এগুলো কানেক্ট থাকে।মাদারবৌর্ড কেনার সময় জেনে নিবেন তাতে কোন কোন প্রসেসর সাপোর্ট করে যাতে পরবর্তীতে আপগ্রেড করতে সমস্যা না হয় ।যেমন আমার কম্পিউটার কোর টু ডো প্রসেসর কিন্তু এটি এখন কার লেটেস্ট প্রসেসর কোর আই সেভেন কোর টু কোয়াড সাপোর্ট করে ।আমি ইচ্ছা করলেই আমার প্রসেসর আপগ্রেড করে নিতে পারব।মাদারবোর্ডের প্যাকেটের গায়ে এসব ইনফরমেশন পাবেন বা বিক্রেতা হতে জেনে নিন।আর বিল্ট ইন ভাল সাউন্ড কার্ড আর গ্রাফিক কার্ডের দিকে খেয়াল রাখবেন।আর বাস স্পিড কত তাও জেনে নিবেন।
মনিটর :
মনিটর কেনার বেলায় একটাই পরামর্শ টাকা বেশী থাকলে এলসিডি কিনুন কম থাকলে সিআরটি কিনুন ।আর বর্তমানে এলসিডির জয়জয়কার।তবে গেমার আর গ্রাফিক এর কাজের জন্য সিআরটি ভাল কারণ এতে পিকচার সূক্ষ দেখা যায় আর যেকোন এঙেল হতে ভাল দেখা যা
য় ।তবে এলসিডি কিনলে ভাল করে দেখে কিনবেন কারণ অধিকাংশ দোকানদার স্যামসাংয়ের ১৬ ইন্ঝি মনিটর হাতে ধরাই দেয় ।এক্ষেত্তে এইচপি ,ফিলিপস ,ডেল এগুলো ভাল আর স্যামসাং মালশিয়ারটা ভাল ।

ক্যাসিং আর পাওয়ার সাপ্লাই:
কেসিং কেনার সময় ডিজাইন এর থেকে আপনার প্রসেসর আর মাদারবোর্ডের ক্ষমতার দিকে নজর রাখবেন।কম্পিউটার যত ক্ষ
মতাশালি হবে এর পাওয়ার সাপ্লাই ততই ক্ষমতাশালি হতে হবে না হয় খবর আছে সুতরাং কিছুটা বেশি দাম দিয়ে হলেও ভালোটাই কিনুন।বাজারে ব্রিকফিসের মত কিছু ক্যাসিং পাওয়া যায় এরকম ক্যাসিং হতে দূরে থাকুন ।যদি সম্ভব হয় তাহলে কিছুটা বড় আর খোলেমেলা ক্যাসিং কিনুন এতে আপনার পিসি ঠান্ডা থাকবে
হার্ডডিস্ক:
হার্ডডিস্ক কেনার সময় যতটা সম্ভব বড় কিনুন কারণ দামের বেলায় হেরফের খবই কম হয় ।এখন মার্কেটে এক টেরাবাইট পযর্ন্ত পাওয়া যায়।আপনি আপনার চাহিদা মত সিলেক্ট করুন।আর এক্ষেত্তে সাটা হার্ডডিস্ক কিনুন সাটার ডাটা টান্সফার খুবই ভাল আর বর্তমান
ে সাটা -২ পাওয়া যাচ্ছে ।যা খুবই ভাল মানের।তবে কেনার সময় বেশী RPM এর হার্ডডিস্ক কিনুন কারণ যত বেশী RPM ততবেশী হার্ডডিস্ক দ্রুত ডাটা রিড করতে পারবে।এখন মার্কেটে ৭২০০ RPM এর হার্ডডিস্ক পাওয়া যায় ।আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখবেন তা হল ক্যাশ ,৮-১৬ মেগাবাইটের ক্যাশ থাকলেই õ8;লবে ।এর উপরেও পাওয়া যায় তবে দাম বেশী।
রেম:
রেম এর ক্ষমতার উপর কম্পিউটারের স্পিড অনেকাংশে নির্ভর করে ।আপনি যখন কাজ করেন তা রেম এর উপর
।অবস্হান থাকে তাই রেম বেশী মানে একসাথে অনেক প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করতে পারবেন।নানা ধরনের রেম আছে যেমন SD,DDR,DDR2 ।বর্তমানে বাজারে DDR3 রেম পাওয়া যায় এগুলো কেনার চেষ্টা করুন।আর হার্ড গেমার হলে বেশী ক্ষমতার রেম লাগান না হয় ১ বা ২ জিবিই যথেষ্ট তবে সবচেয়ে জরুরী হল রেম কেনার সময় অবশ্যই বাস স্পিডের দিকে খেয়াল করবেন আপনার মাদারবোর্ড যত বাস স্পিড সাপোর্ট করে ঠিক তার সমান বাস স্পিডের রেম কিনুন না হয় ভাল স্পিড পাবেন না।যেমন মাদারবোর্ড সবোর্চ্চ ১০৬৬ বাস স্পিড সাপোর্ট করে আর আপনি রেম লাগালেন ৮০০ বা ১৬০০ বাস স্পিডের আপনি ভাল স্পিড পাবেন না ।সুতরাং কেনার সময় ভাল করে জেনে নিন

গ্রাফিক্স কার্ড:
আপনি কি গেমার না গ্রাফিক্স ডিজাইনার না
প্রচুর টাকা আছে ?যেকোন একটার উত্তর হ্যা হলে আর কথা নাই গ্রাফিক্স কার্ড অবশ্যাই কিনবেন মাফ নাই।এক্ষেত্তে এনভিডিয়া বা এটিআইয়ের ভাল কার্ড মার্কেটে পাওয়া যায়।
আর সাউস্ড কার্ড আর গ্রাফিক্স কার্ড বিল্টইন মাদারবোর্ডে থাকে তবু আপনি ভাল পারফমেন্স এর জণ্য আলাদা
লাগাতে পারেন।আর কিবোর্ড আর মাউস আপনার পছন্দমত কিনুন আর কিবোর্ড মাল্টিমিডিয়াটা খুবই ভাল ।আর স্পিকার আপনার পছন্দমত কিণুন তবে ভাল মানের কিনবেন কারন আমরা অধিকাংশরাই কম্পিউটার কেনার সময় বাসায় পড়ালেখার জণ্য দরকার আর কেনার পর গান আর সিনেমা দেখি আর ইন্টারনেট ব্রাউজ করি তাই গানের জণ্য ফাটাফাটি স্পিকার জরুরী।আর কিছূ বলার নাই তবে সি ড্রাইভের স্পেস বেশি করে দিতে বলবেন কারন দিনদিন হাইমানের অপারেটিং সিস্টেম আসতেছে, পরেও বাড়ানো যায় তবে ঝামেলার কাজ

সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২

Alertpay তে একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়ার A to Z


 






 





google তে অনেক খুজেও Alertpay তে একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়ার A to Z পাইনি। যাও পেয়েছি তা সম্পূর্ণ নয় । তাই আমি আজ বলবো Alertpay তে একাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়ার A to Z

শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১২

আপনার ব্লগটিকে গড়ে তুলুন সময় উপযোগী সঠিক ভাবে!



প্রতিনিয়তই তৈরি হচ্ছে নানা রকমের, নানা বিষয়ের উপত ব্লগ। কোনটি হচ্ছে সফল, কোনটি মাঠায়ে নেমে দৌড়াবার আগেই হুঁচোট খেয়ে যাচ্ছে। তাই বলে তো থেমে থাকা চলবে না। আমাদের কিছুনা , কিছু করতেই হবে টিকে থাকার জন্য এই দৌড়ে।

সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১২

CCNA সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা


 CCNA কি?
Cisco Certified Network Associate যাকে সংক্ষেপে বলা হয় CCNA। এটি একটি বিশেষ ধরনের নেটওয়াকিং কোর্স। চাকরির প্রমোশনে ও জব এনরিচমেন্টে আইটি সার্টিফিকেশনের বিকল্প নেই। যারা নেটওয়াকিং সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, নেটওয়ার্কিং পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের জন্য নেটওয়াকিং শিক্ষার শুরু হতে পারে CCNA কোর্সটি দিয়ে। নেটওয়াকিং বিষয়ক যতধরনের কোর্স বর্তমানে প্রচলিত রয়েছে তার মধ্যে Cisco Certified Networking কোর্সগুলো হচ্ছে পূর্বের সকলের চেয়ে ভাল। এর কোর্স কারিকুলাম অত্যন্ত আধুনিক ও সময়োপযোগী। সিসিএনএ টেকনো বিশেষজ্ঞদের নেটওয়ার্ক স্কিল উন্নয়নে সর্বাধিক সহায়তা সহ সর্বশেষ প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক জ্ঞান প্রদান করবে।

শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১২

মনিটর কিনবেন, তাহলে লেখাটা পড়ে নিন কাজে লাগতে পারে

"মনিটর" এ শব্দটা কিছুদিন আগেও জড়িত ছিল শুধুমাত্র কম্পিউটারের সাথে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে মনিটরের ধরণ ও ব্যবহার। অনেকে শুধুমাত্র গেমস কিংবা মুভি দেখা অথবা গ্রাফিক্স এর কাজ করার জন্য আলাদাভাবে মনিটর কিনে থাকে। তাই এ পোষ্টে চেষ্টা করব এলসিডি/প্লাজমা/হাই-ডেফিনেশন মনিটর সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য যাতে সহজেই আপনি আপনার প্রয়োজনমত মনিটরটি বেছে নিতে পারেন।

মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১১

পেনড্রাইভের নানা ব্যবহার

 http://www.tuvie.com/wp-content/uploads/pen-flash-drive3.jpg

পেনড্রাইভ একটি পোর্টেবল ইউএসবি মেমরি ডিভাইস। এটি দিয়ে খুব দ্রুত ফাইল, অডিও, ভিডিও, সফটওয়্যার এক কমপিউটার থেকে অন্য কমপিউটারে ট্রান্সফার করা যায়। এই ডিভাইসটি এতই ছোট যে যেকেউ পকেটে বা ব্যাগে করে সহজে বহন করতে পারেন এবং মূল্যবান তথ্য সবসময় পেনড্রাইভে রেখে ব্যবহার করেন।



পেনড্রাইভ বর্তমানে অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। আর এই পেনড্রাইভ দৈনন্দিন জীবনে একটি বড় অংশ হিসেবে কাজ করছে, যা আমাদেরকে ছোট পোর্টেবল হার্ডডিস্কের সুবিধা দিয়ে থাকে। যারা নিয়মিত কমপিউটার ব্যবহার করে থাকেন বা যাদের দরকারী ফাইল সবসময় প্রয়োজন হয় তাদের অনেকেই পেনড্রাইভ ব্যবহার করে থাকেন। পেনড্রাইভ দিয়ে শুধু তথ্য আদানপ্রদানই নয়, এর বাইরের অনেক কাজেও ব্যবহার করা যায়। তাই এবারের লেখায় পেনড্রাইভের নানাবিধ সুবিধা ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১১

UPS কেনার আগে একটু জেনে নিন



আমরা সাধারনত অনেক সময় ধরে যারা Desktop Pc তে কাজ করি তাদের জন্য ইউপিএস অনেক উপকারি জিনিস। এটা যেমন উপকারে আশে তেমনি pc নিয়ে আমাদের অনেক ভোগান্তির মুলে যে এই ইউপিস রয়েছে তা হয়ত আমরা অনেকেই বুজতে পারি না।   আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক ইউপিএস পাওয়া যায় বাহারি তাদের Outlook. আর কত রকমের যে সুবিধা যে এতে থাকে মাঝে মধ্যে এগুলো দেখলে মাথা চক্কর দেয়। যাই হোক  যে সমস্ত সস্তা চাইনিজ ইউপিএস বাজারে পাওয়া যায় তা অনেক ক্ষেত্রে কম্পিউটার এর জন্য অত্যান্ত বিপদজনক। আমরা জানি  সাধারনত ইউপিএস তৈরী করা হয় বিদ্যুৎ চলে গেলে ব্যাকআপ দেয়ার জন্য কিন্তু চায়না পণ্ডিত গুলা ব্যাকআপ এর সাথে আরও এক্সট্রা কিছু সুবিধা যোগ করে দেয়। যেগুলো কম্পিউটার এর কোন উপকার করে না বরং আরো ক্ষতি করে।যেমনঃ বর্তমানে অনেক ইউপিস এ স্ট্যবিলাইজিং সুবিধা থাকে এটা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বিপদজনক। শহরের বাড়িতে সাধারনত ২২০ ভোল্ট সবসময় থাকে এখন  এই বাসায় যদি এই সস্তা ইউপিএস ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে স্ট্যবিলাইজিং এর কারনে ভোল্টেজ আরও ২২০+(+-২০)=২৪০ ভোল্ট হয়ে যায় কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি। এখন একবার চিন্তা করে দেখুন এই ভোল্ট যদি কম্পিউটার এর মধ্যে যায় তাহলে কি অবস্থা হবে। পিসি এর মাদার বোর্ড পুরে যাওয়ার জন্য যা একটা অন্যতম মুল কারন। হয়তা অনেকে ভাবছেন তাহলে স্ট্যবিলাইজার ব্যবহার করলে এই সমস্যা হয় না কেনো (যারা ব্যবহার করেন)। কারন স্ট্যবিলাইজার ভোল্টেজ স্ট্যবিলাইজিং করে আট থেকে দশটি Realy(ম্যগনেটিক সুইচ) এর মাধ্যমে যার ফলে স্ট্যবিলাইজার অনেক ভাল  এবং সূক্ষ্ম ভাবে ভোল্টেজ স্ট্যবিলাইজ করতে পারে, আর ইউপিএস করে এক থেকে দুইটি Realy এর মাধ্যমে যার ফলে সঠিক স্ট্যাবল ভোল্টেজ থাকে না ।
তাই অবশ্যই  টাকা একটু বেশি গেলেও ইউপিস কিনবেন অবশ্যই কোন ভাল ব্র্যান্ড এর । আর সবচাইতে ভাল হয় যদি ইউপিএস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। কারন যত কম্পিউটার নষ্ট হয় তার মুলে থাকে এই ইউপিএস।
তবে যারা ইউপিএস ব্যবহার করেন তাদের কিছু টিপস দিচ্ছি ইউপিএস  বেশি দিন ভালো রাখার জন্য
১। কখনো ইউপিএস এর মেইন পাওয়ার অফ করবেন না।
২। বিদ্যুৎ চলে গেলেও ইউপিএস বন্ধ করবেন না।
৩। প্রতি এক মাস পর পর ইউপিএস পুরপুরি ডিসচার্জ করবেন এবং পুরপুরি ফুল চার্জ করবেন।
৪। সি আর টি মনিটরের ক্ষেত্রে কখনো বিদ্যুৎ চলে গেলে বন্ধ থাকা মনিটর চালু করবেন না এতে ব্যটারির উপর চাপ পরে।
৫। ইউ পিএ এস এ কখনই অনুমদিত লোড এর অতিরিক্ত কোন লোড দিবেন না।
৬। মাঝে মধ্য ইউপিএস এর ব্যটারির কানেক্টর গুলো পরিষ্কার করে দিবেন ( যদি সম্ভব হয়)

আর আরেকটি কথা ইউ পি এস এ সাধারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যটারি নষ্ট হয় তাই যাদের নষ্ট ইউপিএস আছে তারা আজই একটি নতুন ব্যটারি লাগিয়ে দেখুন ইউপিএস একদম আগের মত সার্ভিস দিচ্ছে।
আর যাদের ব্যটারি ভাল আছে কিন্তু ইউপিএস ভাল না তাদের কে অন্য কোন একদিন শিখিয়ে দিব কি ভাবে এই ব্যটারি দিয়ে একটি ২/৩ টি এনার্জি লাইট জ্বালানোর মত মিনি আইপিএস বানানো যায়।

মূল লেখা এখানে

ল্যাপটপ কেনার গাইড



বাজার ছেয়ে গেছে ল্যাপটপে। নানান ব্র্যান্ড, মডেল, আকার, ক্ষমতার ল্যাপটপের মেলায় বাজার জমজমাট। কিছুদিন আগে শেষ হয়ে গেল ল্যাপটপ মেলা। মেলাতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। সবাই কিনতে চায় প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের নাগালে চলে আসা এ কমপিউটারগুলো। একসময় যা কেনার কথা চিন্তা করাটাই ছিল বিলাসিতা, এখন তা নিত্যব্যবহার্যে পরিণত হয়েছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, ঘরে-বাইরে সবখানেই দেখা যায় মানুষ ল্যাপটপ ব্যবহার করছে। ল্যাপটপের দাম আগের তুলনায় অনেক কমে যাওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। ল্যাপটপ কেনার সময় যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য কিছু গাইডলাইন নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।

ডেস্কটপ বনাম ল্যাপটপ

কমপিউটার কেনার আগে প্রথমেই দেখতে হবে, কমপিউটারটি কি কাজে ব্যবহার করবেন? শুধু মেইল করা, ইন্টারনেট সার্ফিং এবং চ্যাট করার কাজে তা ব্যবহার করতে চাইলে সাধারণ মানের একটি কমপিউটারই যথেষ্ট। মুভি দেখার ভক্ত হয়ে থাকলে, আপনার চাহিদা মেটানোর জন্য বড় আকারের মনিটরসহ মাঝারি মানের কমপিউটারের প্রয়োজন হবে। গান শোনার নেশা যদি থাকে, তবে ভালোমানের সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজন পড়বে। নানা ধরনের গান, মুভি, ভিডিও ইত্যাদি জমানোর শখ থাকলে বা ডাউনলোড করার ঝোঁক থাকলে, নিতে হবে বেশি ধারণক্ষমতাযুক্ত হার্ডডিস্ক। আর গেমার হলে কিনতে হবে হাই কনফিগারেশনের পিসি, যা কিনতে বেশ টাকা খসে যাবে। এভাবেই প্রয়োজনমতো বেছে নিতে হবে কোন কমপিউটারটি বা কমপিউটারের যন্ত্রাংশটি আপনার জন্য উপযুক্ত। এ তো গেলো ডেস্কটপ পিসি কেনার কথা।

এবার আসা যাক ল্যাপটপ কেনার কথায়। বেশিরভাগ ইউজারই এখন ল্যাপটপ ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু ল্যাপটপ কিনবেন না ডেস্কটপ কিনবেন, এটি নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। তাদের জন্য কিছু পরামর্শ থাকছে এ প্রতিবেদনে। কিভাবে বুঝবেন আপনার ল্যাপটপই কেনা উচিত কি না? কমপিউটার কেনার আগে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করে নিন। এ প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতেই পেয়ে যাবেন কাঙ্ক্ষিত উত্তর।

০১. আপনি কি বেশি ভ্রমণপ্রিয় বা নানা ধরনের কাজে বেশিরভাগ সময় কি বাইরেই কাটান?

০২. ঘরে বেশিক্ষণ কমপিউটারে কাজ করার সময় পান না, তাই বাইরে গিয়েও কমপিউটারে কাজ করা যায় কি না চিন্তা করছেন?

০৩. ঘরে বা অফিসের ডেস্কে জায়গা কম যাতে একটি ডেস্কটপ কমপিউটার বসাতে সমস্যা হয়?

০৪. ইচ্ছেমতো ঘরের যেকোনো স্থানে বসে কমপিউটিং করতে চান?

০৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপিউটার ল্যাবের অনুপস্থিতি বা কমপিউটার স্বল্পতা যাতে অ্যাসাইমেন্ট, রিপোর্ট বা প্রেজেন্টেশন এডিট করার সুযোগ পান না?

০৬. এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা চরমে, যার ফলে শান্তিমতো কোনো কাজ করতে পারছেন না?

এসব প্রশ্নের জবাব যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনার জন্য ল্যাপটপ কেনাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। প্রথমদিকের ল্যাপটপগুলো ছিল কম ক্ষমতার। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কমপিউটারগুলোর ক্ষমতা মাঝারিমানের ডেস্কটপ পিসিগুলোকেও হার মানায়। তাই সহজেই ল্যাপটপ কমপিউটারগুলো ডেস্কটপ পিসির স্থান দখল করে নিচ্ছে।

ল্যাপটপের সুবিধা-অসুবিধা

কোনো কিছু কেনার আগে তা ভালো করে যাচাইবাছাই করে নেয়া উচিত, প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো সহায়তা নিন। কেননা, সব কিছুরই ভালো ও মন্দ দুটি দিক থাকে। ভালো ও মন্দ দিক বিবেচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হবে। ল্যাপটপের সুবিধাগুলোর পাশাপাশি বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। যদি মনে করেন, সেসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন, তবেই কিনুন ল্যাপটপ, তা না হলে ডেস্কটপই আপনার জন্য ভালো হবে। প্রথমে ল্যাপটপের সুবিধাগুলোর দিকে নজর দেয়া যাক :

০১. পোর্টেবিলিটি বা বহনযোগ্যতা :
ল্যাপটপগুলো ডেস্কটপ পিসির মতো শুধু ডেস্কের ওপরেই থাকে না, তা সাথে নিয়ে বাইরে যাওয়া যায় এবং যেকোনো স্থানে বসে সহজেই কাজ করা যায়।

০২. ছোট আকার :
আকারে বেশ ছোট ও হালকা বলে তা বহন করতে কষ্ট হয় না। ভ্রমণের সময় বাস, ট্রেন, কার বা প্লেনে বসে অনায়াসে হাতের কাজ সেরে নেয়া যায়।

০৩. বিদ্যুৎসাশ্রয়ী :
ডেস্কটপ পিসির মতো ৩০০-৪০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করার বদলে তা মডেলভেদে ডেস্কটপের তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ করে।

০৪. ব্যাটারির শক্তি :
লোডশেডিংয়ের সময় ডেস্কটপ চালাতে হলে ইউপিএস ব্যবহার করতে হয় এবং তার ব্যাকআপ দেয়ার ক্ষমতা সাধারণত ১৫-৩০ মিনিট হয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধাটির একটি হচ্ছে বিদ্যুৎ না থাকলেও ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত ব্যাটারির সাহায্যে তা অনেকক্ষণ চালানো যায়।

০৫. একের ভেতর অনেক :
ল্যাপটপের মধ্যে সব কিছু : মনিটর, কীবোর্ড, টাচপ্যাড, ডিস্কড্রাইভ, ওয়েবক্যাম, একসাথে রয়েছে যা আসলেই চমৎকার একটি সুবিধা।

০৬. তথ্য বহন :
গুরুত্বপূর্ণ ডাটা যেকোনো স্থানে প্রয়োজন হলেই দেখে নেয়া যাবে, যদি সাথে ল্যাপটপ থাকে।

ল্যাপটপের যেসব অসুবিধা

০১. স্থায়িত্ব :
ডেস্কটপ এক স্থানে থাকে এবং তেমন একটা নড়াচড়া করা হয় না। তাই তার কোনো অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ল্যাপটপ বহনযোগ্য, তাই তা হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। ল্যাপটপের লিড (মনিটর অংশ), অপটিক্যাল ড্রাইভ, কীবোর্ড ইত্যাদি বেশ নমনীয়। তাই তা যত্নের সাথে ব্যবহার না করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, ল্যাপটপে সব যন্ত্রাংশ মিলে একটি যন্ত্র। যেমন- ডেস্কটপের ক্ষেত্রে কীবোর্ড নষ্ট হলে সহজেই তা বদল করা যায়, কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। ল্যাপটপের খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যেমন কষ্টকর, তেমন তার দামও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

০২. কার্যক্ষমতা :
সাধারণ মানের ল্যাপটপগুলোর ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে ডেস্কটপ পিসিগুলোর চেয়ে কম হয়ে থাকে। তবে ডেস্কটপের সমান ক্ষমতার ল্যাপটপের দাম আকাশছোঁয়া। দামের দিক থেকে তুলনা করলে ল্যাপটপের ক্ষমতা একই দামের ডেস্কটপ পিসির তুলনায় বেশ কম।

০৩. ধারণক্ষমতা :
ল্যাপটপের আকার ছোট তাই স্বাভাবিকভাবে তাতে কোনো যন্ত্রাংশ লাগানোর জন্য জায়গার পরিমাণ সীমিত। ডেস্কটপের ক্যাসিংয়ে আলাদা হার্ডডিস্ক, অপটিক্যাল ড্রাইভ, গ্রাফিক্স কার্ড, কুলিং সিস্টেম ইত্যাদি লাগানোর জন্য বেশ ফাঁকা জায়গা বা সুবিধা থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা খুব কমই দেখা যায়। বড় আকারের ল্যাপটপে এরকম কিছু সুবিধা থাকে, তবে মাঝারি ও ছোট আকারের ল্যাপটপে এ ধরনের সুবিধা দেখা যায় না।

০৪. ব্যাটারি লাইফ :
ল্যাপটপের ব্যাটারিগুলোর ব্যাকআপ দেয়ার ক্ষমতা সীমিত। যত ছোট আকারের ল্যাপটপ বা যত কম ক্ষমতার ল্যাপটপ হবে, তা তত কম বিদ্যুৎ খরচ করবে এবং বেশি ক্ষমতা বা বড় আকারের ল্যাপটপে তার উল্টোটা ঘটবে। তাই কম ক্ষমতার ল্যাপটপে ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি সময় ও বেশি ক্ষমতার ল্যাপটপে কম সময় পাওয়া যাবে। বর্তমানে লোডশেডিংয়ের যে অবস্থা তাতে ব্যাটারি ব্যাকআপ পর্যাপ্ত নয়। তবে এ সমস্যা দূর করার জন্য ল্যাপটপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো তাদের ল্যাপটপে পাওয়ার সেভিং টেকনোলজি ব্যবহার করছে।

০৫. কম্প্যাবিলিটি :
মডেল ও নির্মাতা কোম্পানিভেদে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশগুলোর মাঝে বেশ তারতম্য দেখা যায়, যেগুলোর একটি আরেকটিকে সাপোর্ট করে না। তাই কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেই কোম্পানির একই মডেলের যন্ত্রাংশ জোগাড় করতে হয় যা বেশ সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাধ্য কাজ। উদাহরণস্বরূপ, এক ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের অ্যাডাপ্টারের কানেক্টর অন্য ব্র্যান্ডের চেয়ে ভিন্নতর, তাই তা অদলবদল করে ব্যবহার করা যাবে না।

০৬. চড়া দাম :
ল্যাপটপের দাম তুলনামূলকভাবে ডেস্কটপের চেয়ে বেশি। যে দাম দিয়ে একটি ল্যাপটপ কেনা যায়, সে দামে আরো ভালো কনফিগারেশনের ডেস্কটপ পিসি পাওয়া যায়। তবে পোর্টেবিলিটি, ফ্লেক্সিবিলিটি ও ব্যাটারি পাওয়ারের জন্য দামের ব্যাপারটি তেমন একটা বিবেচনা না করলেও চলে।

০৭. আপগ্রেড :
ডেস্কটপের যন্ত্রাংশ যখন-তখন আপগ্রেড করা যায়, কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা ভীষণ ঝামেলার ব্যাপার। প্রসেসর, মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি আপগ্রেড করা সম্ভব নয়। কিছু ল্যাপটপে র‌্যাম, হার্ডডিস্ক ও অপটিক্যাল ড্রাইভ আপগ্রেড করার সুবিধা রয়েছে।

০৮. ডিভাইস কানেক্টর :
ইউএসবি, ফায়ারওয়্যার, সাটা, এইচডিএমআই, ভিজিএ, ডিভিআই ইত্যাদি পোর্টের সংখ্যা ল্যাপটপে বেশ কম। ভিডিও আউটপুটের জন্য দু’য়েকটির বেশি পোর্ট সাধারণত থাকে না।

০৯. নিরাপত্তা :
ল্যাপটপের আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে ল্যাপটপ চুরি হয়ে যাওয়া। ল্যাপটপ আকারে ছোট, তাই সহজেই তা চুরি যাবার আশঙ্কা রয়েছে। নিজের ঘরে বা অফিসে ল্যাপটপের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, কিন্তু সব স্থানে তা করা সম্ভব নাও হতে পারে।

১০. রক্ষণাবেক্ষণ :
ল্যাপটপ বেশ যত্নের সাথে ব্যবহার করতে হয়। ধুলোবালি, পানি, তাপ, চাপ, চুম্বক ইত্যাদির সংস্পর্শ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়।

এছাড়া ল্যাপটপের ওয়ারেন্টি শেষ হবার পর তা সার্ভিসিং করানোর জন্য গুনতে হবে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। সাবধানতা ও যত্নের সাথে ব্যবহার করলে ল্যাপটপের কিছু সমস্যা সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই।

ল্যাপটপ বনাম নোটবুক

ডেস্কটপ কিনবেন কি না ল্যাপটপ কিনবেন? এ প্রসঙ্গ শেষ হবার পর আরেকটি ব্যাপার ঝামেলা পাকাতে পারে, তা হচ্ছে-ল্যাপটপ কিনবেন না নোটবুক? অনেকে মনে করতে পারেন, দুটোই তো একই জিনিস। আবার অনেকে মনে করেন ছোট আকারের ল্যাপটপগুলোকেই নোটবুক বলে। তবে ধারণা দুটিই আংশিক সত্য। কারণ, নোটবুককে ল্যাপটপ বলা যায়। তবে ল্যাপটপকে নোটবুক বলাটা ঠিক নয়। নোটবুক ল্যাপটপের ছোট ভার্সন হলেও তাদের মাঝে বেশ কিছু তফাত রয়েছে। সে বিষয়ে ধারণা না থাকলে কমপিউটার কেনার সময় বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। ল্যাপটপ ও নোটবুকের পার্থক্য ভালোভাবে বোঝার জন্য পাঠকদের জন্য ছক আকারে তা তুলে ধরা হলো-

নোটবুকগুলো নেটবুক নামেও পরিচিত। ল্যাপটপের নিচের দিকে লেখা ফিচারগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন তাতে কি আছে আর কি নেই। নেটবুকগুলোর জন্য ইন্টেল শিগগিরই ডুয়াল কোরের প্রসেসর বাজারে আনতে যাচ্ছে, যার ফলে নোটবুক/নেটবুকগুলোও ল্যাপটপের সাথে টেক্কা দিতে পারবে। ল্যাপটপগুলোতে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়, যেমন- কার্ড রিডার, টাচ স্ক্রিন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশন, ভালোমানের ওয়েবক্যাম, লাইটযুক্ত কীবোর্ড ইত্যাদি। এসব নোটবুকে খুব একটা দেখা যায় না।

ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়

ল্যাপটপ কেনার আগে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত যাতে বাছবিচার করতে কিছুটা সুবিধা হয়। নিচে ল্যাপটপ সম্পর্কিত কিছু বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

প্রসেসর :



প্রসেসর হচ্ছে পিসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাজারে বিদ্যমান ল্যাপটপগুলোর দামের মধ্যে যে তারতম্য দেখা যায়, তা মূলত হয়ে থাকে এই প্রসেসরের ওপর ভিত্তি করে। বেশিরভাগ ক্রেতাই ল্যাপটপ কেনার সময় প্রসেসরের ব্যাপারে তেমন একটা জোর দেন না। তাদের মোবাইল প্রসেসরের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণাও থাকে না। প্রথম দিকের ল্যাপটপগুলোর জন্য পুরোপুরি আলাদা ধাঁচের ও নতুন মডেলের মোবাইল প্রসেসর বানানো হতো। কিন্তু এখন ডেস্কটপ প্রসেসরের আদলেই সেগুলোকে কিছুটা মডিফাই করে বানানো হচ্ছে। বেশ কিছু প্রসেসর রয়েছে, যা ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের সাথে একেবারে সংযুক্ত করা থাকে, যা আলাদা করা যায় না। ল্যাপটপ বা মোবাইল প্রসেসরগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এগুলো বেশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে, কম তাপ উৎপাদন করে, আকারে বেশ ছোট এবং কার্যক্ষমতা ডেস্কটপ প্রসেসরের তুলনায় কিছুটা কম। ল্যাপটপের ব্যবহার করা হয় এমন প্রসেসরগুলো হচ্ছে-ইন্টেলের অ্যাটম, সেলেরন, পেন্টিয়াম, ডুয়াল কোর, কোর টু সলো, কোর টু ডুয়ো, কোর টু এক্সট্রিম, কোর টু কোয়াড, কোর আই থ্রি/ফাইভ/সেভেন ইত্যাদি সিরিজের মোবাইল প্রসেসর এবং এএমডির সেমপ্রন, টুরিয়ন, এথলন এক্স২ ইত্যাদি। ল্যাপটপের প্রসেসর নির্বাচনের সময় ক্লক স্পিড, ক্যাশ মেমরি, কোরের সংখ্যা, থ্রেডের সংখ্যা, বাসস্পিড ইত্যাদি বিষয়গুলোও মাথায় রাখতে হবে।

হার্ডডিস্ক :



ডেস্কটপের জন্য বানানো ৩.৫ ইঞ্চি ফর্ম ফ্যাক্টরের হার্ডডিস্কগুলো ল্যাপটপের স্বল্প পরিসরে বসানোর জন্য ২.৫ ইঞ্চি ফর্ম ফ্যাক্টরের হার্ডডিস্ক ব্যবহার করা হয়। এগুলো আকারে ছোট ও পাতলা এবং কিছুটা কম গতিসম্পন্ন। তবে বর্তমানে নতুন ল্যাপটপগুলোতে হার্ডডিস্কের বদলে সলিড স্টেট ড্রাইভ তথা এসএসডি ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো হার্ডডিস্ক থেকে অনেক দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে। আকারেও অনেক ছোট। সাধারণত ল্যাপটপের হার্ডডিস্কের আরপিএম হয়ে থাকে ৫৪০০-৭২০০ পর্যন্ত। বাজারে ১৬০ গি.বা. থেকে শুরু করে ১ টেরাবাইট ধারণক্ষমতার হার্ডডিস্কসম্পন্ন ল্যাপটপ পাওয়া যায়। যেখানে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ও ডাটাসহ পছন্দের গান, মুভি, টিভি প্রোগ্রামের রেকর্ড করা ভিডিও, হাই রেজ্যুলেশনের ফটো ইত্যাদিসহ আরো অনেক কিছু রাখা যায়। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় ন্যূনতম ৩২০ গিগাবাইট ও নোটবুকের ক্ষেত্রে ১৬০ গিগাবাইট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ল্যাপটপ কেনাটাই হবে যুক্তিযুক্ত।

ব্যাটারি :

ল্যাপটপের ব্যাটারি হিসেবে Ni-Cad অর্থাৎ নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এগুলো পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যখন এগুলো যেখানে-সেখানে ফেলে দেয়া হয়। কারণ, এগুলো খুবই বিষাক্ত। এরপরে NiMH বা নিকেল-মেটাল-হাইড্রাইড ব্যাটারি উদ্ভাবিত হয়। আগের নিকেল-ক্যাডমিয়াম ব্যাটারি থেকে এগুলোর ক্ষমতা অনেক বেশি এবং পারফরমেন্সও ছিল তুলনামূলকভাবে ভালো। তারপরও এধরনের ব্যাটারি পরিবেশবান্ধব নয়। বর্তমানে নতুন ল্যাপটপগুলোতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হচ্ছে, যার আয়ু অনেক বেশি ও কার্যক্ষমতাও খুব ভালো। নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় ব্যাটারির সেলের সংখ্যা কতটি, তা দেখে নেয়া জরুরি। ৬ সেলের লিথিয়াম ব্যাটারি হলে এর আয়ু সাধারণ ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ৩-৪ ঘণ্টা হয়ে থাকে।

ভিডিও কার্ড :

ল্যাপটপ থেকে প্রজেক্টরের সাহায্যে কোনো বড় পর্দায় ডিসপ্লে করার জন্য ভিডিও কার্ড বা গ্রাফিক্স কার্ড ভালো মানের হতে হবে। সাধারণ ল্যাপটপগুলোর সাথে যে ভিডিও কার্ড দেয়া থাকে তা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজ ও সাধারণ মানের ভিডিও ও মুভি অনায়াসে দেখা যায়। তবে হাই-ডেফিনিশন বা ব্লু-রে প্রযুক্তির মুভি দেখার জন্য ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ডসহ ল্যাপটপ কেনা জরুরি। এছাড়া বিভিন্ন ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স ডিজাইন ও অ্যানিমেশন সফটওয়্যার চালানোর জন্য ন্যূনতম ২ গিগাবাইট র‌্যামের পাশাপাশি এনভিডিয়া বা এটিআই কোম্পানির ডিরেক্ট এক্স ১০ বা ১১ সাপোর্টেড ডেডিকেটেড ৫১২-১০২৪ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড থাকা দরকার। তবে এসব গ্রাফিক্স কার্ড বেশ তাপ উৎপন্ন করে। ছোট আকারের ল্যাপটপে সমন্বিত অবস্থায় নিম্নমানের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়, যা নামে মাত্র গ্রাফিক্স কার্ড।

ল্যাপটপ ডিসপ্লে :

ল্যাপটপের ডিসপ্লে নানা আকারের হতে পারে। সাধারণত বাজারে এখন ৭ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১৭ ইঞ্চি ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ পাওয়া যায়। ক্রেতা তার চাহিদা অনুযায়ী ডিসপ্লে বাছাই করে নিতে পারবেন। ডিসপ্লের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর অ্যাসপেক্ট রেশিও। সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড অ্যাসপেক্ট রেশিও হচ্ছে ৪:৩। কিন্তু বর্তমানে ওয়াইড স্ক্রিন ডিসপ্লের ১৬:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওযুক্ত ল্যাপটপের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। লেড ব্যাকলিট প্রযুক্তির ডিসপ্লেগুলো বেশি কার্যকর, তাই তা কেনা ভালো। যত বড় আকারের ডিসপ্লে হবে তা তত বেশি বিদ্যুৎ খরচ করবে এবং ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ কম পাওয়া যাবে। তাই ছোট ডিসপ্লের ল্যাপটপগুলো ব্যাটারির সাহায্যে ৭-১১ ঘণ্টা চালানো সম্ভব। বাজারে টাচস্ক্রিন ডিসপ্লের মনিটরসহ ল্যাপটপও পাওয়া যাচ্ছে।

র‌্যাম :



ডেস্কটপে আমরা যে র‌্যাম ব্যবহার করে থাকি, ল্যাপটপের র‌্যামগুলো আকারে প্রায় তার অর্ধেক। ছোট আকারের এ র‌্যামগুলোকে SO-DIMM (Small Outline-Dual Inline Memory Module) বলে। SO-DIMM র‌্যামগুলো ৭২, ১০০, ১৪৪, ২০০ বা ২০৪ পিনের হয়ে থাকে। এগুলোর মাঝে ১৪৪, ২০০ ও ২০৪ পিনের র‌্যামগুলো ৬৪-বিট ডাটা ট্রান্সফার সাপোর্ট করে। এখন ডিডিআর২ ও ডিডিআর৩ এ দু-ধরনের র‌্যামের প্রচলন বেশি দেখা যাচ্ছে। ডিডিআর২ র‌্যামযুক্ত ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখুন, যাতে তা ন্যূনতম ৬৬৭ মেগাহার্টজ বাসস্পিড এবং ডিডিআর৩ র‌্যামের ক্ষেত্রে তা যেনো ১০৬৬ মেগাহার্টজ বাসস্পিড সম্পন্ন হয়।

প্লাটফর্ম :

বাজারে দুই ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে কমপিউটারের ক্ষেত্রে। একটি হচ্ছে উইন্ডোজ বা লিনআক্সভিত্তিক ও আরেকটি হচ্ছে ম্যাক/মেকিন্টোশ/অ্যাপলভিত্তিক। সাধারণ যেসব ল্যাপটপ দেখা যায়, তার সবই উইন্ডোজ ও লিনআক্স অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে, তবে তাতে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম চালানো যায় না। অ্যাপলের বানানো ম্যাকবুক নামের ল্যাপটপগুলোতে ব্যবহার করা হয় ম্যাক ওএস এক্স নামের অপারেটিং সিস্টেম। দেখতে অসাধারণ ও গ্রাফিক্সের মান চমৎকার। তবে অ্যাপলের ল্যাপটপগুলো চেয়ে ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপও বাজারে রয়েছে।

অপারেটিং সিস্টেম :

অরিজিনাল অপারেটিং সিস্টেমযুক্ত ল্যাপটপগুলোর দাম কিছুটা বেশিই রাখা হয়। ল্যাপটপের দাম কমানোর জন্য ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে লিনআক্স দেয়া হচ্ছে। অ্যাপলের ল্যাপটপগুলোতে ম্যাক ওস এক্সের পাশাপাশি উইন্ডোজ ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। অন্যান্য ল্যাপটপে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার সুযোগ নেই। তবে ইন্টেল ও এএমডি’র জন্য আলাদা দু’টি বিশেষ ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সন রয়েছে, যা বাজারে সহজলভ্য নয়। কোন অপারেটিং সিস্টেমের ল্যাপটপ কিনবেন, সেটা ভালোভাবে চিন্তা করে নিতে হবে। কম ক্ষমতার নেটবুকগুলোতে উইন্ডোজ ভিসতা বা সেভেন চালাতে গেলে পারফরমেন্স ভালো হবে না, তাই তাতে এক্সপিই ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, উইন্ডোজ সেভেন চালানোর জন্য ন্যূনতম ১ গিগাহার্টজের প্রসেসর ও ১ গিগাবাইট র‌্যামের দরকার হবে। ল্যাপটপের ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে তাতে কোন অপারেটিং সিস্টেম ভালো হবে, তা ঠিক করতে হবে।

সাউন্ড কার্ড :

ল্যাপটপে যেসব বিল্ট-ইন বা ইন্টিগ্রেটেড সাউন্ড কার্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেগুলো তেমন একটা শক্তিশালী নয়। তবে হাই-এন্ড ল্যাপটপ বা গেমিং ল্যাপটপগুলোতে বেশ শক্তিশালী ও বেশ কিছু নতুন টেকনোলজিসমৃদ্ধ সাউন্ড কার্ডের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। যারা ল্যাপটপের সাথে আলাদা বড় আকারের স্পিকার সংযুক্ত করে গান শুনতে চান, তাদের জন্য ল্যাপটপ কেনার সময় সাউন্ড কার্ডের ব্যাপারটা দেখা জরুরি।

স্পিকার :





ল্যাপটপের সাথে সংযুক্ত স্পিকারের শব্দ তেমন একটা জোরালো বা নিখুঁত হয় না। নতুন ল্যাপটপগুলোতে স্টেরিও স্পিকার ব্যবহার করা হচ্ছে, যা দিয়ে কিছুটা হলেও সারাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমের মজা উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে দামী ও ভালোমানের ল্যাপটপের সাউন্ড সিস্টেম বেশ জোরালো শব্দ করতে পারে।

নেটওয়ার্ক :

যারা ল্যাপটপে ইন্টারনেট কানেকশন ও ডাটা ট্রান্সফারের ব্যাপারটি সহজ করে তুলতে চান, তাদের জন্য অনেক সুবিধা দেয়া হচ্ছে ল্যাপটপে। ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য এতে থাকতে পারে ১০-১০০০ মেগাবিট/সেকেন্ড গতির ইথারনেট পোর্ট, যা ব্রডব্যান্ড বা ডায়ালআপ ইন্টারনেট কানেকশন পেতে সাহায্য করবে। ওয়্যারলেস বা তারবিহীন ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার জন্য এতে থাকতে পারে ওয়াই-ফাই বা ব্লু-টুথ টেকনোলজি। কিছু ল্যাপটপে বিল্ট-ইন মডেমও থাকতে পারে।

কীবোর্ড :

বড় আকারের ল্যাপটপের সাথে ছোট আকারের ল্যাপটপের কীবোর্ডের পার্থক্য হচ্ছে তাতে বেশ কিছু কী কম থাকতে পারে। অল্প জায়গায় ঘন ঘন করে কীগুলো থাকায় টাইপ করতেও বেশ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই টাইপিংয়ের কাজ প্রাধান্য পেলে বড় আকারের ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন, যাতে বেশিসংখ্যক কী রয়েছে এবং তা ব্যবহার করা সুবিধাজনক।

পয়েন্টিং ডিভাইস :

ডেস্কটপের ক্ষেত্রে আমরা পয়েন্টিং ডিভাইস হিসেবে মাউস ব্যবহার করে থাকি। ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা তিন রকমের হয়ে থাকে, যেমন- টাচপ্যাড, ট্র্যাকবল ও ছোট জয়স্টিক। টাচপ্যাডের ব্যবহার ইদানীং বেশি দেখা যাচ্ছে। পয়েন্টিং ডিভাইস হিসেবে ল্যাপটপে নতুন ধারার সৃষ্টি করতে যাচ্ছে হাই টেক মাল্টি টাচপ্যাড। এ প্যাডের সাহায্যে এক বা একাধিক আঙ্গুল ব্যবহার করে অনেক ধরনের কমান্ড দেয়া যায়।

অপটিক্যাল ড্রাইভ :

বর্তমানে মাঝারি থেকে উচ্চক্ষমতার ল্যাপটপেই ডিভিডি-রাইটার দেয়া থাকে। কম বাজেটের ল্যাপটপে ডিভিডি রম থাকে বা অপটিক্যাল ড্রাইভ নাও থাকতে পারে। হাই-এন্ড ল্যাপটপের সাথে ব্লু-রে ড্রাইভ সংযুক্ত থাকে। অপটিক্যাল ড্রাইভের রিড রাইটের স্পিড দেখে নেয়াটা জরুরি। ডিভিডি রাইটারের ক্ষেত্রে তা ৮এক্স ও ব্লু-রে ড্রাইভের ক্ষেত্রে ২এক্স হয়ে থাকে।

অনলাইন শপিং

দেশের বাইরে থেকে ল্যাপটপ আনাতে চাইলে অনলাইনে অর্ডার করতে হবে। বিভিন্ন দেশে পণ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে পণ্যের অর্ডার নেয় এবং তা আপনার দেয়া ঠিকানায় পৌঁছে দেয়। ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে দাম পরিশোধ করার ২-৩ সপ্তাহ বা ১ মাসের মধ্যে ল্যাপটপ পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে- শিপমেন্টের অর্থাৎ পণ্যটি পরিবহন করে আপনার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য কত খরচ পড়বে, পণ্যটি নতুন নাকি পুরনো, কতদিনের মধ্যে তা আপনার হাতে পৌঁছবে তা উল্লেখ করা আছে কি না, বাংলাদেশের জন্য সাপোর্ট আছে কি না, কোনো বিশেষ ছাড় আছে কি না, অর্ডার দেয়ার সময় নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার ঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন কি না ইত্যাদি। একই পণ্যের দাম প্রতিষ্ঠানভেদে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। তাই শুধু একটি সাইট না দেখে কয়েকটি সাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা ভালো। অনলাইনে পণ্য কেনার সুবিধা দিয়ে থাকে এমন কয়েকটি সাইটের নাম হচ্ছে- www.amazon.com, www.neweeg.com, www.ebay.com, www.buy.com ইত্যাদি। তবে বাইরে থেকে কিছু আনানোর সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে ওয়ারেন্টির সুবিধা না পাওয়া। নিজ দেশ থেকে কেনা হলে তাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা খুব দ্রুত সারানো সম্ভব। আমাদের দেশীয় অনলাইন শপিং সেবাদানকারী কিছু সাইটের মধ্যে রয়েছে- www.cellbazaar.com, www.clickbd.com, www.deshilisting.com ইত্যাদি।

পুরনো ল্যাপটপ কেনা

আর্থিক বা অন্য বিশেষ কোনো কারণে অনেকেই পুরনো বা সেকেন্ডহ্যান্ড ল্যাপটপ কেনেন। ল্যাপটপ নির্মাতা কোম্পানিগুলো এমনভাবে তাদের মডেলগুলো বের করে, যাতে তা সহজে আপগ্রেড করা না যায়। ফলে বেশিরভাগ মডেলই এখন আগের মতো বেশ কয়েক বছর ধরে চালানোর সুযোগ পাবেন না। এর কারণ হচ্ছে, তা আপগ্রেড করা সম্ভব হবে না তাই নতুন সফটওয়্যার চালাতে সমস্যা হবে, নতুন অপারেটিং সিস্টেমগুলোর রিকোয়ারমেন্ট অনেক বেশি, যা পুরনো ল্যাপটপের জন্য হুমকিস্বরূপ, ড্রাইভার সফটওয়্যার সাপোর্ট না করা বা ড্রাইভার সফটওয়্যারের আপডেট বের না হওয়া ইত্যাদি। কম দামে মানসম্পন্ন একটি ল্যাপটপ কেনার আগে নিচের উল্লিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে :

০১. ল্যাপটপ কেনার সময় দেখতে হবে, তা কতটা পুরনো? বাজেট খুবই কম হলে তবেই শুধু পেন্টিয়াম বা সেলেরন সিরিজের প্রসেসরসহ ল্যাপটপের দিকে হাত বাড়াতে পারেন, তা না হলে নয়। এমন ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন, যাতে তা অন্ততপক্ষে কিছুটা যুগোপযোগী হয়। নতুন সফটওয়্যারগুলো এবং অন্তত উইন্ডোজ সেভেন সাপোর্ট করে এমন ল্যাপটপ বাছাই করাটাই ভালো হবে।

০২. পুরনো ল্যাপটপ পাবেন কোথা থেকে? আমাদের দেশের কমপিউটার মার্কেটগুলোতে বেশ কিছু দোকান রয়েছে, যাতে পুরনো কমপিউটার বিক্রি হয়। পরিচিতজনদের কেউ বিক্রি করতে পারে ল্যাপটপ। বিদেশ-ফেরতদের কাছেও পেতে পারেন পুরনো ল্যাপটপ। এছাড়া অনলাইনে কিছু সাইট রয়েছে, যারা পুরনো পণ্য বেচাকেনা করে, সেখানে ঢু মেরে দেখতে পারেন।

০৩. ল্যাপটপের কনফিগারেশনের ওপর চোখ বুলানো শেষ হলে নজর দিতে হবে ল্যাপটপে কোনো দাগ বা ভাঙ্গা অংশ রয়েছে কি না। যদি ভাঙ্গা থাকে এবং তা তেমন একটা সমস্যার সৃষ্টি করবে না বলে মনে হয়, তবে বিক্রেতার কাছ থেকে তার দাম আরো কমানোর ব্যাপারে একটু চাপ প্রয়োগ করে দেখুন।

০৪. ল্যাপটপের ডিসপ্লে রিপ্লেস করাটা বেশ ব্যয়সাধ্য ব্যাপার, তাই দেখতে হবে ডিসপ্লেতে কোনো অংশে কোনো দাগ, রংচটা ভাব, গোলাপি বা বেগুনি রংয়ের আভা রয়েছে কি না। যদি থাকে তবে সে ল্যাপটপটি না কেনাই ভালো।

০৫. ল্যাপটপের প্লাগ, সকেট, ওয়্যারলেস কানেকশন (ব্লু-টুথ, ওয়াই-ফাই) এসব ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা দেখতে হবে।

০৬. হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টর রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। বাকি সব ঠিকই আছে, তবে হার্ডডিস্কে সমস্যা থাকলে তা নিতে পারেন। কারণ, হার্ডডিস্ক অল্প খরচ ও সহজেই পরিবর্তন বা আপগ্রেড করে নেয়া যাবে।

০৭. অপটিক্যাল ড্রাইভের বেলায় তা সিডি/ডিভিডি ঠিকমতো চালাতে পারে কি না, তা দেখে নিতে হবে। তবে অপটিক্যাল ড্রাইভগুলোও পরিবর্তন করা সম্ভব বলে এ ব্যাপারে বেশি মাথা না ঘামালেও চলবে।

০৮. ব্যাটারির আয়ু কেমন তা দেখাটা বেশ জরুরি। ল্যাপটপ যত পুরনো হবে, তার ব্যাটারির স্থায়িত্ব তত কমে যাবে। তবে ব্যাটারি রিপ্লেস করা যাবে, কিন্তু একই মডেলের ল্যাপটপের ব্যাটারি বাজারে আছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

০৯. সবশেষে দেখে নিতে হবে পাওয়ার অ্যাডাপ্টার, পাওয়ার ক্যাবল ও ড্রাইভার ডিস্ক ঠিক আছে কি না।

কাজ ও পেশার ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপ

সবার চাহিদা এক নয়। তাই বিভিন্ন পেশা ও ব্যবহারের ধরন বুঝে ল্যাপটপগুলোকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেয়া যায়। পাঠকদের সুবিধার্থে ভাগগুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

ডেস্কটপের বিকল্প হিসেবে ল্যাপটপ :

যখন ডেস্কটপের বিকল্প হিসেবে ল্যাপটপ কেনা হবে সেক্ষেত্রে খরচের পরিমাণও অনেক বেশি হবে। সাধারণত এ ধরনের ল্যাপটপের ব্যবহার বেশি দেখা যায় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কর্মচারীদের মাঝে। তাদের কাজ বিভিন্ন রকমের ডাটা অ্যানালাইসিস, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো এডিটিংসহ আরো অনেক কাজ করতে হয়। তাই ডেস্কের ওপরে জায়গা বাঁচানোর জন্য ডেস্কটপের সমকক্ষ ল্যাপটপ তাদের কাজের জন্য আবশ্যক।

ল্যাপটপে যে সুবিধাগুলো প্রয়োজন :

প্রসেসর হিসেবে কোর টু ডুয়ো বা কোর টু কোয়াড; ডিসপ্লে ১৪ ইঞ্চির বেশি না হলেই নয়; নিউমেরিক কী-প্যাডসহ বড় আকারের কী-বোর্ড; হার্ডডিস্কের ধারণক্ষমতা মোটামুটি ২৫০-৩২০ গিগাবাইট হলেই যথেষ্ট; ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্সকার্ড অথবা ডিসক্রিট গ্রাফিক্স চিপ এবং তা অবশ্যই ৫১২ মেগাবাইট মেমরি যুক্ত হলে ভালো; ব্যাটারি ব্যাকআপ গুরুত্বপূর্ণ নয় কারণ তা ডেস্কেই থাকবে।



কম দামে বাজেট ল্যাপটপ :

বাজেট ল্যাপটপ বলতে এখানে আসলে কম দামের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ভালোমানের ল্যাপটপকে বোঝানো হয়েছে। এ ধরনের ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডাউনলোড, গান শোনা, ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যার চালানো এবং ছোটখাটো গেম খেলা ইত্যাদি অনায়াসে করা সম্ভব। ঘরে সাধারণ কাজে ব্যবহার করার জন্য, ছাত্রদের জন্য এবং ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের জন্য এ ধরনের ল্যাপটপ আদর্শ। এ ধরনের ল্যাপটপে কেউ যদি আশা করেন, তা হবে হাল্কা ও আকর্ষণীয় ডিজাইনযুক্ত, তবে তাকে নিরাশ হতে হবে। সাধারণত এ ধরনের ল্যাপটপগুলো ভারি ও মোটা আকৃতির হয়ে থাকে।

ল্যাপটপে যে সুবিধাগুলো প্রয়োজন :

ইন্টেল ডুয়াল কোর প্রসেসর, ১-২ গিগাবাইট ডিডিআর২ র‌্যাম, ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ২৫০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, ডিভিডি রম/রাইটার এবং ২-৩ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ।

ভ্রমণের নিত্যসাথী হিসেবে নোটবুক :

ছোট আকারের, সহজে বহনযোগ্য, বড় আকারের পকেটে কিংবা মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগে অনায়াসে এঁটে যায় এমন কমপিউটারই হতে পারে ভ্রমণের সাথী। যেখানেই যান সেখানেই তা নিয়ে যাওয়া যাবে। ভ্রমণপ্রিয় ব্যক্তি ও ছাত্রছাত্রীদের হাতে এ ল্যাপটপ ইদানীং বেশি দেখা যাচ্ছে।

ল্যাপটপে যে সুবিধাগুলো প্রয়োজন :

ইন্টেল অ্যাটম, সেলেরন, কোর সলো (লো-ভোল্টেজ) প্রসেসর, ১৩ ইঞ্চির চেয়ে ছোট আকারে ডিসপ্লে, ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স কার্ড যাতে কম তাপ উৎপন্ন হয়, ১.৫ কিলোগ্রামের কম ওজন এবং কার্ড রিডার থাকা ভালো, যেহেতু তাতে অপটিক্যাল ড্রাইভ থাকে না।

গেমিং ল্যাপটপ :

গেম খেলার জন্য ডেস্কটপ পিসির সাথে ল্যাপটপের তুলনা করা চলে না। তবুও গেমিং ল্যাপটপের ক্ষমতা বেশ ভালোই রয়েছে মোটামুটি মানের গেমগুলো চালানোর ক্ষেত্রে। এসব ল্যাপটপের দাম অনেক বেশি এবং আকারে বেশ বড় ও ভারি।

ল্যাপটপে যে সুবিধাগুলো প্রয়োজন :

কোর টু ডুয়ো থেকে কোর আই সেভেন মানের প্রসেসর, এনভিডিয়া বা এটিআই চিপসেটের ৫১২ মেগাবাইট-১ গিগাবাইট ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স মেমরি, ২-৪ গিগাবাইট ডিডিআর ৩, ১০৬৬-১৩৩৩ বাস স্পিডসম্পন্ন র‌্যাম এবং ১৫-১৮ ইঞ্চি ডিসপ্লে যা উচ্চ রেজ্যুলেশন সমর্থন করে।

স্টুডেন্ট ল্যাপটপ :

লেখালেখির কাজ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, গান শোনা, গেম খেলা, মুভি দেখা এসব কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন সহজে বহনযোগ্য, মজবুত, ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ ও মাল্টিমিডিয়া সাপোর্টেড কম দামের একটি ভালো ল্যাপটপ।

ল্যাপটপে যে সুবিধাগুলো প্রয়োজন :

ডুয়াল কোর প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৪-১৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে মনিটর, ১৬০-২৫০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, ওয়েবক্যাম, কার্ড রিডার এবং ৪-৫ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ।

সব কাজের কাজী ল্যাপটপ :

সব ধরনের কাজের উপযোগী ল্যাপটপও রয়েছে এবং তা কেনার জন্য মাঝারি মানের বাজেটের প্রয়োজন হবে। ল্যাপটপটি সঠিক কি কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে, তা সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে, তখন এ ধরনের ল্যাপটপের দিকে নজর দিতে পারেন। একই ঘরের সদস্যদের মাঝে শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে এ ধরনের ল্যাপটপের ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

ল্যাপটপে যে সুবিধাগুলো প্রয়োজন :

১.৮-২.৬ গিগাহার্টজের কোর টু ডুয়ো প্রসেসর, ২-৩ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৩-১৫ ইঞ্চি মনিটর, ২৫০-৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক (৫৪০০-৭২০০ আরপিএমযুক্ত), ডিভিডি রাইটার বা ব্লু-রে ড্রাইভ, ব্লু-টুথ, ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটি এবং (ন্যূনতম ৪ ঘণ্টার ব্যাকআপসম্পন্ন) ৬ সেলের ব্যাটারি।

বিজনেস ল্যাপটপ :

ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা ল্যাপটপগুলো কিছুটা মজবুত, সুরক্ষিত এবং বিশেষ কিছু সুবিধাসম্বলিত হয়ে থাকে। এসব ল্যাপটপের স্থায়িত্ব বেশ বড় একটি বিষয়, তাই যথাসম্ভব মানসম্পন্ন ও টেকসই ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করতে হবে ব্যবসায়ী, বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী এবং আইটি কাজের সাথে জড়িত কর্মচারীদের।

ল্যাপটপে যে সুবিধাগুলো প্রয়োজন :

কোর টু ডুয়ো বা কোর আই থ্রি প্রসেসর, ২-৩ গিগাবাইট র‌্যাম, ১৩-১৭ ইঞ্চির মনিটর, ফুল ফিচারসহ কীবোর্ড, ভালোমানের পয়েন্টিং ডিভাইস, ৭২০০ আরপিএম’র ২৫০-৩২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক, ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার, ফেস রিকগনিশন, ট্রাস্টেড প্লাটফর্ম মডিউল সিকিউরিটি এবং এনক্রিপশন সফটওয়্যার।

ল্যাপটপ অ্যাক্সেসরিজ

ক্যারিং ব্যাগ :



যে ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বা নোটবুক কিনবেন সে ব্র্যান্ডের লোগোযুক্ত ব্যাগ দিয়ে দেয়া হবে। ল্যাপটপের সাথে যে ব্রিফকেস আকারের ব্যাগগুলো দেয়া হয় সেগুলো সাধারণত কাপড়ের তৈরি। পিঠে ঝোলানো ব্যাগ চাইলে তাও পেয়ে যাবেন। বাজারে বেলকিন, টারগাস, আইএক্সএ ইত্যাদি ব্র্যান্ডের বেশ কিছু মডেলের ব্যাগ পাওয়া যায়, যা বেশ টেকসই ও সুন্দর।

ল্যাপটপ কুলার :



শখের ল্যাপটপটিকে তাপজনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে কুলার ব্যবহার করা বেশ জরুরি। কুলিং ফ্যানযুক্ত বা লিকুইড ক্রিস্টাল কুলিং প্যাড ব্যবহার করলে ল্যাপটপের আয়ু অনেক বাড়ানো সম্ভব। বাজারে জিনিয়াস, বেলকিন, থার্মালটেক, ভিশনসহ আরো বেশ কিছু চীনা কোম্পানি বিভিন্ন মডেলের কুলিং প্যাড বাজারজাত করছে।

কীবোর্ড :

ল্যাপটপের যে কীবোর্ড দেয়া থাকে, তাতে টাইপ করতে অনেকের সমস্যা হতে পারে। তাই ল্যাপটপের জন্য আলাদা ছোট আকারের ইউএসবি পোর্টযুক্ত কীবোর্ড কিনে নেয়া যেতে পারে। নামপ্যাডসহ কীবোর্ড চাইলে তাও কিনে নিতে পারেন। বাজারে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের কীবোর্ড রয়েছে তাই পছন্দসই কিনে নিলেই হলো।

মাউস :

ল্যাপটপের যারা সূক্ষ্ম কাজ করেন, যেমন আঁকাআঁকি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অডিও-ভিডিও এডিটিং, গেমিং তাদের জন্য আলাদা মাউসের দরকার হয়। আবার অনেকে আছেন টাচপ্যাড বা ট্র্যাকবল ব্যবহারের চেয়ে মাউস ব্যবহার করা পছন্দ করেন। তাদের জন্য রয়েছে সুদৃশ্য ছোট আকারের মাউস, যা গুটিয়ে রাখা যায়। প্রয়োজনমতো তার টেনে লম্বা করা যায়।

স্পিকার :

ল্যাপটপের বিল্ট-ইন স্পিকারের শব্দ যদি কম মনে হয়, তবে ল্যাপটপের জন্য বানানো ছোট আকারের মোটামুটি ভালো শব্দযুক্ত বেশ কিছু স্পিকার বাজারে রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে- সনিক গিয়ার, অ্যালটেক ল্যান্সিং, ইয়ারসন ইত্যাদিসহ আরো অনেক ব্র্যান্ডের নজরকাড়া স্পিকার।

এক্সপানশন ডিভাইস :

গ্রাফিক্স কার্ড বা সাউন্ড কার্ডের ক্ষমতা কম মনে হলে তাতে ইউএসবি গ্রাফিক্স কার্ড বা সাউন্ড কার্ড লাগিয়ে তার ক্ষমতা বাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে। ইউএসবি সাউন্ড কার্ড বাজারে রয়েছে, 
 

শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১০

যেভাবে চিরদিনের জন্য বন্ধ করবেন আপনার ফেসবুক একাউন্ট



ফেসবুক এখন পৃথিবীর টক অফ দা টাইম, কারনে অকারনে মানুষ এখন সারাদিন ফেসবুকের সাথে থাকতে ভালবাসে । এই ফেসবুকই আবার হয়ে উঠে বিড়ম্বনর কারন । যদি আপনার তেমনি হয়ে থাকে তাহলে জেনে নিন কিভাবে বন্ধ করবেন আপনার ফেসবুক একাউন্ট ।Deactivate করুন Facebook একাউন্টএকাউন্ট বন্ধ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগে Deactivate করে নিন আপনার Facebook একাউন্টটি ।




১. প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে Settings > Account Settings > Deactivate Account তে যান । অথবা এই লিংকে যান ।


২. এবার আপনাকে একটি ফরম দ্বারা জিজ্ঞাস করা হবে কেন আপনি একাউন্ট ডিএ্যাকটিভেট করতে চান । ফরমটি পূরন করে Deactivate My account চাপুন ।

এবার আপনার একাউন্টটি Deactivate হয়ে যাবে । তবে এরপরও হয়ত আপনি ট্যাগ , ইনভাইটেশন ইত্যাদি পেতে থাকবেন । এগুলো থেকে মুক্ত হতে একেবারে ডিলেট করে দিন আপনার এ্যাকাউন্টটি ।Delete করুন Facebook একাউন্টএবার ফেসবুকে লগইন করা অবস্থায় এই লিংকটিতে যান । এবং এবার একটি নোটিশ পাবেন যে , আপনার এ্যাকাউন্টটি ডিলেট করে দিলে আপনার ছবি , মেসেজ সহ সকল ডাটা মুছে যাবে যা আপনি আর কখনওই ফিরৎ পাবেননা । রাজি থাকলে Submit বাটানটি চেপে চিরদিনের জন্য ডিলেট করে দিন আপনার ফেসবুক একাউন্ট ।সতর্কতা: আপনার এ্যাকাউন্টটি ডিএ্যাকটিভেট বা ডিলেট করে দিলে আপনার ছবি , মেসেজ সহ সকল ডাটা মুছে যাবে যা আপনি আর কখনওই ফিরৎ পাবেননা । তাই এগুলো ফলো করার আগে নিজে নিশ্চিত হয়ে নিন যে ভবিষ্যতে এগুলোর দরকর হবে না ।

বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১০

মোবাইলে ইন্টারনেটের চাহিদা পূরণ (সফটওয়্যারের ফিচার ও লিংকসহ)



প্রথমে চেয়েছিলাম জীবনে যতো কাজের মোবাইল সফটওয়্যার দেখেছি সেগুলো নিয়ে পোস্ট দেবো। কিন্তু পরে বুঝলাম সেটা করতে গেলে কোন বিশেষ একটি সফটওয়্যারের ব্যাপারে বেশি কিছু লেখা সম্ভব হবে না, ফিচারগুলো তুলে ধরা সম্ভব হবে না। তাই ভাবলাম মোবাইলে প্রধানতঃ মানুষ আসলে কি চায়। মানুষ চায় মোবাইল তাদের বেসিক চাহিদাগুলো মোটামুটি রূপে পূরণ করুক, আর তার বিরাট একটা অংশ জুড়েই হচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। আর তাই খুব বেসিক কিছু সফটওয়্যার নিয়ে লিখলাম যেগুলোর কার্যকারিতা সবার পক্ষে বোঝা সম্ভব, সম্ভব ব্যবহার করা। আর তাই বাদ দেয়া হয়েছে অনেক জটিল কিন্তু কার্যকরী সফটওয়্যার। এই পোস্ট লিখতে গিয়ে অনেকসময়ই একই ধরনের কিছু সফটওয়্যারের মধ্যে সেরা ক'টিকে বেছে নিতে হয়েছে বা তার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অভ্যস্ত তাদের অনেকেরই হয়তো কাজে আসবে না পোস্টটি, তবে নতুনদের জন্য সহায়ক হবে বলে ধারণা।

----------------------------------------------------------------------------------



Opera Mini: অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মোবাইল Web ব্রাউজারটিকে আসলে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছ নেই। আমরা যারা বাংলাদেশে একদম প্রথম থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছি তাদের সাথে অপেরা মিনির সখ্যতা অনেকদিনের। নিচে Opera Mini এর কিছু ফিচার তুলে ধরা হলো:

১. যে কোন পেইজ আপনার অপেরা মিনিতে আসার আগে অপেরা মিনির নির্দিষ্ট Proxy Server থেকে Processed ও Compressed হয়ে আসে। আর তাই খুব অল্প যেটা ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনি ঐ নির্দিষ্ট ওয়েবপেইজটি ব্রাউজ করতে পারেন।

২. সব ধরনের ওয়েবসাইট/ওয়েবপেইজ সাপোর্ট করে।

৩. সাধারন ওয়েব ব্রাউজারের তুলনায় খরচ অনেক কম!

৪. ভিন্ন ভাষার ইউনিকোড ফন্ট সাপোর্ট (সরাসরি নয়, বিটম্যাপ ফন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে)

৫. ফাইল আপলোড করার ক্ষমতা! (শুধু মাত্র অপেরা মিনি ৪ বা তার পরের ভার্শনগুলোয়)

৬. RSS সাপোর্ট।

৭. Mobile, Desktop ও Landscape view

৮. অপেরার পিসি ভার্শন অথবা অন্য অপেরা মিনি সাথে Bookmark Synchronize করার সুবিধা।

৯. আকর্ষনীয় ও পরিবর্তনযোগ্য থিম।



যেসব ফোনে কাজ করে: যে কোন ফোন যা জাভা এ্যাপ্লিকেশন সাপোর্ট করে।

ব্লগ ও বিভিন্ন ফোরামের মাধ্যমে এখন প্রায় সবারই জানার কথা যে অপেরা মিনির মাধ্যমে যে কোন ইউনিকোড বেইজড বাংলা ওয়েবসাইট মোবাইলে দেখা সম্ভব। এ জন্য আপনার অপেরা মিনির এ্যাড্রেস বারে about:config লিখুন। এবারে Power-User settings উইন্ডোটি খুললে Use bitmap fonts for complex scripts অপশনে Yes দিন। Save নামে একটি বাটন পাবেন, সেটিতে চাপ দিন। ব্যস! এবারে বাংলা দেখতে পারবেন আরামে।



* বিঃ দ্রঃ Bitmap Font ব্যবহার করে বাংলা বা অন্য কোন ভাষা দেখার কারনে Data Usage অনেক বেশি হয় বিধায় Pay-as-you-go প্যাকেজের গ্রাহক অর্থাৎ কিনা যারা প্রতি কিলোবাইটের হিসেবে টাকা দেন তাদের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। আর তাই শুধুমাত্র আনলিমিটেড প্যাকেজ ব্যবহারকারীদেরকেই Bitmap Font নিয়মিতভাবে ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করছি।

ডাউনলোড: আপনার মোবাইলের ওয়েব ব্রাউজার থেকে mini.opera.com এ যান এবং ডাউনলোড করুন। অথবা চাইলে www.opera.com/mini/download লিংকে গিয়ে পিসিতে ডাউনলোড করে তারপর মোবাইলে Install করতে পারেন।

----------------------------------------------------------------------------------



Skyfire: মোজিলার বানানো এই মোবাইল ওয়েব ব্রাউজারটির কাজ করে অনেকটা অপেরা মিনির মতোই। এটিরও নির্দিষ্ট কয়টি Proxy Server আছে যেখান থেকে ডেটা/ওয়েবপেইজ Processed ও Compressed হয়ে তারপর আপনার মোবাইলে আসে। তবে Skyfire এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি কোন থার্ড পার্টি এ্যাপ্লিকেশনের সহায়তা কোন সহায়তা ছাড়াই শুধুমাত্র ব্রাউজারের বিল্ট-ইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে Flash, Silverlight ও Quick Time ভিডিও দেখাতে পারে যা মোবাইল ওয়েব ব্রাউজারের জগতে একবারেই নতুন। সোজা কথায় যদি বলি তাহলে বলা যায় এর মাধ্যমে আপনি YouTube এর ডেস্কটপ সংস্করণ আপনার মবোইলে ব্রাউজ করতে পারবেন এবং একই সাথে ভিডিও দেখতে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য Flash কন্টেন্টযুক্ত ওয়েবসাইটও দেখতে পারবেন সাচ্ছন্দ্যে।



যেসব ফোনে কাজ করে: Nokia N Series (N80 ও N90 বাদে), Nokia E Series (E60 বাদে), অন্য যেকোন Nokia Symbian Series 60 v3 OS যুক্ত ফোনে এবং Windows Mobile 5, 6, and 6.1 (টাচস্ক্রিণ ও নন-টাচ স্ক্রিণ উভয়ই)

ডাউনলোড: আপনার মোবাইলের ওয়েব ব্রাউজার থেকে m.skyfire.com এ যান এবং ডাউনলোড করুন। অথবা চাইলে get.skyfire.com এ গিয়ে আপনার ফোনের জন্য নির্দিষ্ট ভার্শনটি পছন্দ করে পিসিতে ডাউনলোড করে তারপর মোবাইলে Install করতে পারেন।

----------------------------------------------------------------------------------



UCWEB: এই ব্রাউজারটি অনেকটা Opera Mobile (Opera Mini নয়) এর মতো কাজ করে। ব্রাউজারটি চীনের একটি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বানানো এবং চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার। এটির Data Compression মন্দ নয়। তবে এই ব্রাউজারটি ব্যবহারের মূল কারন এর ব্রাউজিং দক্ষতা নয়, বরং Download দক্ষতা। :) UCWEB এ চমৎকার বিল্ট ইন একটি Download Manager আছে এবং শুধু তাই নয় এটি ডাউনলোডের জন্য Resume ফিচারটি সাপোর্ট করে - অর্থাৎ পিসির ডাউনলোড ম্যানেজারগুলোর মতোই এটিতেও আপনি চাইলে কোন ডাউনলোড বন্ধ রাখতে পারবেন ও আবার পরে পুনরায় চালু করতে পারবেন। আরো একটি চমৎকার ফিচার হচ্ছে এটি Multithreaded ডাউনলোডিং সাপোর্ট করে। অর্থাৎ যেকোন ফাইলকে ডাউনলোডের সময় এটি একাধিক ভাগে ভাগ করে নিয়ে টুকরো টুকরো করে ডাউনলোড করে। Multithreaded ডাউনলোডিং আধুনিক পিসি ডাউনলোড ম্যানেজারগুলোর একটি জনপ্রিয় ফিচার এবং এভাবে ডাউনলোডের কারণে ডাউনলোড স্পিড বেড়ে যায় বহু গুণ। আর তাই বৃহৎ ভিডিও, mp3 অথবা অন্য যে কোন ফাইল পিসিতে নামাতে পারবেন আরো সাচ্ছন্দ্যের সাথে, আরো দ্রুততার সাথে।





যেসব ফোনে কাজ করে: সকল Java Application সাপোর্টেড ফোনে। iPhone ভার্শন শীঘ্রই আসছে।

ডাউনলোড: আপনার মোবাইলের ওয়েব ব্রাউজার থেকে wap.ucweb.com এ গিয়ে ডাউনলোড করে নিন অথবা পিসি থেকে www.ucweb.com/English/download.shtml এ গিয়ে আপনার হ্যান্ডসেটের নাম ও মডেল পছন্দ করে নির্দিষ্ট ভার্শনটি ডাউনলোড করে নিন এবং পরবর্তীকে মোবাইলে Install করুন।

----------------------------------------------------------------------------------



Fring: মোবাইল ভিওআইপি কলিংয়ের জন্য Fring এর জুড়ি নেই। এটি দিয়ে মোবাইল থেকেই ফ্রি তে কল করে কথা বলতে পারবেন আপনার Skype, Yahoo!, Windows Live Messenger (Hotmail), Google Talk, ICQ আর AIM এর বন্ধুদের সাথে। এছাড়াও আছে Yahoo Messenger, Windows Live Messenger (Hotmail), Google Talk, Skype, ICQ, AIM এবং Twitter এর বন্ধুদের সাথে চ্যাট করার সুযোগ।





যেসব মোবাইলে কাজ করে: Symbian 8 ও 9 (S60, S40 2nd, 3rd & 4th edition)। Java ME, iPhone, Linux, Windows Mobile 5 ও 6।

ডাউনলোড: Fring ডাউনলোড করতে হলে আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে m.fring.com এই লিংকে যান অথবা পিসি থেকে www.fring.com/download লিংকে গিয়ে আপনার হ্যান্ডসেট মডেল নির্বাচন করে পিসিতে ডাউনলোড করুন এবং তার পর মোবাইলে Install করুন।

----------------------------------------------------------------------------------



Nimbuzz: Nimbuzz এর কাজ অনেকটা Fring এর মতোই তবে কিছ পার্থক্য আছে। Nimbuzz এর মাধ্যমে Skype, Windows Live Messenger, GoogSkype, Windows Live Messenger, Google Talk, Yahoo! Messenger, AIM, Jabber and ICQ তে চ্যাট করা যায়। এছাড়াও Facebook, MySpace, Orkut প্রভৃতি সোস্যাল কমিউনিটি সাইটের সাথে যুক্ত হওয়ারও সুবিধা আছে। VOIP কল করা যাবে Google Talk, MSN, Skype এবং Nimbuzz বন্ধুদের কাছে। মোবাইলে থাকা ফাইলও চাইলে কাউকে পাঠাতে পারবেন।





যেসব মোবাইলে কাজ করে: যে কোন জাভা এ্যাপ্লিকেশন সমর্থিত মোবাইল, S60, iPhone এবং Windows Mobile।

ডাউনলোড: মোবাইলের ব্রাউজার থেকে get.nimbuzz.com এ যান অথবা পিসি থেকে www.nimbuzz.com/en/mobile/pc/download এ গিয়ে পিসিতে ডাউনলোড করে তারপর মোবাইলে Install করুন।

----------------------------------------------------------------------------------
বিঃ দ্রঃ মোবাইলের ইন্টারনেট ব্যবহার করে VOIP কল করলে প্রচুর ডেটা টান্সফার হয় আর তাই Unlimited Package এর ব্যবহারকারীর বাদে আর কেউ ব্যবহার করবেন না যেনো (একান্তই যদি ফোন কোম্পানী আপনার শশুর না লাগে!)
----------------------------------------------------------------------------------



Morange: Morange অনেকটা Nimbuzz আর Fring এর মতোই কাজ করে তবে ঐ দু'টোর সাথে Morange এর মূল পার্থক্য হলো এটি দিয়ে VOIP কল করা যায় না। আবার অতিরিক্ত একটা সুবিধা হলো এটি দিয়ে একাধিক মেইল এ্যাকাউন্টের মেইল চেক করা যায় এবং নতুন মেইল করা যায় (Attachment সহ)। আছে চ্যাট করার সুবিধাও। আচে বিল্ট ইন একটি ব্রাউজারও।





যেসব ফোনে কাজ করে: সকল Java Application সাপোর্টেড ফোন এবং Windows Mobile।

ডাউনলোড: মোবাইলের ব্রাউজার থেকে m.morange.com এ গিয়ে Install করুন অথবা পিসি থেকে morange.com/phone/download.aspx এই লিংকে গিয়ে ডাউনলোড করে তারপর ফোনে Install করুন।

----------------------------------------------------------------------------------



mig33: মোটামুটি সময় ধরে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন আর mig33 এর নাম জানেন না এমন মানুষ পাওয়া মনে হয় কষ্টকর হবে। mig33 মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি চ্যাটিং এ্যাপ্লিকেশন। mig33 বিখ্যাত এর নিজস্ব বিশাল একটি চ্যাটিং কমিউনিটির জন্য। এখানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের চ্যাটার আছেন, আছে সংশ্লিষ্ট দেশে চ্যাট রুম। বর্তমানে mig33 এর ইউজার সংখ্যা কল্পনাও করা সম্ভব না। আমরা যখন কলেজে ছিলাম তখন mig33 ছিলো আমাদের ধ্যান-জ্ঞান। সারাদিন, সারারাত অনলাইনে......না জানি কি পেয়েছিলাম ওর মধ্যে। যাই হোক......পোস্টে ফিরে আসি। এছাড়াও mig33 দিয়ে Yahoo, MSN, Google Talk এ চ্যাট করা সম্ভব। আছে গ্রুপ চ্যাটের সুবিধাও। তবে যদি কারো mig33 এর নিজস্ব কমিউনিউটিতে চ্যাট করার ইচ্ছে থাকে তাহলেই আমি একমাত্র এটি ব্যবহার করতে বলবো।





যেসব ফোনে কাজ করে: সকল Java Application সাপোর্টেড ফোন।

ডাউনলোড: মোবাইলের ব্রাউজার থেকে wap.mig33.com এ গিয়ে ইন্সটল করতে হবে।

----------------------------------------------------------------------------------



Google Maps: Google Maps এর পিসি সংস্করণের মতোই কাজ করে এটি তবে এটি একটি আলাদা এ্যাপ্লিকেশন। Google Maps আগে ব্যবহার করে থাকলে এটি ব্যবহার করতে কোন সমস্যাই হবে না। Google Maps ও Google Earth এর সবগুলো Placemarkই আছে এখানে। আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের Detailed ম্যাপা ছিলো না বলে এটা তেমন কাজে আসতো না। কিন্তু এখন Google Maps এর ডেটাবেজ আগের চাইতে অনেক সমৃদ্ধ বিধায় এটির উপকারিতা বেড়েছে। অচেনা স্থানে রাস্তা খুঁজে পেতে জুড়ি নেই এটির। আরো আছে গুগলের Street View ফিচারও! মোবাইলে GPS সুবিধা বিল্ট-ইন থাকলে এটি আপনি কোথায় আছে তাও দেখাবে। এছাড়া My Location নামে একটি সার্ভিস আছে যেটা GPS ছাড়াও আপনার আনুমানিক অবস্থান নির্দেশ করতে পারে, যদিও সেট সব হ্যান্ডসেটে কাজ করে না।





যেসব ফোনে কাজ করে: সকল Java Application সাপোর্টেড ফোন।

ডাউনলোড: মোবাইলের ব্রাউজার থেকে m.google.com/maps

----------------------------------------------------------------------------------



YouTube: এটি আর কিছুই নয় ইউটিউবের তৈরি মোবাইলে YouTube ভিডিও দেখার জন্য একটি সফটওয়্যার। যারা ভাবছেন বাংলাদেশের যে নেট স্পিড, পিসিতেই YouTube এর ভিডিও দেখতে খবর হয়ে যায় আবার মোবাইলে, তাদের কে বলছি - YouTube এর এই এ্যাপ্লিকেশনটি Mobile এর জন্য উপযোগী 3gp ফরম্যাটে ভিডিও দেখায় RTSP Stream এর মাধ্যমে আর তাই ভিডিও লোড হয়ে যায় নিমেষেই। মোবাইলে নেট স্পিড মোটামুটি ভালো থাকলেই ভিডিও চলবে Buffering ছাড়াই কোথাও না আটকে।



যেসব ফোনে কাজ করে: সমগ্র N Series (N70 ও N72 ব্যতীত), অন্যান্য যেকোন Nokia S60 3rd edition ফোন (Feature Pack 1 এবং Feature Pack 2) এবং যেকোন Nokia S60 5th edition ফোন এবং Windows Mobile 5.0 বা তার পরের সংস্করণ।

ডাউনলোড: মোবাইলের ব্রাউজার থেকে m.youtube.com/app লিংকে গিয়ে ইন্সটল করে নিন।

----------------------------------------------------------------------------------
বিঃ দ্রঃ মোবাইলে Google Maps ও YouTube ব্যবহারের ফলে প্রচুর ডেটা ট্রান্সফার হয় বিধায় এটি বেশ খরচসাপেক্ষ আর তাই Unlimited Package এর ব্যবহারকারীর বাদে আর কেউ ব্যবহার করবেন না যেনো (একান্তই যদি ফোন কোম্পানী আপনার শশুর না লাগে!)
----------------------------------------------------------------------------------



Gmail: জিমেইল চেক করা ও নতুন মেইল করার জন্য গুগলের অফিসিয়াল মোবাইল সফটওয়্যার এটি। এটি দিয়ে বেসিক মেইল কার্যক্রম করা সম্ভব।



যেসব ফোনে কাজ করে: সকল Java Application সাপোর্টেড ফোন।

ডাউনলোড: মোবাইলের ব্রাউজার থেকে m.google.com/mail এ গিয়ে ইন্সটল করা যাবে সফটওয়্যারটি।

----------------------------------------------------------------------------------



Cricinfo MobiCast: আমার সবচেয়ে প্রিয় মোবাইল সফটওয়্যার এটি। এটি দিয়ে Cricinfo.com এর লাইভ টেক্সট কমেন্ট্রি দেখা যায়। ৪, ৬ ও উইকেট পড়লে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বড় করে ছবি দেখানো হয়। যারা Cricinfo.com এর লাইভ টেক্সট কমেন্ট্রি সম্পর্কে জানেন তাদের জানার কথা এখানে Ball-by-Ball ধারাভাষ্য দেয়া থাকে। এছাড়াও আছে দু'দলের Detailed স্কোরকার্ড দেখার সুযোগ ও ভবিষ্যৎ ম্যাচের ফিক্সচার। :)



যেসব ফোনে কাজ করে: সকল Java Application সাপোর্টেড ফোন, iPhone।

ডাউনলোড: মোবাইলের ব্রাউজার থেকে |ci.plusmo.com লিংকে গিয়ে ইন্সটল করা যাবে।

----------------------------------------------------------------------------------



SymTorrent: নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটা কি করে! হ্যাঁ, এটি দিয়ে মোবাইলেও Torrent ডাউনলোড করা যায়। তবে সফটওয়্যারটি সব ধরনের হ্যান্ডসেটে কাজ করবে না।



যেসব ফোনে কাজ করে: Nokia Series 60 2nd, 3rd ও 5th Edition।

ডাউনলোড: amorg.aut.bme.hu/projects/symtorrent/download

----------------------------------------------------------------------------------
শেষ কিছু কথা:

যেসব নোকিয়া ফোনে (যেমন N Series, E Series ও অন্যান্য S60 v 2 ও 3) Real Player আছে সেসব প্লেয়ারে চাইলে সরাসরি মোবাইল ব্রাউজার বা অপেরা মিনি দিয়ে m.youtube.com এ গিয়ে YouTube এর ভিডিও দেখতে পারেন, YouTube এর সফটওয়্যারটি আলাদা করে ইন্সটল দেয়ার প্রয়োজন নেই।

মোবাইল থেকে Google এ ঢুকতে চাইলে রিডাইরেক্ট করে মোবাইলের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী একটি পেইজে নিয়ে যায়। পেইজটি অনেকের কাছেই ভালো লাগে না বিশেষতঃ যারা পিসির মতো করে সার্চ করতে চান। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই লিংকটি ব্যবহার করতে পারেন: www.google.com/m/classic

সাম্প্রতিক সময়ে Yahoo! এর মোবাইল সাইটটিতে কিছু চমৎকার পরিবর্তন এসছে যা এক আরো আকর্ষনীয় ও কার্যকরী করে তুলেছে। বিশেষতঃ যোগ করা হয়েছে Yahoo! Mail ও Messenger। এই সার্ভিসটি ব্যবহার করতে আপনার ফোনের ব্রাউজার বা অপেরা মিনি ব্যবহার করে চলে যেতে পারেন m.yahoo.com এ্যাড্রেসে।

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Buy Coupons