মাইক্রোসফট ওয়ার্ড লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ৩ মার্চ, ২০১০

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড - সমস্যা ও সমাধান

সমস্যা: যদি দেখা যায় যে কোনো টেক্সট বক্স, অটোসেপ প্রিন্ট হচ্ছে না।

সমাধান: এজন্য আপনাকে এমএস ওয়ার্ডের Tools-Option-View Tab-এ গিয়ে Drawing Object-এ টিক চিহ্ন না থাকলে টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে।

সমস্যা: যদি দেখা যায় অফিস প্রোগ্রামে কাজ করার সময় মেসেজ আসে Sorry for your inconvenience this program will be closed

সমাধান: এ অবস্থায় প্রথমে আপাততঃ কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য কম্পিউটারটি একবার রিস্টর্ট করে দেখুন। এরপর যদি সম্ভব হয় কম্পিউটারটি একবার উইন্ডোজ ইনস্টল করে ভাইরাসমুক্ত করে ফেলুন।

সমস্যা: যদি দেখা যায় কম্পিউটার অন হওয়ার পর কালার ঠিকমত নেই অর্থাৎ সঠিকভাবে কালার দেখা যাচ্ছে না।

সমাধান: এই অবস্থায় ডেস্কটপে মাউসের ডান বাটন চেপে প্রপার্টিজ অপশনে গিয়ে Settings Tab-এ গিয়ে Color Quality বক্স হতে Medium/High নির্বাচন করে- Screen Resolution হতে সাইজ নির্বাচন করে Ok করে বের হয়ে আসুন।

সমস্যা: যদি দেখা যায় বাংলা লেখার সময় ‘র’ লিখতে ‘ও’ হয়ে যায় অথবা কোনো বর্ণ লিখতে গেলে অনেকগুলো অপ্রত্যাশিত বর্ণ এসে যায়।

সমাধান: এ অবস্থা যদি হয় তাহলে Tools Menu গিয়ে Auto Correct-এ গিয়ে Replace Text As You Type টিক চিহ্ন দেওয়া থাকলে তুলে দিয়ে ঙশ করে বের হয়ে আসুন।

সমস্যা: অনেক সময় মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে Page Border দিতে গিয়ে Border নির্বাচন করতে গিয়ে আপনার যে ভার্সনের Office ইনস্টল করা আছে তার Backup খুজে না পেলে বর্ডার দেখায় না।

সমাধান: যখন অফিসের সিডি খুঁজবে তখন আপনি আপনার সিডি/ডিভিডি রমে অফিসের সফটওয়্যারটি প্রবেশ করান অথবা Browse করে Backup দেখিয়ে Ok করুন।

সমস্যা: যদি কখনো দেখা যায় মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কাজ করার সময় হঠাৎ বাংলা টাইপ করার সময় “ক্স” এবং ইংরেজি করার সময় “” চিহ্ন চলে আসে যা কাজের ব্যাঘাত ঘটায়।

সমাধান: এই সমস্যাটি হলে আপনাকে যা করতে হবে তা হল Standard Toolbar-এ চিহ্নটি দেখা যাবে। তাতে একটি ক্লিক করলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড - টেবল, গ্রামার


আমরা কম্পিউটারে এমএস ওয়ার্ডের যে সফটওয়্যার ব্যবহার করি তা আমেরিকার ব্যাকরণ অনুযায়ী। এজন্য এমএস ওয়ার্ডে অনেক সময় দেখা যায় শব্দের বা লাইনের নিচে লাল ও সবুজ দাগ। এই দাগগুলোর বিশেষ অর্থ রয়েছে। যেমনঃ লাল দাগ থাকলে বুঝতে হবে শব্দটি ভুল এবং সবুজ দাগ থাকলে বুঝতে হবে তা ব্যাকরণ জনিত ভুল (আমেরিকার পদ্ধতি)

তবে আমরা ইংরেজি ব্যাকরণে ব্রিটিশ পদ্ধতি ব্যবহার করি। এখন যে শব্দ বা লাইনের নিচে লাল বা সবুজ দাগ আছে সে দাগের উপর গিয়ে মাউসের ডান পাশের বাটনটিতে ক্লিক করলে একটি চার্ট আসবে। উক্ত চার্টের Spelling and Grammar English -us-এ ক্লিক করুন অথবা অন্যভাবে করতে হলে Tools মেনুর সাবমেনু Spelling and Grammar এ ক্লিক করুন বা F7প্রেস করুন। তাহলে Spelling and Grammar English (us-) নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে Not in dictionary বক্সে যে শব্দটি বা লাইনটি ভুল তা লাল বা সবুজ হয়ে থাকবে এবং নিচের Suggestion বক্সে শুদ্ধ শব্দটি বা লাইনটি দেয়া থাকবে। এবার পরিবর্তন করতে চাইলে Change এ ক্লিক করুন (একটি শব্দ বা এক লাইনের ক্ষেত্রে) অথবা Change all এ ক্লিক করুন (ডকুমেন্টের সব শব্দ বা লাইনের ক্ষেত্রে)। যদি পরিবর্তন করতে না চান তবেIgnore all এ ক্লিক করুন। সবকিছু করার পর close বাটনে ক্লিক করুন।


কম্পিউটারের সাথে টাইপ মেশিন বা হাতে লেখার পার্থক্য এখানেই। কম্পিউটারে একই রকম কোন লেখা বার বার লিখতে হলে সেই লেখাটি Copyকরে Past করা হয় কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন লেখা বিভিন্ন স্থানে বার বার লেখার ক্ষেত্রে Copy করে Pastকরা ঝামেলার ব্যাপার। তবে Macro দ্বারা এ ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়া যায় অর্থাৎ বার বার Copy করে Pastকরার চেয়ে গধপৎড় তৈরি করে তা ব্যবহার করলেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয়। Macro তৈরি করতে হলে প্রথমে Toolsমেনুর সাবমেনু Macro এর Record New Macro ক্লিক করার সাথে সাথে Record Macroনামে ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Macro Name বক্সে নাম লিখতে হবে। এরপর Assing macro to বক্সে ক্লিক করার Coustomize Keyboard নামে আরেকটি ডায়ালগ বক্স আসবে। উক্ত ডায়ালগ বক্সের Press new shortcut key বক্সেShortcut key (Ctrl+Iবা অন্য কোন কী) টাইপ করে ok ক্লিক করুন। এখন খালি পৃষ্ঠায় বা কারসর যেখানে আছে সেখান থেকে লেখা শুরু করতে হবে। লেখা শেষ হলে Toolsমেনুর সাবমেনু Macro এর Stop Recording এ ক্লিক করলেMacro তৈরির কাজ সমাপ্ত হবে।

আর তৈরিকৃত Macro ব্যবহার করতে চাইলে যথাস্থানে সেইShortcut key (Ctrl+I বা অন্য কোন কী) চাপুন অথবা Toolsমেনুর সাবমেনু এর Macro এ বা Alt+ F8 ক্লিক করার সাথে সাথে Macro এর ডায়ালগ বক্স আসবে। উক্ত ডায়ালগ বক্সের Record macro টি যুক্ত হবে।


নতুন করে ছক তৈরি করার জন্য বা তৈরিকৃত ছকের আশেপাশে আরো ছক যুক্ত করার জন্যTable মেনুর সাবমেনু Insert এ গিয়ে Table এ ক্লিক করুন। তাহলে Insert Table নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Table size থেকে Number of column এ মোট কতটি কলাম এবং Number of rows এ মোট কতটি রো হবে তা লিখে দিতে হবে। এবার Auto Fit behaviroথেকে নিচের তিনটির মধ্যে যেকোন একটিতে ক্লিক করুন অথবা autoলেখা স্থানে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় সংখ্যা লিখে দিন। এখন Auto Format এ ক্লিক করে পছন্দের ছকটি বেছে নিতে পারেন। এবার okতে ক্লিক করুন।

আবার আসা Table যাক মেনুতে। এই মেনুর সাবমেনু Insert এ গিয়ে Columns to the left (বামে কলাম যুক্ত করার জন্য),Columns to the Right (ডামে কলাম যুক্ত করার জন্য), Rows above (উপরে রো যুক্ত করার জন্য), Rows Below (নিচে রো যুক্ত করার জন্য) এ ক্লিক করুন।


এখানে কোন কিছু মুছার ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। ছকের ভেতরের কোন কিছু বা সম্পূর্ণ ছক সিলেক্ট করে Delete কী প্রেস করলে শুধুমাত্র লেখা মুছে যাবে কিন্তু ছক মুছবে না। ছকের কোন কলাম, রো ইত্যাদি মুছতে হলে যেতে হবে Table মেনুর সাবমেনু Delete এ। এবার আরেকটি মেনু আসবে। এখান থেকেTable Columns Rows Cells ইত্যাদির যেকোন একটি মুছতে চাইলে তাতে ক্লিক করা মাত্রই তা মুছে যাবে।


ছক সিলেক্ট করাও একটু অন্যরকম। ছকের বামে একেবারে উপরের দিকে ছোট বক্সের মধ্যে একটি যোগ চিহ্ন থাকে। এই চিহ্নতে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ ছক সিলেক্ট হবে। আর যদি আলাদা আলাদাভাবে সিলেক্ট করতে চান তবে তা মাউস দ্বারা বা Table মেনুর সাবমেনু Seclet এ গিয়ে Table Columns Rows ইত্যাদির যেকোন একটিতে ক্লিক করুন। তাহলেই তা সিলেক্ট হবে।


merge cells


ছকের মধ্যে অনেকগুলো Columns এবং Rows থাকে। অনেক সময় কাজের জন্য ছকের দুই বা দুইয়ের অধিক Columnsএবং Rows কে একটিতে পরিণত করতে হয়। তখন যতটি Columns এবং Rows কে একটিতে পরিণত করতে চান তা সিলেক্ট করতে হবে। সিলেক্ট করার পর Table মেনুর সাবমেনু Merge cells এ ক্লিক করলে ছকের মধ্যে যে দাগগুলো ছিল তা মুছে যাবে এবং তা একটি বক্সে পরিণত হবে।


Split cells


আবার অনেকসময় একটি Columnsবা Rows কে অনেকগুলো Columns বা Rows তে পরিণত করতে হলে প্রথমে সেই Columns বা Rows টি সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করে Table মেনুর সাবমেনু Split cells এ ক্লিক করলে Split cells নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Number of column এ কতটি কলাম এবং Number of rows এ কতটি রো হবে তা লিখে দিয়েok তে ক্লিক করুন।


Split Table

অনেক সময় আবার কোন একটি ছককে দুইভাগে ভাগ করতে হয়। তখন ছকের যেই স্থানে ভাগ করবেন সেই স্থানে কারসর রেখে Table মেনুতে গিয়ে Split Table এ ক্লিক করলে ছকটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।


Table Auto format


ছককে অনেকভাবে সুন্দর করে সাজানোর জন্য রয়েছে Tableমেনুর সাবমেনু Table Auto format . এতে ক্লিক করলে Table Auto format নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Category থেকে যেকোন একটিতে ক্লিক করার পর Table stylesএ অনেকগুলো ছকের নামসহ Preview তে নমুনা প্রদর্শিত হবে। এবার এখান থেকে যেকোন একটি ছক বেছে নিয়ে Apply spceial Formats to থেকে সবগুলো বা আলাদা আলাদাভাবে কয়েকটিতে ক্লিক করতে পারেন। এবার okতে ক্লিক করুন।

যদি নিজে নতুন কোন ছক তৈরি করতে চান তবে New ক্লিক করুন। এবার আরো সুন্দর করে নিজে তৈরি করুন নিজের পছন্দমত সবচেয়ে সুন্দর ছকটি। আর যদি কোন ছক পছন্দ না হয় তবে সেই নামটি সিলেক্ট করে Delete ক্লিক করুন। আর Modifyএ ক্লিক করে তৈরিকৃত ছকও পরিবর্তন করতে পারবেন।

সবকিছু করার পর Applyএ ক্লিক করলে Insert Table নামে আগের সেই ডায়ালগ বক্সটি আসবে। পূর্বের মতই সবকিছুতে ক্লিক করার পর okতে ক্লিক করুন।


Convert

(Text to table & table to tex)


পৃষ্ঠায় কিছু লেখার পর সেই লেখার চারদিকে যদি দাগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকে অর্থাৎ ছকের ভেতর যদি লেখাগুলো স্থাপন করতে হয় তবে table মেনুর সাবমেনু Convert এ গিয়ে Text to table এ ক্লিক করুন। তাহলে Convert Text to table নামে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্সের Number of Column থেকে কয়টি Column হবে তা লিখে দিন এবং Number of Rows থেকে কয়টি Rowsহবে তা লিখে অন্যান্য সব কিছু করেok তে ক্লিক করুন। আর সঙ্গে সঙ্গে লেখাটিও ছকের মধ্যে ঢুকে যাবে।

আবার লেখাকে যদি ছকমুক্ত করতে চান তবে সেই ছকগুলো সিলেক্ট করুন। এরপর table মেনুর সাবমেনু Convert এ গিয়ে table to tex এ ক্লিক করুন। তাহলে Convert table to tex নামে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্সের Separate text with থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন একটিতে ক্লিক করে okতে ক্লিক করুন। তবেই লেখাটি ছকমুক্ত হবে।


Sort


ছকের মধ্যে অনেকসময় তথ্যগুলো অগোছালো থাকে। এসব তথ্য অক্ষর, নম্বর বা তারিখ অনুযায়ী সাজিয়ে রাখতে হয়ে প্রথমে তথ্যগুলো সিলেক্ট করে Table মেনুর সাবমেনুSort এ ক্লিক করলে নামে একটি কমান্ড বক্স আসবে।

উক্ত কমান্ড বক্সের Type থেকে অক্ষর, নম্বর বা তারিখ যা হবে তাতে ক্লিক করে ok তে ক্লিক করুন। তাহলেই সবকিছু ক্রমান্বয়ে সজ্জিত হয়ে যাবে।


Formula


ছকের ভেতর অনেক হিসাব-নিকাশ করা যায়। সব সংখ্যা লেখার পর ছকের শেষ ঘরে কারসর রাখুন। এবার Type মেনুর সাবমেনু Formula ক্লিক করুন। তাহলে Formula নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Formula বক্সে লিখে দিন যা করতে হবে অথবা Past Function থেকে বেছে নিন এবং Number Format থেকে যেকোন একটি স্টাইল বেছে নিন। এবার okতে ক্লিক করুন।



Arrange all


এমএস ওয়ার্ডে অনেক সময় একই সাথে অনেকগুলো Fileখোলা রাখতে হয় কিন্তু সবগুলো ঋরষব একই সাথে দেখা সম্ভব নয়। কারণ মনিটরের পর্দা বেশি বড় নয়। তবে শুধু দু’টি File একই সাথে মনিটরের পর্দায় এনে কাজ করলে কাজের এবং দেখার উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা হয়। এবার কাজ করবেন এমন দু’টি File open করুন। এখন Windows মেনুর সাবমেনু Arrange All ক্লিক করলে দেখা যাবে মনিটরের পর্দা সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এবার File দু’টির যেকোন একটি Document মাউস দিয়ে ক্লিক করে কাজ করতে পারেন।


Split


অনেক সময়Document এর উপরের অংশ দেখে নিচের অংশে কাজ করতে হয় বা নিচের অংশ দেখে উপরের অংশে কাজ করতে হয়। সেজন্য Scroll bar ব্যবহার করে একবার উপরে এবং একবার নিচে এভাবে বার বার উঠানামা করতে হয়। যদি উঠানামা না করে উপরের বা নিচের অংশ Windows অর্ধেক অর্ধেক করে দেখতে চান তাহলে Windows মেনুর সাবমেনু Split এ ক্লিক করুন। সাথে সাথে পৃষ্ঠার উপর একটি লম্বা দাগ আসবে।

এবার মাউস দিয়ে যে স্থানে ভাগ করতে চান সেখানে বা পৃষ্ঠার মাঝামাঝি স্থানে ক্লিক করুন। তাহলেই পৃষ্ঠাটি দুই ভাগ হয়ে যাবে এবং সুবিধামত কাজ করা যাবে। আবার যদি কাজ শেষ হয়ে যায় তবে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য Windowsমেনুর সাবমেনু Remove split এ ক্লিক করুন। এখন দেখা যাবে যে দাগটি পৃষ্ঠাকে দুই ভাগ করেছিল সে দাগটি অদৃশ্য হয়ে গেছে।

এম এস ওয়ার্ড টিপস

আমরা কম্পিউটারে এমএস ওয়ার্ডের যে সফটওয়্যার ব্যবহার করি তা আমেরিকার ব্যাকরণ অনুযায়ী। এজন্য এমএস ওয়ার্ডে অনেক সময় দেখা যায় শব্দের বা লাইনের নিচে লাল ও সবুজ দাগ। এই দাগগুলোর বিশেষ অর্থ রয়েছে। যেমনঃ লাল দাগ থাকলে বুঝতে হবে শব্দটি ভুল এবং সবুজ দাগ থাকলে বুঝতে হবে তা ব্যাকরণ জনিত ভুল (আমেরিকার পদ্ধতি)
তবে আমরা ইংরেজি ব্যাকরণে ব্রিটিশ পদ্ধতি ব্যবহার করি। এখন যে শব্দ বা লাইনের নিচে লাল বা সবুজ দাগ আছে সে দাগের উপর গিয়ে মাউসের ডান পাশের বাটনটিতে ক্লিক করলে একটি চার্ট আসবে। উক্ত চার্টের Spelling and Grammar English -us-এ ক্লিক করুন অথবা অন্যভাবে করতে হলে Tools মেনুর সাবমেনু Spelling and Grammar এ ক্লিক করুন বা F7প্রেস করুন। তাহলে Spelling and Grammar English (us-) নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে Not in dictionary বক্সে যে শব্দটি বা লাইনটি ভুল তা লাল বা সবুজ হয়ে থাকবে এবং নিচের Suggestion বক্সে শুদ্ধ শব্দটি বা লাইনটি দেয়া থাকবে। এবার পরিবর্তন করতে চাইলে Change এ ক্লিক করুন (একটি শব্দ বা এক লাইনের ক্ষেত্রে) অথবা Change all এ ক্লিক করুন (ডকুমেন্টের সব শব্দ বা লাইনের ক্ষেত্রে)। যদি পরিবর্তন করতে না চান তবেIgnore all এ ক্লিক করুন। সবকিছু করার পর close বাটনে ক্লিক করুন।

কম্পিউটারের সাথে টাইপ মেশিন বা হাতে লেখার পার্থক্য এখানেই। কম্পিউটারে একই রকম কোন লেখা বার বার লিখতে হলে সেই লেখাটি Copyকরে Past করা হয় কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন লেখা বিভিন্ন স্থানে বার বার লেখার ক্ষেত্রে Copy করে Pastকরা ঝামেলার ব্যাপার। তবে Macro দ্বারা এ ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়া যায় অর্থাৎ বার বার Copy করে Pastকরার চেয়ে গধপৎড় তৈরি করে তা ব্যবহার করলেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা হয়। Macro তৈরি করতে হলে প্রথমে Toolsমেনুর সাবমেনু Macro এর Record New Macro ক্লিক করার সাথে সাথে Record Macroনামে ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Macro Name বক্সে নাম লিখতে হবে। এরপর Assing macro to বক্সে ক্লিক করার Coustomize Keyboard নামে আরেকটি ডায়ালগ বক্স আসবে। উক্ত ডায়ালগ বক্সের Press new shortcut key বক্সেShortcut key (Ctrl+Iবা অন্য কোন কী) টাইপ করে ok ক্লিক করুন। এখন খালি পৃষ্ঠায় বা কারসর যেখানে আছে সেখান থেকে লেখা শুরু করতে হবে। লেখা শেষ হলে Toolsমেনুর সাবমেনু Macro এর Stop Recording এ ক্লিক করলেMacro তৈরির কাজ সমাপ্ত হবে।
আর তৈরিকৃত Macro ব্যবহার করতে চাইলে যথাস্থানে সেইShortcut key (Ctrl+I বা অন্য কোন কী) চাপুন অথবা Toolsমেনুর সাবমেনু এর Macro এ বা Alt+ F8 ক্লিক করার সাথে সাথে Macro এর ডায়ালগ বক্স আসবে। উক্ত ডায়ালগ বক্সের Record macro টি যুক্ত হবে।

নতুন করে ছক তৈরি করার জন্য বা তৈরিকৃত ছকের আশেপাশে আরো ছক যুক্ত করার জন্যTable মেনুর সাবমেনু Insert এ গিয়ে Table এ ক্লিক করুন। তাহলে Insert Table নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Table size থেকে Number of column এ মোট কতটি কলাম এবং Number of rows এ মোট কতটি রো হবে তা লিখে দিতে হবে। এবার Auto Fit behaviroথেকে নিচের তিনটির মধ্যে যেকোন একটিতে ক্লিক করুন অথবা autoলেখা স্থানে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় সংখ্যা লিখে দিন। এখন Auto Format এ ক্লিক করে পছন্দের ছকটি বেছে নিতে পারেন। এবার okতে ক্লিক করুন।
আবার আসা Table যাক মেনুতে। এই মেনুর সাবমেনু Insert এ গিয়ে Columns to the left (বামে কলাম যুক্ত করার জন্য),Columns to the Right (ডামে কলাম যুক্ত করার জন্য), Rows above (উপরে রো যুক্ত করার জন্য), Rows Below (নিচে রো যুক্ত করার জন্য) এ ক্লিক করুন।

এখানে কোন কিছু মুছার ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। ছকের ভেতরের কোন কিছু বা সম্পূর্ণ ছক সিলেক্ট করে Delete কী প্রেস করলে শুধুমাত্র লেখা মুছে যাবে কিন্তু ছক মুছবে না। ছকের কোন কলাম, রো ইত্যাদি মুছতে হলে যেতে হবে Table মেনুর সাবমেনু Delete এ। এবার আরেকটি মেনু আসবে। এখান থেকেTable Columns Rows Cells ইত্যাদির যেকোন একটি মুছতে চাইলে তাতে ক্লিক করা মাত্রই তা মুছে যাবে।

ছক সিলেক্ট করাও একটু অন্যরকম। ছকের বামে একেবারে উপরের দিকে ছোট বক্সের মধ্যে একটি যোগ চিহ্ন থাকে। এই চিহ্নতে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ ছক সিলেক্ট হবে। আর যদি আলাদা আলাদাভাবে সিলেক্ট করতে চান তবে তা মাউস দ্বারা বা Table মেনুর সাবমেনু Seclet এ গিয়ে Table Columns Rows ইত্যাদির যেকোন একটিতে ক্লিক করুন। তাহলেই তা সিলেক্ট হবে।

merge cells

ছকের মধ্যে অনেকগুলো Columns এবং Rows থাকে। অনেক সময় কাজের জন্য ছকের দুই বা দুইয়ের অধিক Columnsএবং Rows কে একটিতে পরিণত করতে হয়। তখন যতটি Columns এবং Rows কে একটিতে পরিণত করতে চান তা সিলেক্ট করতে হবে। সিলেক্ট করার পর Table মেনুর সাবমেনু Merge cells এ ক্লিক করলে ছকের মধ্যে যে দাগগুলো ছিল তা মুছে যাবে এবং তা একটি বক্সে পরিণত হবে।

Split cells

আবার অনেকসময় একটি Columnsবা Rows কে অনেকগুলো Columns বা Rows তে পরিণত করতে হলে প্রথমে সেই Columns বা Rows টি সিলেক্ট করুন। সিলেক্ট করে Table মেনুর সাবমেনু Split cells এ ক্লিক করলে Split cells নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Number of column এ কতটি কলাম এবং Number of rows এ কতটি রো হবে তা লিখে দিয়েok তে ক্লিক করুন।

Split Table
অনেক সময় আবার কোন একটি ছককে দুইভাগে ভাগ করতে হয়। তখন ছকের যেই স্থানে ভাগ করবেন সেই স্থানে কারসর রেখে Table মেনুতে গিয়ে Split Table এ ক্লিক করলে ছকটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।

Table Auto format

ছককে অনেকভাবে সুন্দর করে সাজানোর জন্য রয়েছে Tableমেনুর সাবমেনু Table Auto format . এতে ক্লিক করলে Table Auto format নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Category থেকে যেকোন একটিতে ক্লিক করার পর Table stylesএ অনেকগুলো ছকের নামসহ Preview তে নমুনা প্রদর্শিত হবে। এবার এখান থেকে যেকোন একটি ছক বেছে নিয়ে Apply spceial Formats to থেকে সবগুলো বা আলাদা আলাদাভাবে কয়েকটিতে ক্লিক করতে পারেন। এবার okতে ক্লিক করুন।
যদি নিজে নতুন কোন ছক তৈরি করতে চান তবে New ক্লিক করুন। এবার আরো সুন্দর করে নিজে তৈরি করুন নিজের পছন্দমত সবচেয়ে সুন্দর ছকটি। আর যদি কোন ছক পছন্দ না হয় তবে সেই নামটি সিলেক্ট করে Delete ক্লিক করুন। আর Modifyএ ক্লিক করে তৈরিকৃত ছকও পরিবর্তন করতে পারবেন।
সবকিছু করার পর Applyএ ক্লিক করলে Insert Table নামে আগের সেই ডায়ালগ বক্সটি আসবে। পূর্বের মতই সবকিছুতে ক্লিক করার পর okতে ক্লিক করুন।

Convert
(Text to table & table to tex)

পৃষ্ঠায় কিছু লেখার পর সেই লেখার চারদিকে যদি দাগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকে অর্থাৎ ছকের ভেতর যদি লেখাগুলো স্থাপন করতে হয় তবে table মেনুর সাবমেনু Convert এ গিয়ে Text to table এ ক্লিক করুন। তাহলে Convert Text to table নামে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্সের Number of Column থেকে কয়টি Column হবে তা লিখে দিন এবং Number of Rows থেকে কয়টি Rowsহবে তা লিখে অন্যান্য সব কিছু করেok তে ক্লিক করুন। আর সঙ্গে সঙ্গে লেখাটিও ছকের মধ্যে ঢুকে যাবে।
আবার লেখাকে যদি ছকমুক্ত করতে চান তবে সেই ছকগুলো সিলেক্ট করুন। এরপর table মেনুর সাবমেনু Convert এ গিয়ে table to tex এ ক্লিক করুন। তাহলে Convert table to tex নামে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্সের Separate text with থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন একটিতে ক্লিক করে okতে ক্লিক করুন। তবেই লেখাটি ছকমুক্ত হবে।

Sort

ছকের মধ্যে অনেকসময় তথ্যগুলো অগোছালো থাকে। এসব তথ্য অক্ষর, নম্বর বা তারিখ অনুযায়ী সাজিয়ে রাখতে হয়ে প্রথমে তথ্যগুলো সিলেক্ট করে Table মেনুর সাবমেনুSort এ ক্লিক করলে নামে একটি কমান্ড বক্স আসবে।
উক্ত কমান্ড বক্সের Type থেকে অক্ষর, নম্বর বা তারিখ যা হবে তাতে ক্লিক করে ok তে ক্লিক করুন। তাহলেই সবকিছু ক্রমান্বয়ে সজ্জিত হয়ে যাবে।

Formula

ছকের ভেতর অনেক হিসাব-নিকাশ করা যায়। সব সংখ্যা লেখার পর ছকের শেষ ঘরে কারসর রাখুন। এবার Type মেনুর সাবমেনু Formula ক্লিক করুন। তাহলে Formula নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Formula বক্সে লিখে দিন যা করতে হবে অথবা Past Function থেকে বেছে নিন এবং Number Format থেকে যেকোন একটি স্টাইল বেছে নিন। এবার okতে ক্লিক করুন।


Arrange all

এমএস ওয়ার্ডে অনেক সময় একই সাথে অনেকগুলো Fileখোলা রাখতে হয় কিন্তু সবগুলো ঋরষব একই সাথে দেখা সম্ভব নয়। কারণ মনিটরের পর্দা বেশি বড় নয়। তবে শুধু দু’টি File একই সাথে মনিটরের পর্দায় এনে কাজ করলে কাজের এবং দেখার উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা হয়। এবার কাজ করবেন এমন দু’টি File open করুন। এখন Windows মেনুর সাবমেনু Arrange All ক্লিক করলে দেখা যাবে মনিটরের পর্দা সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এবার File দু’টির যেকোন একটি Document মাউস দিয়ে ক্লিক করে কাজ করতে পারেন।

Split

অনেক সময়Document এর উপরের অংশ দেখে নিচের অংশে কাজ করতে হয় বা নিচের অংশ দেখে উপরের অংশে কাজ করতে হয়। সেজন্য Scroll bar ব্যবহার করে একবার উপরে এবং একবার নিচে এভাবে বার বার উঠানামা করতে হয়। যদি উঠানামা না করে উপরের বা নিচের অংশ Windows অর্ধেক অর্ধেক করে দেখতে চান তাহলে Windows মেনুর সাবমেনু Split এ ক্লিক করুন। সাথে সাথে পৃষ্ঠার উপর একটি লম্বা দাগ আসবে।
এবার মাউস দিয়ে যে স্থানে ভাগ করতে চান সেখানে বা পৃষ্ঠার মাঝামাঝি স্থানে ক্লিক করুন। তাহলেই পৃষ্ঠাটি দুই ভাগ হয়ে যাবে এবং সুবিধামত কাজ করা যাবে। আবার যদি কাজ শেষ হয়ে যায় তবে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য Windowsমেনুর সাবমেনু Remove split এ ক্লিক করুন। এখন দেখা যাবে যে দাগটি পৃষ্ঠাকে দুই ভাগ করেছিল সে দাগটি অদৃশ্য হয়ে গেছে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড - পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য

সঞ্জয় বড়ুয়া

এমএস ওয়ার্ডে যেকোনোFile
-এর গোপনীয়তা ও অপব্যবহার থেকে রক্ষা করার জন্য password দেওয়া যায়। এজন্য প্রথমে একটি নতুনFile তৈরি করুন অথবা সংরক্ষিত আছে এরকম file opne করুন। এরপরFile মেনুর সাবমেনু Save (নতুনFile তৈরির ক্ষেত্রে) অথবাsavas (সংরক্ষিত আছে এরকমFile এর ক্ষেত্রে)-এ ক্লিক করুন। এখনsave অথবাSave As অং ডালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সে (MS Word 97-এর ক্ষেত্রে options অথবা MS Word 98 /2000 -এর ক্ষেত্রেTools মেনুর সাবমেনু General options /security options ) ক্লিক করলে আরেকটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের password to opne বক্সে password টাইপ করেok ক্লিক করুন। এবার confirm password বক্স আসবে। এই ডায়ালগ Recenter password to opne বক্সে আবার সেই password টাইপ করেok ক্লিক করুন। এখন File টি বন্ধ করে আবার খুলতে গেলে খোলার আগে passwprd ডায়ালগ বক্স আসবে। এতে password টাইপ করেok ক্লিক করলে File টি খুলবে। এবার File টি খোলা অবস্থায় File মেনুর সাবমেনু ঝSave As এ ক্লিক করুন। আবার Save as ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের MS word 97র ক্ষেত্রে (options ) অথবা MS Word 98 /2000 এর ক্ষেত্রে (tools মেনুর সাবমেনু এGeneral option /securty options )তে ক্লিক করলে আগের মত সেই ডায়ালগ বক্সটি আসবে। উক্ত ডায়ালগ বক্সের ঢ়Password to opne বক্সের password মুছে ঙক ক্লিক করুন। এখন File টি বন্ধ করে আবার খুললে সেটিpassword ছাড়াই খুলবে অর্থাৎ password ডায়ালগ বক্সটি আর আসবে না।


এক বা একাধিক পৃষ্ঠার মধ্যে কোন শব্দ খুঁজে বের করা বাস্তবে কঠিন মনে হলেও কম্পিউটারে তা সহজে দ্রুতভাবে করা যায়।

এজন্য Edit মেনুর সাবমেনু Find-এ ক্লিক করুন বা কীবোর্ড শর্টকাট Ctrl + F প্রেস করুন। সাথে সাথে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্সের Find What বক্সে যে শব্দটি খুঁজবেন তা টাইপ করে Find Next -এ ক্লিক করলেই মূহুর্তের মধ্যে শব্দটি চলে আসবে। আবার Fine Next -এ ক্লিক করলে পরবর্তী শব্দ দেখাবে।

আর যদি কোনো পৃষ্ঠায় কোনো একটি শব্দ অনেকগুলো লুকিয়ে আছে কিন্তু সেই শব্দগুলো ভুল এবং শব্দগুলোর স্থানে অন্য শব্দ বসাতে হবে। তাহলে কাজটি মোটেই কঠিন নয়। প্রথমে Eidt মেনুর সাবমেনু Replace -এ ক্লিক করুন বা কীবোর্ড শর্টকাটCtrl + H প্রেস করুন। তাহলে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্সের Find what বক্সে যে শব্দটি ভুল ছিল সেটি টাইপ করে Replace With বক্সে সঠিক শব্দটি টাইপ করে Replace-এ ক্লিক করার সাথে সাথে শব্দটি পরিবর্তন হয়ে যাবে। আর Replace Allএ ক্লিক করলে সব পৃষ্ঠার সবগুলো শব্দই পরিবর্তন হয়ে যাবে।

আরেকটি সুবিধা হচ্ছে খুব দ্রুত যেকোনো স্থানে বা অংশে সহজে যাওয়া যায়। তবে এজন্যEidt মেনুর সাবমেনু Go to এ ক্লিক করুন বা কীবোর্ড শর্টকাট ctrl + G প্রেস করুন। তাহলে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্সের Go to what বক্সে যেকোনো একটিতে ক্লিক করে ডানের সাদা বক্সে (যেকোনো নম্বর বা যা select করেছেন তার প্রয়োজনীয় তথ্য) টাইপ করেGo to বাটনে ক্লিক করলে সেই স্থানে যাবে।


এমএস ওয়ার্ডে কাজ করার সময় বিভিন্ন সুবিধার জন্য ডকুমেন্টকে চারভাবে দেখা যায়। এজন্য view মেনুর সাবমেনুNormal ,web layout print layout এর যেকোনো একটিতে ক্লিক করলে সেইরকম দেখাবে। অবশ্য মাপার এবং বোঝার সুবিধার জন্য সবসময় print layout -এ কাজ করা হয়।


কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর মধ্যেToolbar অন্যতম। কাজ করার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর মধ্যে যা কাছে রাখতে হয় তার মধ্যে Toolbarহচ্ছে প্রধান। এজন্যView মেনুর সাবমেনুToolbar -এ গিয়ে যা প্রয়োজনীয় তাতে ক্লিক করলে উক্তToolbar টি যথাস্থানে প্রদর্শিত হবে। আবার কোন Toolbar না লাগলে অর্থাৎ যদি প্রয়োজন না হয় তবে আবারEdit মেনুর সাবমেনু Toolbar-এ গিয়ে উক্ত ঞড়ড়ষনধৎএ ক্লিক করলে তা অদৃশ্য হয়ে যাবে।


সঠিক আকারের জন্য এবং লেখার আয়তন পরিমাপ করার জন্য Ruler ব্যবহৃত হয়।Documentএর কত ইঞ্চি বা কত সেন্টিমিটার পরপর লেখা হবে বা কতটুকু লেখা হবে তা Ruler দ্বারা নির্ধারণ করা যায়। Rulerআনার জন্য Viewমেনুর সাবমেনু Ruler ক্লিক করতে হবে এবং যদি প্রয়োজন না হয় তবে আবার Edit মেনুতে গিয়েRuler -এ ক্লিক করলে তা অদৃশ্য হয়ে যাবে।


অনেক সময় দেখা যায় একই লাইন বা একই লেখা প্রতি পৃষ্ঠায় থাকে। তবে এজন্য লেখাটি বার বার লিখতে হয় না। শুধু একবার লিখলেই হয়। এই লেখা যদি পৃষ্ঠার উপরে লিখা হয় তবে একেHeader বলে আর যদি পৃষ্ঠার নিচে লিখা হয় তবে একে Footerবলে। আর এই কাজটি করতে হলে View মেনুতে গিয়ে Header & Foote-এ ক্লিক করলে উপরের ছবির মত একটি টুলবার ও নির্দিষ্ট অঙ্কিত অংশ আসবে। এখন লিখতে চাইলে লিখতে পারেন। যদি সময়, পৃষ্ঠা নম্বর, তারিখ বা অন্যকিছু বসাতে চান তবে ওহংবৎ অঁড় ঞবীঃ ক্লিক করলে যে মেনু আসবে তা থেকে যেকোন একটিতে ক্লিক করতে পারেন অথবা পাশের আইকনগুলোতে ক্লিক করলে আলাদা আলাদা ভাবে এক একটি আসবে।


বিশাল কোনো Document -এ কাজ করার সময় সাধারণত কত পৃষ্ঠায় কাজ করছেন তা মনে থাকে না বা Document টি মোট কত পৃষ্ঠার তা জানা থাকে না। এজন্য পৃষ্ঠা নম্বর লিখলে এই সমস্যাগুলো হয় না। পৃষ্ঠা নম্বর লেখার জন্য Insert মেনুর সাবমেনু Page numbers ক্লিক করলে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।

উক্ত ডায়ালগ বক্সেরPosition থেকে (Header /Footer) যেকোনো একটি বেছে নিয়ে Alignment থেকে (Left /Centeer /Right /Inside /Outside ) যেকোনো একটিতে ক্লিক করে Preview দেখে ok ক্লিক করুন অথবা অন্য রকম স্টাইলে পৃষ্ঠা নম্বর লিখতে চাইলেFormat ক্লিক করে বেছে নিতে পারেন পছন্দের যেকোনো স্টাইল।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড - ফরমেট মেন্যু

সঞ্জয় বড়ুয়া sonjoybabu@yahoo.com

Document কে সুন্দর করতে চাইলে যে কোন ধরনের ছবি বা লেখার বিভিন্ন আকার আকৃতি পরিবর্তনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়। আর এজন্য প্রথমে Inser মেনুর সাবমেনু Pictureএ যাওয়া মাত্র আরেকটি চার্ট আসবে যাতে রয়েছে Clip Art, From File, From Scanner or Camera, Organization Chart, New Drawing, AutoShapes, WordArt..., Chart ইত্যাদি।

এখন আসা যাক Clip Artএ। এতে ক্লিক করলে কতগুলো ছবি আসবে যেগুলো আঁকা বা বিভিন্ন বিষয়ের ছবি। এবার পছন্দের যে কোন ছবিতে ক্লিক করলে সেটি পৃষ্ঠায় চলে আসবে।

যদি From Fileএ ক্লিক করেন তাহলে যেই ছবিটি পৃষ্ঠায় আনবেন সেটি দেখিয়ে দিতে হবে অর্থাৎ যেই ছবিটি দেবেন তাতে মাউস দ্বারা ডাবল ক্লিক করুন বা একবার ক্লিক করে Insert বক্সে ক্লিক করলে সেই ছবিটি পৃষ্ঠায় চলে আসবে।

আর যদি Scanner বা Camera থেকে ছবি আনতে চান তবে ক্লিক করুন From Scanner or Camera.

ক্রমান্বয়ে সজ্জিত কোন চার্ট দিতে চাইলে ক্লিক করতে পারেন ঙOrganization Chartএ। সাথে সাথে একটি কমান্ড বক্স আসবে। উক্ত কমান্ড বক্স থেকে Insert Shapeএ ক্লিক করে চার্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দিতে পারেন। আর Layout থেকে পছন্দের যে কোন স্টাইলের চার্ট বেছে নিতে পারেন। আর Selecএ গিয়ে Select করতে পারেন যে কোন বিভাগ। আর এভাবেই Document টিকে আরো দৃষ্টিনন্দন করা যায়।


লেখাকে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য এমএস ওয়ার্ডে রয়েছে Format মেনু। এই Format মেনুর সাবমেনু Fontএ ক্লিক করলে Font নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্স থেকে প্রথমে লেখার কোন ধরনের লেখা চান এজন্য Font থেকে বাংলা (SutonnyMJ, RuposhreeMJ) অথবা ইংরেজির (Times New Roman) জন্য যে কোন একটিতে ক্লিক করে Font style থেকে যে কোন একটিstyle (Regular, Italic, Bold, Bold Italic) এ ক্লিক করে size থেকে লিখাকে বড় বা ছোট করার জন্য যে কোন একটিতে ক্লিক করে Font color থেকে অক্ষরের যে কোন একটি রঙ বেছে নেওয়ার পর যদি শব্দের নিচে দাগ দিতে চান তবে Underline style থেকে words only (শুধু শব্দের নিচে) বা এর নিচের যে কোন দাগে ক্লিক করতে পারেন (শব্দসহ খালি স্থানে)। দাগ দেওয়ার পর Underline color থেকে দাগের যে কোন একটি রঙ বেছে নিতে পারেন। আর যদি দাগ দিতে না চান তবে Underline style এর none এ ক্লিক করুন।

এবার আসা যাক Effects এ। শব্দের মাঝখানে যদি একটি দাগ দিতে চান তবে Strikethroughএ আর যদি দুইটি দাগ দিতে চান তবে Double strikethrough এ ক্লিক করতে পারেন। আর শব্দের ছায়া বা অন্যকোন রকম করতে চাইলে Shadow, Outline, Emboss, Engrave ইত্যাদিতে ক্লিক করতে পারেন। শব্দ লুকাতে চাইলে ক্লিক করতে পারেন Hiddenএ। সবকিছু করার পর OK ক্লিক করতে পারেন।

আর (a+b)3 লেখার সময় 3 লিখে একে সিলেক্ট করে Effects এর Superscript এ ক্লিক করুন বা CO2 লেখার সময় 2 লিখে একে সিলেক্ট করে Format মেনুর সাবমেনু Fon Effects এর Subscript ক্লিক করে Preview দেখে OK ক্লিক করুন।

Format মেনুর একমাত্র কাজ লেখাকে সুন্দর ও পৃষ্ঠাকে আকর্ষণীয় করে সবার সামনে তুলে ধরা। তাছাড়া লেখা যদি আলাদা আলাদাভাবে থাকে তবে তাতে নির্দিষ্ট চিহ্ন বা নম্বর দেয়া যায়।

এজন্য Format মেনুর সাবমেনু Bullete and Numberingএ ক্লিক করলে Bullete and Numbering নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Bulleted, Numbered, Outline Numbered, List Style ইত্যাদি থেকে বেছে নিতে পারেন যে কোন একটি। বেছে নেওয়ার পর পছন্দের যেকোনটিতে ক্লিক করে OK ক্লিক করুন। যদি তা পরিবর্তন করতে চান তবে OK ক্লিক করার আগে Customize থেকে তা পরিবর্তন করতে পারেন।

কোন পৃষ্ঠায় একসাথে অনেক লেখা থাকলে তা দেখতে সুন্দর লাগে না। এজন্য এক লাইন থেকে অন্য লাইনের মধ্যকার দূরত্ব বাড়ানোর জন্য Format মেনুর সাবমেনু Paragraph ক্লিক করলে Font নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Spacing এর Line spacing থেকে যেকোন একটিতে (Single, 1.5 lines, Double, At least, Exactly, Multiple) ক্লিক করে OK ক্লিক করুন। তাহলেই পৃষ্ঠার এক লাইন থেকে অন্য লাইনের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যাবে সেই অনুপাতে এবং পৃষ্ঠাটি আগের চেয়ে আরো সুন্দর মনে হবে।

এমএস ওয়ার্ডে লেখার পর বা আগে যদি পৃষ্ঠায় ছক বা বক্স আঁকতে চান তবে প্রথমেই যেতে হবে Format মেনুর সাবমেনু Borders and Shadingএ। এখন Borders and Shading নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। এই ডায়ালগ বক্সের Borders এর Setting থেকে যেকোন একটি (Box, Shadow, 3-D, Custom) বেছে নেওয়ার পর Style থেকে যেকোন একটি লাইন বেছে নিয়ে Color থেকে পছন্দের রঙ বেছে নিয়ে Width থেকে Style থেকে বেছে নেয়া লাইনটি কতটুকু মোটা হবে তা পছন্দ করে পাশের Preview দেখে OK ক্লিক করুন। একটু আগে দেয়া Borderএর চেয়ে আরেকটু ছোট আরেকটি Borders দিতে চাইলে ক্লিক করুন Page Bordeএ। আগের মতই সবকিছু করুন।

আর Borders Page Borde উভয় ক্ষেত্রে যদি কোন বক্স বা ছক (Border I Page Border) দিতে না চান তবে Noneএ ক্লিক করে OK তে ক্লিক করুন।

এবার আসা যাক Shadingএ। এর কাজ হচ্ছে পৃষ্ঠার ভিতরের অংশে। অর্থাৎ পৃষ্ঠার মধ্যে Bacrground এর পরিবর্তে অন্য কোন রঙ দিতে চাইলে তা দিতে পারেন। এজন্য Shading এর Fill থেকে পছন্দের যেকোন রঙ বেছে নিতে পারেন। আরো অনেক রকম রঙ বেছে নিতে চাইলে More Colors থেকে এ ক্লিক করে অনেক রঙের মিশ্রণে তৈরি করতে পারেন মনের মাধুরি মেশানো রঙটি। যদি কোন কিছু না করতে চাইলে No Fill এ ক্লিক করুন। আবার রঙ বা বিভিন্ন্‌ প্রকার দাগ দিতে চাইলে Patterns এর Style থেকে যেকোন একটি বেছে নিয়ে OK তে ক্লিক করুন। আর এইরকম কোন কিছু দিতে না চাইলে Clear এ ক্লিক করুন। আর এভাবেই আগের চেয়ে অনেক সুন্দর মনে হবে পৃষ্ঠাটি।

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Buy Coupons