মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

ফায়ারফক্সের গতি বাড়িয়ে নিন

জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন বিভিন্ন বৈশিষ্ট যোগ করার ব্যবস্থা। মুক্ত এবং ফ্রি এই ব্রাউজারের গতি বাড়িয়ে নিতে ম্যানুয়ালী কিছু কনফিগার করে নিতে পারেন। এজন্য এড্রেসবারে about:config লিখে এন্টার করুন, তাহলে ফায়ারফক্স কনফিগারেশন আসবে।
এখন network.http.pipelining এর মান true দিন (Preference এর উপরে মাউস দ্বারা দুইবার ক্লিক করলেই false থেকে true হবে)। একই ভাবে network.http.proxy.pipelining, network.dns.disableIPv6 এবং plugin.expose_full_path এর মান true নির্ধারণ করুন। এছাড়াও network.http.pipelining.maxrequests এর মান ৪ এর পরিবর্তে ৮ দিন।
এবার nglayout.initialpaint.delay নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন ০। Preference তৈরী করতে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে New এ ক্লিক করুন এবং ডান থেকে String/integer/boolean নির্বাচন করুন, এরপরে Preference এর নাম লিখে Ok করুন এবং পরবর্তি উইন্ডোতে ভ্যালু লিখে বা নির্বাচন করে Ok করুন।
একই ভাবে content.notify.backoffcount নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন ৫, ui.submenuDelay নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন ০, content.max.tokenizing.time নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন 2250000, content.notify.interval নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন 750000, browser.cache.memory.capacity নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন 65536|
এবার content.interrupt.parsing এবং content.notify.ontimer নামে নতুন বুলিয়েন Preference তৈরী করুন এবং মান true দিন। ব্যাস এবার দেখুন ফায়ারফক্সের গতি আগের তুলনায় বেড়েছে।

সূত্র : http://www.shamokaldarpon.com/?p=665

ফায়ারফক্সের পটভুমিতে পছন্দের ছবি

জনপ্রিয় ওপেন সোর্স ইন্টারনেট ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সে নতুন ট্যাব খোলার সময় সাদা পেজ আসে। এখানে যদি আপনার পছন্দের ছবি দেখা যায় তাহলে কেমন হয়! এজন্য ব্রাউজার ব্রাকগ্রাউন্ড এ্যডঅন্স ইনস্টল করতে হবে। https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/10550 থেকে এ্যডঅন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার স্ট্যটাস বারের ডানের সবুজ আইকনের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Browser Backgrounds এ ক্লিক করুন। এখানে Firefox, Movie, Generic বাটনে উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে মুছে দিন। এবার New Collection এ ক্লিক করে নতুন কালেকশন তৈরী করুন এবং Add বাটনে ক্লিক করে আপনার পছন্দের ছবিগুলো যোগ করুন। এবার নতুন ট্যাব (Ctrl+T) খুললে আপনার যোগ করা ছবি দেখাবে। একাধিক ছবি যোগ করা থাকলে নতুন ট্যাব খোলার সময় ধারাবাহিকভাবে এক এক ট্যাবে এক এক ছবি আসবে। ছবিটি ছোট হলে উপরের বামে দেখাবে, ছবিটি অন্য যায়গায় সরাতে চাইলে Ctrl কী চেপে মাউস দ্বারা ড্রাগ করলেই হবে। www.browserbackgrounds.com সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে আপনি প্রচুর পটভুমির ছবি ডাউনলোড করতে এবং আপনার পছন্দের ছবি আপলোড করতে পারবেন। বিস্তারিত আরো তথ্য পাবেন www.browserbackgrounds.com/bbext_howtouse.php এখানে। এটি ফ্লক ইন্টারনেট ব্রাউজারেও ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র : http://www.shamokaldarpon.com/?p=1510

ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করুন ফায়ারফক্সের মাধ্যমে

জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট ফেসবুকে সাধারণত ভিডিও ডাউনলোড করা যায় না। কিন্তু ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা সহজেই একটি এ্যাড-অন্স ইনস্টল করে অনায়াসে যেকোন ভিডিও ডাউনলোডের পাশাপাশি কনভার্ট, এ্যামবেট এবং কোড কাস্টমাইজ করতে পারবে। এজন্য https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/9614 থেকে এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করতে হবে। তাহলে ফেসবুকের ভিডিওর নিচে Download Video | Convert Video | Embed this Video | Customize Code আসবে। ভিডিও ডাউনলোড করলে MP4 ফরম্যাটে সেভ হবে। আর কনভার্ট করলে www.zamzar.com সাইটের মাধ্যমে অনলাইন কনভার্ট হবে।

সূত্র : http://www.shamokaldarpon.com/?p=1705

সহজেই জিমেইলে ব্যাকআপ রাখা

ইমেইলের অনলাইন ভান্ডারে বিভিন্ন তথ্য রাখা বেশ নিরাপদ। কিন্তু লগইন করে ফাইলগুলো সংযুক্ত (এ্যাটাচ) করা বেশ ঝামেলার। কিন্তু জিমেইল লগইন না করেই কোন ফাইল বা ফোল্ডারে এক ক্লিকেই যদি জিমেইলে পছন্দের ফাইল/ফোল্ডার যুক্ত করে রাখা যেত তাহলে কেমন হতো! জিমেইলর জিড্রাইভ ভালভাবে কাজ না করাতে সাধারণত অনেকই জিমেইলে দরকারী ফাইলগুলো সংযুক্ত করে রাখেন। তবে এজন্য জিমেইলে লগইন করতে হয় এবং ফাইলগুলোকে সংযুক্ত করে নিজের অন্য মেইলে বা উক্ত মেইলেই মেইল করতে হয়। এসবের সমাধান দেবে ব্যাকআপ টু ইমেইল সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে জিমেইলের ইউজার, পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখলে যেকোন ফাইল বা ফোল্ডারের উপরে মাইসের ডান বাটনে ক্লিক করে Backup To EMail এ ক্লিক করেলেই আপলোড হতে শুরু করবে। ফোল্ডারের ক্ষেত্রে ফোল্ডারটি জিপ (zip) হিসাবে সংযুক্ত হবে। আপলোড হবার পরে তা প্রদেয় মেইলের ইনবক্সে চলে আসবে। ইচ্ছে করলে Backup To EMail মেইলগুলোকে ফিল্টার করে ইনবক্স এড়িয়ে নির্দিষ্ট লেবেলে নিয়ে আসা যাবে। আর পরবর্তিতে অন্য কাউকোতো ফরওয়ার্ড করা যাবেই। মাত্র ১.৭৬ মেগাবাইটের ফ্রি সংস্করণটি www.backup2e.com থেকে ডাউনলোড করা যাবে। তবে সফটওয়্যারটি চালাতে জাভা ইনস্টল থাকতে হবে।

সূত্র: সমকাল দর্পন

ইন্টারনেট ছাড়াই জিমেইল ব্যবহার

http://www.techmadly.com/wp-content/uploads/2009/12/I.jpg
অফলাইনে জিমেইল


ইমেইল ক্লাইন্টের নাম আমরা সবাই শুনেছি অনেকেই আউটলুক, ইউডোরা, থান্ডারবার্ডের মত ইমেইল ক্লাইন্ট ব্যবহার করে থাকেন। মেইল ক্লাইন্টের মাধ্যমে পপ সুবিধা থাকা মেইলগুলো ওয়েব মেইল থেকে ডাউনলোড হয়ে মেইল ক্লাইন্টে চলে আসে ফলে ইন্টারনেট ছাড়াই ইমেইল পড়া এবং লিখে সেভ করে রাখা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেইল ক্লাইন্টে ওয়েবমেইলগুলো ডাউনলোড হয় ফলে ওয়েবমেইলে তা আর থাকে না, অন্য কোথাও থেকে আর পড়াও যায় না। যদিও জিমেইল পপ সুবিধা সাথে অনলাইনে মেইলের কপি রাখার ব্যবস্থা আছে। ফলে জিমেইল ব্যবহাকারীরা পপ সক্রিয় করে অন্য মেইল ক্লাইন্ট ব্যবহার করলে যে সুবিধা পেয়ে থাকে তাই পাওয়া যাবে জিমেইল অফলাইন দ্বারা। মূলত এটা জিমেইলকে অনলাইনের সাথে অফলাইনের যোগসূত্র তৈরী করে দিয়েছে। অফলাইনে জিমেইল ব্যবহার করতে হলে গুগল গিয়ার ইনস্টল করতে হবে। এজন্য http://gears.google.com থেকে গুগল গিয়ার ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এবার জিমেইল খুলে সেটিংস থেকে Labs ট্যাবে যান এবং Offline এর Enable অপশন বাটন নির্বাচন করে Save Changes বাটনে ক্লিক করে সেভ করুন। সেভ হবার পরে জিমেইল পুনরাই সক্রিয়ভাবে লোড হবার পরে উপরের ডানে Offline0.2 এ ক্লিক করুন তাহলে Install offline access for Gmail ডায়ালগ বক্স আসবে এখানে Next করুন (যদি Gears Security Warning ডায়ালগ বক্স আসে তাহলে I trust this site চেক করে Allow বাটনে ক্লিক করুন।) এবং কোথায় কোথায় শটকাট নিবেন তা নির্বাচন করে Ok করুন, তাহলে ডাউনলোড (Finishing offline installation এবং পরে Synchronizing…) শুরু হবে। এটি মূলত ইউজারের Local Settings\Application Data এর মধ্যে সেভ হয়। সবশেষে Go into Flaky Connection Mode এ ক্লিক করুন। এরপরে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও তৈরী হওয়া শটকাটে ক্লিক করে অথবা https://mail.google.com/mail সাইটে গিয়ে মেইল পড়তে, লিখে সেভ করতে পারবেন। একই কম্পিউটারে, একই ব্রাউজারে, এভাবে একাধিক ইউজারের তথ্যও অফলাইন করে রাখা যাবে। এমনকি একই একাউন্ট একাধিক কম্পিউটারে অফলাইন করে রাখা যাবে। আর পোর্টেবল ফায়ারফক্সে ব্যবহার করলেতো কথাই নেই, ইচ্ছেমত বহন করা যাবে (সিডিতে রাইট করেও রাখা যাবে) আর অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন বা নতুন করে ইনস্টল করলেও সমস্যা নেই। জিমইেল অফলাইন আপতত উইন্ডোজ (এক্সপি+), ম্যাক এবং লিনাক্সে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার৬+, ফায়ারফক্স ১.৫+, সাফারিতে সর্মথন করবে। এছাড়াও সকল ধরনের তথ্যই জিমেইলের অফিসিয়াল ব্লগ http://gmailblog.blogspot.com থেকে পাওয়া যাবে।

তথ্যসূত্র : সমকাল দর্পন

Deep Freeze দ্বারা কম্পিউটারকে রাখুন নিরাপদ

Deep Freeze একটি সফটওয়ার যেটা ইনস্টল করার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটারের যাবতীয় ফাইল পুনরায় আগের মত দেখতে পাবেন মানে কোন কিছুই পরিবর্তন হবে না । এর ফলে আমরা অনাকাঙ্খিত ভাইরাস থেকেও মুক্তি পাবেন ।

এর সুবিধাসমূহঃ

১ . ভাইরাস থেকে c ড্রাইভ সম্পূর্নভাবে নিরাপদ থাকবে । মানে সিস্টেম ফাইলগুলো ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবে ।

২ . অন্য কেউ আপনার কম্পিউটারে অনাকাঙ্খিত ফাইল প্রবেশ বা ডিলেট করতে পারবে না ।

ইনস্টল করার পদ্ধতিঃ

প্রথমেই আপনাকে এখান থেকে সফটওয়ারটি ডাউনলোড করতে হবে । তারপর আপনি এটি ইনস্টল করুন । এখানে যদি আপনি চান যে আপনার হার্ডডিস্কের সকল ড্রাইল এই সফটওয়ার এর অধীনে রাখবেন তাহলে সকল ড্রাইভ সিলেক্ট করাই থাকবে শুধু ইনস্টল করে নিন । সকল ড্রাইভ করলে আপনি অসুবিধায় পরতে পারেন মানে যখন আপনি কিছু কপি করে রাখবেন তা Restart কদেয়ার পরপরই চলে যাবে । তাই সবচেয়ে ভাল হয় আপনি শুধু C ড্রাইভটি ক্লিক করুন ।যাতে C ড্রাইভের অবান্চিত ফাইলগুলো পরে যায় । ইনস্টল হওয়ার পরপরই এটা সয়ংক্রিয়ভাবে Restart নিবে । পরে কম্পিউটার চালু হলে yes ক্লিক করুন । অথবা deep freeze এর ট্রাই আইকনে Shift চেপে ডাবল ক্লিক করুন এবং পাসওয়ার্ড দিন । যাতে অন্যকেউ তা আনইনস্টল করতে না পারে । ইনস্টল করা খুবই সহজ । সাধারন সফটওয়ার এর মতই এটি ইনস্টল করতে হবে ।আনইনস্টল করার পদ্ধতিঃ

deep freeze সফটওয়ারটি যেহেতু Add or Remove অপশনে পাওয়া যায় না এবং স্টার্টআপ অপশনেও খুজে পাওয়া যাবে না। তাই এটি প্রথম আপনাকে ডিসেবল করতে হবে । এটি আনইনস্টল করতে হলে আপনাকে deep freeze এর ট্রাই আইকনে Shift চেপে ডাবল ক্লিক করতে হবে । এরপর আপনার দেয়া পাসওয়ার্ডটি দিন ।
Boot Thawed অপশনটি ক্লিক করে Restart দিন । এরপর আপনাকে deep freeze ইনস্টল করার সফটওয়ারটি ডাবলক্লিক করতে হবে । পরেই তা আনইনস্টল হওয়া শুরু করবে ।


এর সিরিয়াল নম্বর হলঃ
NKQ7KD4E-MTRZ4606-6NTTCAFX-Z4APSWN4-ZS65BM43

সূত্র : http://techtunes.com.bd/internet/tune-id/9374/

ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ট্যাগ করুন আপনার ফ্রেন্ডকে

ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে ট্যাগিং সিস্টেম চালু হয়েছে। কাজ করছে এটা। আমি এইমাত্র ইউজ করলাম। ট্রাই করে দ্যাখেন।
কাউকে ট্যাগ করতে স্ট্যাটাসে @ লিখামাত্রই নিচের ছবির মত আসবে

এবার যাকে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করতে চান তার নামের প্রথম অক্ষর টাইপ করুন।


ট্যাগ করার পর স্ট্যাটাস থেকে @ উঠে যাবে অটোমেটিক্যালি এবং ফ্রেন্ডের নাম হাইপারলিঙ্কড হয়ে যাবে।

স্ট্যাটাসটি আপডেট করার পর নিচের মত দেখাবেঃ


লেখাটির সূত্র : http://www.somewhereinblog.net/blog/ronybest/29010989

লিনাক্স : ইতিহাস, ইন্সটল, ব্যবহার

লিনাক্স :: একটি বিশ্বস্ত, শক্তিশালী এবং স্বপ্নের অপারেটিং সিস্টেম (ইতিহাস, ইন্সটল, ব্যবহার)




প্রাক কথনঃ
বিশ্বজুড়ে লিনাক্স নামের শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে যেভাবে সবাই গ্রহণ করে নিয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। এখন ইন্টারনেট থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানীর নেটওয়ার্ক সার্ভার সবই ইউনিক্স ও লিনাক্স সিস্টেমের উপরে এতোটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে উইন্ডোজ ছাড়া পৃথিবী চললেও লিনাক্স কিংবা ইউনিক্স ছাড়া পৃথিবী অচল!

অসম্ভব রিলায়াবিলিটি, স্ট্যাবিলিটি ও শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম বলতে যা বুঝায় তার সবই আছে লিনাক্সের মাঝে, তাই এর এতো কদর। সবাই যাতে আগ্রহী হয় কিংবা অহেতুক ভয় কাটিয়ে সহজেই যেন চমৎকার এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে ব্যবহার করতে পারে তর জন্যই এই লেখা।


লিনাক্সের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
লিনাক্স হচ্ছে সোর্সকোড উন্মুক্ত সম্পূর্ণ ফ্রি একটি অপারেটং সিস্টেম। যারা কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র অথবা পাইরেসিকে নীতিগতভাবে ঘৃণা করেন তারা জানেন যে একটি সোর্সকোড উন্মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম কতটা আশীর্বাদ স্বরুপ! সোর্সকোড উন্মুক্ত, ফ্রি…এসব কথা শুনে যদি কেউ ভেবে থাকেন এটি সস্তাদরের সাধারণ অপারেটিং সিস্টেম, তাহলে বলব বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সারা বিশ্ব লিনাক্স কে যেভাবে গ্রহণ করছে তা সত্যি চমকপ্রদ! এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে এর প্রবল শক্তিমত্তা আর নির্ভরযোগ্যতার কারণে।
লিনাক্স তৈরী করেন লিনাস টোরভাল্ডস ১৯৯১ সালে আই ৩৮৬ প্রসেসর এর জন্য। লিনাক্স কে ইউনিক্স (http://www.unix.org/) এর ক্লোন বলা হলেও বর্তমান লিনাক্সের সাথে এর আকাশ-পাতাল ফারাক। যে ইউনিক্স থেকে লিনাক্সের জন্ম সেই ইউনিক্সের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭১ সালে। রিচার্ড স্টলম্যান নামের এক মহামানব ১৯৮৫ সালের দিকে এন্টি কপিরাইট আন্দোলন শুরু করেন তার জিএনইউ এর মাধ্যমে এবং এর ফলেই আজকে ওপেনসোর্স এতো জনপ্রিয় বা লিনাক্সের ফ্রি ডিস্ট্রিবিউশন সম্ভব হচ্ছে।
তো লিনাস টোরভাল্ডস ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে লিনাক্সের প্রথম ভার্সন ০.০১ ইন্টারনেটে রিলিজ করেন। উৎসাহীরা ভিড় জমায়, কোডগুলো ডাউনলোড করে, টেস্ট করে পরিবর্ধন করে লিনাস টোরভাল্ডসের কাছে পাঠাতে থাকে। কাজ এগিয়ে চলে, লিনাক্সের ঘাঁটিতে আসতে থাকে হাজার হাজার ফ্যান, লিনাক্স ইউজার। সারা বিশ্বের ছাত্র এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা দারুণভাবে গ্রহণ করল লিনাক্স কে। সেই সাথে বের হতে থাকে লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন - রেডহ্যাট, ক্যালডেরা, ডেবিয়ান ইত্যাদি। এর পর পরই ঘটে চমকপ্রদ কিছু ঘটনা। রেডহ্যাট সফটওয়্যারের লিনাক্স ১৯৯৬ সালে সেরা অপারেটিং সিস্টেমের পুরস্কার লাভ করে ইনফোওয়ার্ল্ড ট্রেড ম্যাগাজিনের কাছ থেকে।
সে বছরের এপ্রিলেই রিসার্চাররা লস আলামাস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরীতে লিনাক্স ব্যবহার করে ৬৮টি পিসিতে সিঙ্গেল প্যারালাল প্রসেসিং ব্যবহার করে এটমিক শকওয়েভ সিমিউলেট করে। এই নিজেদের তৈরি সুপার কম্পিউটারের দাম হয় কমার্সিয়াল সুপার কম্পিউটারের তুলনায় মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ। এটি প্রতি সেকেন্ডে ১৯ বিলিয়ন ক্যালকুলেশন পর্যন্ত গতি লাভ করে। তিন মাস পরেও এটিকে কখনো রিবুট করতে হয়নি, যা উইন্ডোজের ক্ষেত্রে ভাবাটা চরম নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই না!!



টাক্স - লিনাক্সের লোগোঃ
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের লোগোটি হচ্ছে একটি পেঙ্গুইন যার নাম দেয়া হয়েছে টাক্স। একেঁছিলেন ল্যারি উইং। লিনাক্সের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে এটি পরিচিত। লোগোটা নির্বাচনে আছে এক মজার ইতিহাস । লিনাক্সের জনক লিনাস টোরভাল্ডস অবকাশ যাপনের জন্য southern hemisphere বেড়াতে যায়। তো সেখানে একটা পেঙ্গুইন দেখে আদর করতে গেলেই পেঙ্গুইনটি দেয় কামড় টোরভাল্ডস এর হাতে। সেই স্মৃতির জের ধরেই লোগো হিসেবে পেঙ্গুইনের আবির্ভাব। লিনাক্সের এই লোগো সম্পর্কে এর স্রষ্টা লিনাস টোরভাল্ডস এর বক্তব্য অনেকটা এরকম -“অন্যান্য লোগোগুলো ছিল খুবই বোরিং এবং আমার মনের মতো ছিল না মোটেও। লিনাক্স করপোরেট লোগোর জন্য আমি খুঁজছিলাম এমন কিছু যা হবে মজার এবং লিনাক্সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটা মোটাসোটা পেঙ্গুইন খাওয়াদাওয়া শেষ করে বসে আছে এমন একটা ছবি। অনেকেই আমাকে বলে লিনাক্সের যে আভিজাত্য তার সাথে এটা ঠিক খাপ খায় না। তাদের জন্য বলছি, তারা সম্ভবত চুপচাপ পেঙ্গুইনই দেখেছে, কিন্তু দেখেনি রাগী পেঙ্গুইনের ঘন্টায় ১০০ মাইল বেগে দৌড়ে আসা আক্রমণ। দেখলে তারা এধরণের মন্তব্য করার সাহস পেত না।“

লিনাক্স ব্যবহারের কারণসমূহঃ
সারা বিশ্বে লিনাক্স এখন দারুণভাবে ব্যবহার হচ্ছে। অন্যতম কারণ হচ্ছে এর সিকিউরিটি। লিনাক্স প্রচন্ড রকমের সিকিউরড। ভাইরাস আক্রমণ, হ্যাক হয়ে যাওয়া এ কথাগুলো বোধহয় লিনাক্স ইউজাররা জীবনেও শুনে নি। আরও আছে, দীর্ঘদিনের ব্যবহারের ফলে উইন্ডোজ স্লো হয়ে যায় অথচ এক ইন্সটল দিয়েই আপনি লিনাক্স চালাতে পারবেন বছরের পর বছর। আর তাছাড়াও বাইরের দেশে যেখানে হাজার হাজার টাকা দিয়ে একটি অপারেটিং সিস্টেম কিনতে হয়, তার উপর রয়েছে অন্যান্য এপ্লিকেশন কেনার খরচ, সেখানে লিনাক্সে পুরো অপারেটিং সিস্টেমের সাথে হাজারখানেক এপ্লিকেশন পাবেন ফ্রীতে। এতো খরচের হাত থেকে বাঁচতে লিনাক্স কে তখন আপনার আশীর্বাদই মনে হবে। এছাড়াও হোম ইউজার থেকে শুরু করে নেটওয়ার্ক এনভায়রনমেন্টে লিনাক্স অপরিহার্য। লিনাক্সের কয়েকটি ব্যবহারের ভেতরে রয়েছে -
এপ্লিকেশন সার্ভার, ডেটাবেজ সার্ভার, ওয়ার্কস্টেশন, এক্স টার্মিনাল ক্লায়েন্ট, নেটওয়ার্ক সার্ভার, ইন্টারনেট সার্ভার, ক্লাস্টার কম্পিউটিং, এনবেডেড সিস্টেমস, ইউনিভার্সিটি সিস্টেম, বিভিন্ন কাস্টোমাইজেবল সলিউশন যেমনঃ হোটেল, মেডিক্যাল অফিস, রিজার্ভেসন সিস্টেম, লিগ্যাল অফিস, গর্ভমেন্ট, মিডিয়া টেলিকমিউনিকেশন, আইএসপি, রিসেলার, ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডার ওয়ার্কস্টেশন ইত্যাদি শত শত ক্ষেত্রেই লিনাক্সের প্রয়োগ হচ্ছে সফলতার সাথে।

লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশনঃ
কোরেল লিনাক্স, আর্মড লিনাক্সওয়ার্ক্স, ক্যালডেরা লিনাক্স, ডেবিয়ান, ডিএলএক্স, লিনাক্স ম্যানড্রেক, লিনাক্স পিপিসি ২০০০, লিনাক্সওয়্যার, প্লাগ এন্ড প্লে লিনাক্স, রেডহ্যাট লিনাক্স, স্ল্যাকওয়্যার, টার্বোলিনাক্স, স্টর্ম লিনাক্স, সুসে লিনাক্স, উবুন্টু লিনাক্স, ড্যাম স্মল লিনাক্স ইত্যাদি।
এর মধ্যে থেকে সার্ভার তথা নেটওয়ার্কের জন্য রেডহ্যাট এবং ডেস্কটপ কম্পিউটিং এর জন্য উবুন্টু অসম্ভব জনপ্রিয়। ইতোমধ্যেই অনেক ব্লগার উবুন্টু সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছেন, উবুন্টু সম্পর্কে হয়তো অনেক কিছুই জেনে থাকবেন। তাই আর বিস্তারিত লিখলাম না। আর ড্যাম স্মল লিনাক্সের ব্যপারে বলবো, এটা এতোটাই ছোট একটা অপারেটিং সিস্টেম (৫০-৬০ মেগাবাইট) যে আপনি সহজেই পেন ড্রাইভে নিয়ে ঘুরতে পারবেন। যখন অপারেটিং সিস্টেম কোন কারণে নষ্ট থাকবে অথচ আপনার জরুরী কাজ করা দরকার, সেই দরকারী মুহূর্তে আপনি পেনড্রাইভ থেকে লিনাক্সের মাধ্যমে বুট করে সকল কাজই করতে পারবেন।



যেখানে পাবেন লিনাক্সঃ
এইলিঙ্কে (উবুন্টু শিপমেন্ট) ক্লিক করে অর্ডার দিলে কয়েক হপ্তার মধ্যই আপানার বাসায় এসে পৌছে যাবে লিনাক্সের সিডি। এর জন্য কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না। এছাড়াও আপনার যদি নেট স্পিড ভাল থাকে তাহলে নেট থেকে আইএসও ইমেজটা ডাউনলোড করে রাইট করে নিলেই হবে।

ইন্সটলেশনঃ
এ ব্যাপারটা নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা থাকলেও লেখার আকৃতি বড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে লিখছি না। তবে নিচে ব্লগার ভাইদের পোস্ট করা কিছু কিছু পোস্ট দিলাম। চিত্র সহ বর্ণনা করা আছে। কম্পিউটিং এর বেসিক ধারণা থাকলেই যে কেউ সহজে ইন্সটল করতে পারবেন লিনাক্স। এখানে উবুন্টুকে ডিফল্ট ধরে কাজ করা হয়েছে -
১. সহজ পার্টিশন
২.সহজ ইন্সটল
৩. লিনাক্সের উপর উইন্ডোজ ইনস্টল করার গ্রাব পুনরুদ্ধার [পোস্ট ইন্সটলেশন হেল্প]
৪. পিপিপিওই (PPPoE) ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু
৫. উবুন্টুতে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সংযোগ (লেটেস্ট উবুন্টু Interpid Ibex এ গ্রামীনফোন, একটেল ও বাংলালিঙ্ক এর নেটওয়ার্ক সেটাপ করা যায় মাত্র কয়েক ক্লিকেই)
৬. উবুন্টুতে ডায়াল-আপ ইন্টার্নেট সংযোগ স্থাপন
৭.উবুন্টুতে বাংলা ভাষা সমর্থন এবং বাংলা কী-বোর্ড সেট-আপ



ব্যবহারঃ
লিনাক্সের চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হবে। কিছু কিছু জিনিষ আছে যেগুলো লিখে প্রকাশ করা যায় না। নিজের চোখে দেখে বিশ্বাস করতে হয়। লিনাক্সের ডেক্সটপ কেমন তা দেখতে চাইলে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন (সৌজন্যঃ ব্লগার টেকনো)। আশা করি, এরপর আপনার উইন্ডোজ কে রঙবিহীন একটা খেলনা ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না। এটা দেখুন -
http://www.youtube.com/watch?v=_ImW0-MgR8I
এছাড়াও যারা স্ক্রিনশট দেখতে চান নিচের লিঙ্কটা পরখ করে দেখতে পারেন -
এখানে ক্লিক করুন
আপনার লিনাক্স ডেক্সটপটাকে এমন বানাতে চাইলে ব্লগার রোকনের বাংলায় টিউটোরিয়াল পাবেন এখানে -

সহজিয়া উবুন্টু শিক্ষা ১
সহজিয়া উবুন্টু শিক্ষা ২

অনেকেই বলতে পারেন, "অনেকতো বকলেন, এখন বলেন উইন্ডোজে যেসব সফটওয়্যার পেতাম সেগুলো এখন পাবো কই?"
সমাধান এখানে-
ব্লগার টেকনোর পোস্ট - Windows সফটওয়্যার এর লিনাক্স একুইভালেন্ট/অল্টারনেটিভ শেষপর্ব
সেই সাথে লিনাক্সের নিজস্ব হাজারখানেক সফটওয়্যার পাবেন ইন্সটলের সাথে (ডিস্ট্রিবিউশন ভেদে ভিন্নতা আসতে পারে)।

শেষের কথাঃ
সারা বিশ্বে লিনাক্সের ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চললেও বাংলাদেশে এই গতি খুবই মন্থর। লিনাক্সের শক্তিশালী ক্ষমতার কারণে বাইরে ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবি সকলেই লিনাক্স কে আপন করে নিচ্ছে। ভবিষ্যতের এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে যদি এখনই শিখে নিতে পারেন তাহলে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এছাড়াও ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে লিনাক্স শিক্ষাটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হতে পারে।
লিনাক্সের আগমন আমাদেরকে দিয়েছে ডিজিটাল মুক্তি। আমরা এখন কোন গোষ্ঠির (Microsoft) কাছে জিম্মি নই। যে কেউ চাইলে লিনাক্স কে নিজের মতো করে তৈরী করে নিতে পারে। পরিবর্তন, পরিবর্ধনে বাঁধা নেই। তাই লিনাক্স আজ আমাদের সকলের স্বপ্নের অপারেটিং সিস্টেম, যারা চাই প্রযুক্তি ও মেধাকে বিকশিত করতে, চাই সবার সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে।



সূত্র: http://www.somewhereinblog.net/blog/norokerpapiblog/28878838

লিনাক্স : ইতিহাস, ইন্সটল, ব্যবহার

লিনাক্স :: একটি বিশ্বস্ত, শক্তিশালী এবং স্বপ্নের অপারেটিং সিস্টেম (ইতিহাস, ইন্সটল, ব্যবহার)



প্রাক কথনঃ
বিশ্বজুড়ে লিনাক্স নামের শক্তিশালী এবং বিশ্বস্ত এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে যেভাবে সবাই গ্রহণ করে নিয়েছে তা সত্যিই বিস্ময়কর। এখন ইন্টারনেট থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানীর নেটওয়ার্ক সার্ভার সবই ইউনিক্স ও লিনাক্স সিস্টেমের উপরে এতোটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে উইন্ডোজ ছাড়া পৃথিবী চললেও লিনাক্স কিংবা ইউনিক্স ছাড়া পৃথিবী অচল!

অসম্ভব রিলায়াবিলিটি, স্ট্যাবিলিটি ও শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম বলতে যা বুঝায় তার সবই আছে লিনাক্সের মাঝে, তাই এর এতো কদর। সবাই যাতে আগ্রহী হয় কিংবা অহেতুক ভয় কাটিয়ে সহজেই যেন চমৎকার এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে ব্যবহার করতে পারে তর জন্যই এই লেখা।


লিনাক্সের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
লিনাক্স হচ্ছে সোর্সকোড উন্মুক্ত সম্পূর্ণ ফ্রি একটি অপারেটং সিস্টেম। যারা কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র অথবা পাইরেসিকে নীতিগতভাবে ঘৃণা করেন তারা জানেন যে একটি সোর্সকোড উন্মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম কতটা আশীর্বাদ স্বরুপ! সোর্সকোড উন্মুক্ত, ফ্রি…এসব কথা শুনে যদি কেউ ভেবে থাকেন এটি সস্তাদরের সাধারণ অপারেটিং সিস্টেম, তাহলে বলব বোকার স্বর্গে বাস করছেন। সারা বিশ্ব লিনাক্স কে যেভাবে গ্রহণ করছে তা সত্যি চমকপ্রদ! এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে এর প্রবল শক্তিমত্তা আর নির্ভরযোগ্যতার কারণে।
লিনাক্স তৈরী করেন লিনাস টোরভাল্ডস ১৯৯১ সালে আই ৩৮৬ প্রসেসর এর জন্য। লিনাক্স কে ইউনিক্স (http://www.unix.org/) এর ক্লোন বলা হলেও বর্তমান লিনাক্সের সাথে এর আকাশ-পাতাল ফারাক। যে ইউনিক্স থেকে লিনাক্সের জন্ম সেই ইউনিক্সের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭১ সালে। রিচার্ড স্টলম্যান নামের এক মহামানব ১৯৮৫ সালের দিকে এন্টি কপিরাইট আন্দোলন শুরু করেন তার জিএনইউ এর মাধ্যমে এবং এর ফলেই আজকে ওপেনসোর্স এতো জনপ্রিয় বা লিনাক্সের ফ্রি ডিস্ট্রিবিউশন সম্ভব হচ্ছে।
তো লিনাস টোরভাল্ডস ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে লিনাক্সের প্রথম ভার্সন ০.০১ ইন্টারনেটে রিলিজ করেন। উৎসাহীরা ভিড় জমায়, কোডগুলো ডাউনলোড করে, টেস্ট করে পরিবর্ধন করে লিনাস টোরভাল্ডসের কাছে পাঠাতে থাকে। কাজ এগিয়ে চলে, লিনাক্সের ঘাঁটিতে আসতে থাকে হাজার হাজার ফ্যান, লিনাক্স ইউজার। সারা বিশ্বের ছাত্র এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা দারুণভাবে গ্রহণ করল লিনাক্স কে। সেই সাথে বের হতে থাকে লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন - রেডহ্যাট, ক্যালডেরা, ডেবিয়ান ইত্যাদি। এর পর পরই ঘটে চমকপ্রদ কিছু ঘটনা। রেডহ্যাট সফটওয়্যারের লিনাক্স ১৯৯৬ সালে সেরা অপারেটিং সিস্টেমের পুরস্কার লাভ করে ইনফোওয়ার্ল্ড ট্রেড ম্যাগাজিনের কাছ থেকে।
সে বছরের এপ্রিলেই রিসার্চাররা লস আলামাস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরীতে লিনাক্স ব্যবহার করে ৬৮টি পিসিতে সিঙ্গেল প্যারালাল প্রসেসিং ব্যবহার করে এটমিক শকওয়েভ সিমিউলেট করে। এই নিজেদের তৈরি সুপার কম্পিউটারের দাম হয় কমার্সিয়াল সুপার কম্পিউটারের তুলনায় মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ। এটি প্রতি সেকেন্ডে ১৯ বিলিয়ন ক্যালকুলেশন পর্যন্ত গতি লাভ করে। তিন মাস পরেও এটিকে কখনো রিবুট করতে হয়নি, যা উইন্ডোজের ক্ষেত্রে ভাবাটা চরম নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই না!!



টাক্স - লিনাক্সের লোগোঃ
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের লোগোটি হচ্ছে একটি পেঙ্গুইন যার নাম দেয়া হয়েছে টাক্স। একেঁছিলেন ল্যারি উইং। লিনাক্সের অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে এটি পরিচিত। লোগোটা নির্বাচনে আছে এক মজার ইতিহাস । লিনাক্সের জনক লিনাস টোরভাল্ডস অবকাশ যাপনের জন্য southern hemisphere বেড়াতে যায়। তো সেখানে একটা পেঙ্গুইন দেখে আদর করতে গেলেই পেঙ্গুইনটি দেয় কামড় টোরভাল্ডস এর হাতে। সেই স্মৃতির জের ধরেই লোগো হিসেবে পেঙ্গুইনের আবির্ভাব। লিনাক্সের এই লোগো সম্পর্কে এর স্রষ্টা লিনাস টোরভাল্ডস এর বক্তব্য অনেকটা এরকম -“অন্যান্য লোগোগুলো ছিল খুবই বোরিং এবং আমার মনের মতো ছিল না মোটেও। লিনাক্স করপোরেট লোগোর জন্য আমি খুঁজছিলাম এমন কিছু যা হবে মজার এবং লিনাক্সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একটা মোটাসোটা পেঙ্গুইন খাওয়াদাওয়া শেষ করে বসে আছে এমন একটা ছবি। অনেকেই আমাকে বলে লিনাক্সের যে আভিজাত্য তার সাথে এটা ঠিক খাপ খায় না। তাদের জন্য বলছি, তারা সম্ভবত চুপচাপ পেঙ্গুইনই দেখেছে, কিন্তু দেখেনি রাগী পেঙ্গুইনের ঘন্টায় ১০০ মাইল বেগে দৌড়ে আসা আক্রমণ। দেখলে তারা এধরণের মন্তব্য করার সাহস পেত না।“

লিনাক্স ব্যবহারের কারণসমূহঃ
সারা বিশ্বে লিনাক্স এখন দারুণভাবে ব্যবহার হচ্ছে। অন্যতম কারণ হচ্ছে এর সিকিউরিটি। লিনাক্স প্রচন্ড রকমের সিকিউরড। ভাইরাস আক্রমণ, হ্যাক হয়ে যাওয়া এ কথাগুলো বোধহয় লিনাক্স ইউজাররা জীবনেও শুনে নি। আরও আছে, দীর্ঘদিনের ব্যবহারের ফলে উইন্ডোজ স্লো হয়ে যায় অথচ এক ইন্সটল দিয়েই আপনি লিনাক্স চালাতে পারবেন বছরের পর বছর। আর তাছাড়াও বাইরের দেশে যেখানে হাজার হাজার টাকা দিয়ে একটি অপারেটিং সিস্টেম কিনতে হয়, তার উপর রয়েছে অন্যান্য এপ্লিকেশন কেনার খরচ, সেখানে লিনাক্সে পুরো অপারেটিং সিস্টেমের সাথে হাজারখানেক এপ্লিকেশন পাবেন ফ্রীতে। এতো খরচের হাত থেকে বাঁচতে লিনাক্স কে তখন আপনার আশীর্বাদই মনে হবে। এছাড়াও হোম ইউজার থেকে শুরু করে নেটওয়ার্ক এনভায়রনমেন্টে লিনাক্স অপরিহার্য। লিনাক্সের কয়েকটি ব্যবহারের ভেতরে রয়েছে -
এপ্লিকেশন সার্ভার, ডেটাবেজ সার্ভার, ওয়ার্কস্টেশন, এক্স টার্মিনাল ক্লায়েন্ট, নেটওয়ার্ক সার্ভার, ইন্টারনেট সার্ভার, ক্লাস্টার কম্পিউটিং, এনবেডেড সিস্টেমস, ইউনিভার্সিটি সিস্টেম, বিভিন্ন কাস্টোমাইজেবল সলিউশন যেমনঃ হোটেল, মেডিক্যাল অফিস, রিজার্ভেসন সিস্টেম, লিগ্যাল অফিস, গর্ভমেন্ট, মিডিয়া টেলিকমিউনিকেশন, আইএসপি, রিসেলার, ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডার ওয়ার্কস্টেশন ইত্যাদি শত শত ক্ষেত্রেই লিনাক্সের প্রয়োগ হচ্ছে সফলতার সাথে।

লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশনঃ
কোরেল লিনাক্স, আর্মড লিনাক্সওয়ার্ক্স, ক্যালডেরা লিনাক্স, ডেবিয়ান, ডিএলএক্স, লিনাক্স ম্যানড্রেক, লিনাক্স পিপিসি ২০০০, লিনাক্সওয়্যার, প্লাগ এন্ড প্লে লিনাক্স, রেডহ্যাট লিনাক্স, স্ল্যাকওয়্যার, টার্বোলিনাক্স, স্টর্ম লিনাক্স, সুসে লিনাক্স, উবুন্টু লিনাক্স, ড্যাম স্মল লিনাক্স ইত্যাদি।
এর মধ্যে থেকে সার্ভার তথা নেটওয়ার্কের জন্য রেডহ্যাট এবং ডেস্কটপ কম্পিউটিং এর জন্য উবুন্টু অসম্ভব জনপ্রিয়। ইতোমধ্যেই অনেক ব্লগার উবুন্টু সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছেন, উবুন্টু সম্পর্কে হয়তো অনেক কিছুই জেনে থাকবেন। তাই আর বিস্তারিত লিখলাম না। আর ড্যাম স্মল লিনাক্সের ব্যপারে বলবো, এটা এতোটাই ছোট একটা অপারেটিং সিস্টেম (৫০-৬০ মেগাবাইট) যে আপনি সহজেই পেন ড্রাইভে নিয়ে ঘুরতে পারবেন। যখন অপারেটিং সিস্টেম কোন কারণে নষ্ট থাকবে অথচ আপনার জরুরী কাজ করা দরকার, সেই দরকারী মুহূর্তে আপনি পেনড্রাইভ থেকে লিনাক্সের মাধ্যমে বুট করে সকল কাজই করতে পারবেন।



যেখানে পাবেন লিনাক্সঃ
এইলিঙ্কে (উবুন্টু শিপমেন্ট) ক্লিক করে অর্ডার দিলে কয়েক হপ্তার মধ্যই আপানার বাসায় এসে পৌছে যাবে লিনাক্সের সিডি। এর জন্য কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না। এছাড়াও আপনার যদি নেট স্পিড ভাল থাকে তাহলে নেট থেকে আইএসও ইমেজটা ডাউনলোড করে রাইট করে নিলেই হবে।

ইন্সটলেশনঃ
এ ব্যাপারটা নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা থাকলেও লেখার আকৃতি বড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে লিখছি না। তবে নিচে ব্লগার ভাইদের পোস্ট করা কিছু কিছু পোস্ট দিলাম। চিত্র সহ বর্ণনা করা আছে। কম্পিউটিং এর বেসিক ধারণা থাকলেই যে কেউ সহজে ইন্সটল করতে পারবেন লিনাক্স। এখানে উবুন্টুকে ডিফল্ট ধরে কাজ করা হয়েছে -
১. সহজ পার্টিশন
২.সহজ ইন্সটল
৩. লিনাক্সের উপর উইন্ডোজ ইনস্টল করার গ্রাব পুনরুদ্ধার [পোস্ট ইন্সটলেশন হেল্প]
৪. পিপিপিওই (PPPoE) ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু
৫. উবুন্টুতে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সংযোগ (লেটেস্ট উবুন্টু Interpid Ibex এ গ্রামীনফোন, একটেল ও বাংলালিঙ্ক এর নেটওয়ার্ক সেটাপ করা যায় মাত্র কয়েক ক্লিকেই)
৬. উবুন্টুতে ডায়াল-আপ ইন্টার্নেট সংযোগ স্থাপন
৭.উবুন্টুতে বাংলা ভাষা সমর্থন এবং বাংলা কী-বোর্ড সেট-আপ



ব্যবহারঃ
লিনাক্সের চোখ ধাঁধানো গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হবে। কিছু কিছু জিনিষ আছে যেগুলো লিখে প্রকাশ করা যায় না। নিজের চোখে দেখে বিশ্বাস করতে হয়। লিনাক্সের ডেক্সটপ কেমন তা দেখতে চাইলে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন (সৌজন্যঃ ব্লগার টেকনো)। আশা করি, এরপর আপনার উইন্ডোজ কে রঙবিহীন একটা খেলনা ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না। এটা দেখুন -
http://www.youtube.com/watch?v=_ImW0-MgR8I
এছাড়াও যারা স্ক্রিনশট দেখতে চান নিচের লিঙ্কটা পরখ করে দেখতে পারেন -
এখানে ক্লিক করুন
আপনার লিনাক্স ডেক্সটপটাকে এমন বানাতে চাইলে ব্লগার রোকনের বাংলায় টিউটোরিয়াল পাবেন এখানে -

সহজিয়া উবুন্টু শিক্ষা ১
সহজিয়া উবুন্টু শিক্ষা ২

অনেকেই বলতে পারেন, "অনেকতো বকলেন, এখন বলেন উইন্ডোজে যেসব সফটওয়্যার পেতাম সেগুলো এখন পাবো কই?"
সমাধান এখানে-
ব্লগার টেকনোর পোস্ট - Windows সফটওয়্যার এর লিনাক্স একুইভালেন্ট/অল্টারনেটিভ শেষপর্ব
সেই সাথে লিনাক্সের নিজস্ব হাজারখানেক সফটওয়্যার পাবেন ইন্সটলের সাথে (ডিস্ট্রিবিউশন ভেদে ভিন্নতা আসতে পারে)।

শেষের কথাঃ
সারা বিশ্বে লিনাক্সের ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চললেও বাংলাদেশে এই গতি খুবই মন্থর। লিনাক্সের শক্তিশালী ক্ষমতার কারণে বাইরে ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবি সকলেই লিনাক্স কে আপন করে নিচ্ছে। ভবিষ্যতের এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে যদি এখনই শিখে নিতে পারেন তাহলে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এছাড়াও ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে লিনাক্স শিক্ষাটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হতে পারে।
লিনাক্সের আগমন আমাদেরকে দিয়েছে ডিজিটাল মুক্তি। আমরা এখন কোন গোষ্ঠির (Microsoft) কাছে জিম্মি নই। যে কেউ চাইলে লিনাক্স কে নিজের মতো করে তৈরী করে নিতে পারে। পরিবর্তন, পরিবর্ধনে বাঁধা নেই। তাই লিনাক্স আজ আমাদের সকলের স্বপ্নের অপারেটিং সিস্টেম, যারা চাই প্রযুক্তি ও মেধাকে বিকশিত করতে, চাই সবার সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে।



সূত্র:

ফেসবুকে ফিল্টারিং

ফেসবুকে এখন কম বেশী সবাই আসক্ত। আমার আসক্তির পরিমানটা বোধহয় একটু বেশী। ফেসবুকে আমার বন্ধুর সংখ্যা ৩০০ এর উপরে। এতো বন্ধু থাকাটা একদিক থেকে সুবিধার আরেকদিক থেকে ঝামেলারও। সুবিধা বলতে অনেকেই অনেক কিছু শেয়ার করে, সেখান থেকে কিছু শিখতে পারি, জানতে পারি, ভালোলাগাটা শেয়ার করা যায়। অসুবিধা বলতে এতো বেশী স্ট্যাটাস আপডেট আসে যে হিজিবিজি হয়ে যায়। প্রিয়জনদের স্ট্যাটাস আপডেট খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়ে।
আগে মাঝে মাঝে ভাবতাম, এমন যদি হতো -

-ক্লোজ ফ্রেন্ডদের স্ট্যাটাস আপডেট একটা গ্রুপে পাবো
-সামুর বন্ধুদের স্ট্যাটাস আপডেট একটা গ্রুপে ক্লিক করে পাবো
-অফিসের কলিগদের স্ট্যাটাস আপডেট একটা গ্রুপে ক্লিক করা মাত্রই পাবো


জিনিষটা ভাগ ভাগ হয়ে গেলে সবার সাথে যোগাযোগটাও যেমন বৃদ্ধি পেতো আবার অনেক অনাকাঙ্খিত জিনিষও ফিল্টার করা যেত !!

আজকে এই ট্রিকটা নিয়েই লিখছি যে, কিভাবে আপনার বন্ধুদের ফিল্টার করবেন তাদের কে না জানিয়েই ! ! !



ধাপ ১:
হোম এ গিয়ে সর্ববামদিকের প্যানেলের নিচে "Create" এ ক্লিক করুন-



ধাপ ২:
গ্রুপটির একটি নাম দিন, যেমনঃ People I care about or Close Friends or Family or Blog Friends etc
ধরুন নামটা People I care about



ধাপ ৩:
এবার বন্ধু সিলেকশনের পালা। এই গ্রুপে কাকে কাকে রাখতে চাচ্ছেন তা নাম টাইপ করে-



অথবা স্ক্রল করে সিলেক্ট করতে থাকুন-



ধাপ ৪:
সিলেকশন করার পর ওকে করে গ্রুপটি তৈরি হয়ে গেল-



ধাপ ৫:
এবার সেই গ্রুপটিকে ড্র্যাগ করে একদম উপরে নিয়ে আসুন-



এখন থেকে People I care about এর নিউজ ফিডগুলো আসা শুরু করবে এবং বাকীগুলো ফিল্টার হয়ে যাবে।

এভাবে নিচের ছবির মতো বিভিন্ন গ্রুপ করে সেইগুলোতে ক্লিক করুন



গ্রুপ অনুযায়ী ফিড পাবেন।

হ্যাপি ফেসবুকিং ! ! !

সূত্র: http://www.somewhereinblog.net/blog/norokerpapiblog/28972781

লিংক, লিংক, চাই আরো ব্যাক-লিংক

সার্চ-ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর একটি হচ্ছে ব্যাক-লিংক বা ইনবাউণ্ড লিংক। একই সাইটের ভেতরের পেইজগুলোর মধ্যে যে আভ্যন্তরীন লিংক থাকে, সেগুলোকে বলে "ইন্টারনাল লিংক"। একটি সাইট থেকে অন্য সাইটের যে লিংক থাকে, সেগুলো হচ্ছে "এক্সটারনাল লিংক" - যা আমাদের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয়।

এক্সটারনাল লিংক আবার কয়েক ধরনের হয়, যেমন - রিসিপ্রোক্যাল লিংক, ওয়ান ওয়ে লিংক ইত্যাদি। ক এবং খ দুটো সাইটের দুটো থেকেই যদি দুটোর সাথে লিংক থাকে, সেটাকে বলে রিসিপ্রোক্যাল লিংক। কিন্তু শুধু মাত্র ক থেকে খ-য়ের দিকে যদি লিংক থাকে এবং খ থেকে ক-য়ের দিকে কোন লিংক না থাকে, তাহলে খ-য়ের জন্য সেটা ওয়ান ওয়ে ব্যাক-লিংক। সাধারনত ব্যাক-লিংক বলতে আমরা এই ওয়ান ওয়ে ব্যাক-লিংককেই বুঝি। সার্চ-ইঞ্জিন অপটিমাইজারদের প্রতিনিয়ত চিন্তা করতে হয় তার সাইটের জন্য কিভাবে এবং কত বেশী পরিমানে ভালো মানের ওয়ান ওয়ে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।

ব্যাক-লিংক কেনো এত গুরুত্বপূর্ণ? সার্চ-ইঞ্জিন যে ফ্যাক্টরগুলোর উপর ভিত্তি করে ঠিক করে যে, কোন একটি বিষয়ের সার্চ-রেজাল্টে কোন সাইটটির নাম আগে দেখাবে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যাক-লিংক। কোন সাইটের যত বেশী ব্যাক-লিংক থাকবে, সেই সাইটটি তত বেশী গুরুত্ব পাবে। প্রতিটি ব্যাক-লিংক একটি করে ভোট হিসেবে গণ্য হবে।

আবার শুধু ব্যাকলিংক হলেই হবে না, সেগুলো হতে হবে অবশ্যই ডু-ফলো - অর্থাৎ সেগুলো সার্চ-ইঞ্জিন ক্রলার দারা ক্রল-যোগ্য হতে হবে। ব্যাক-লিংক যত বেশী মানসম্পন্ন হবে ততই প্লাস পয়েন্ট। মানসম্পন্ন ব্যাক-লিংক কি? লিংক যত বেশী সমবিষয়ের সাইট থেকে আসবে, সেটার মান তত বেশী হবে। আপনার রেসিপি সাইটে কোন একটি খেলার সাইট থেকে আসা ব্যাক-লিংকের চেয়ে অন্য একটি রেসিপি সাইট থেকে আসা লিংকের মান হবে অনেক বেশী।

যে শব্দ বা বাক্যটিতে লিংকটি দেয়া থাকে সেটাকে বলে "এ্যাঙ্কর টেক্সট"। আপনার সাইটে আসা ব্যাক-লিংকটির এ্যাঙ্কর টেক্সটটিতে যদি আপনার সাইটের কি-ওয়ার্ডটি থাকে, সেটার মান তখন আরো বেশী হবে। সার্চ-ইঞ্জিন তখন আরো নিশ্চিত হবে যে আপনার সাইটটি সেই বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ।

মানসম্পন্ন লিংকের আরেকটি গুণ হলো সেটি যে পেইজটি থেকে আসছে সেই পেইজটির পেইজরেঙ্ক। যত উচ্চ মানের পেইজরেঙ্ক থেকে লিংক আসবে, লিংকটির মান ততই বেশী হবে। এছাড়াও .org, .edu, .gov - এই সাইটগুলো থেকে আসা ব্যাক-লিংককে সার্চ-ইঞ্জিন কমার্শিয়াল সাইটগুলোর তুলনায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সুতরাং আপনার সাইটটিকে সার্চ-ইঞ্জিন রেঙ্কিং-এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইলে আপনার টার্গেট হতে হবে - কত বেশী সমবিষয়ের সাইটের কত বেশী পেইজরেঙ্ক সম্পন্ন পেইজ থেকে কত বেশী ব্যাক-লিংক পাওয়া যায়। যত বেশি মানসম্পন্ন ব্যাক-লিংক, তত বেশী সাফল্য। সুতরাং লেগে পড়ুন এখন থেকেই।

সূত্র: http://www.somewhereinblog.net/blog/rawhasan/28989856

লিংক, লিংক, চাই আরো ব্যাক-লিংক

সার্চ-ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর একটি হচ্ছে ব্যাক-লিংক বা ইনবাউণ্ড লিংক। একই সাইটের ভেতরের পেইজগুলোর মধ্যে যে আভ্যন্তরীন লিংক থাকে, সেগুলোকে বলে "ইন্টারনাল লিংক"। একটি সাইট থেকে অন্য সাইটের যে লিংক থাকে, সেগুলো হচ্ছে "এক্সটারনাল লিংক" - যা আমাদের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয়।

এক্সটারনাল লিংক আবার কয়েক ধরনের হয়, যেমন - রিসিপ্রোক্যাল লিংক, ওয়ান ওয়ে লিংক ইত্যাদি। ক এবং খ দুটো সাইটের দুটো থেকেই যদি দুটোর সাথে লিংক থাকে, সেটাকে বলে রিসিপ্রোক্যাল লিংক। কিন্তু শুধু মাত্র ক থেকে খ-য়ের দিকে যদি লিংক থাকে এবং খ থেকে ক-য়ের দিকে কোন লিংক না থাকে, তাহলে খ-য়ের জন্য সেটা ওয়ান ওয়ে ব্যাক-লিংক। সাধারনত ব্যাক-লিংক বলতে আমরা এই ওয়ান ওয়ে ব্যাক-লিংককেই বুঝি। সার্চ-ইঞ্জিন অপটিমাইজারদের প্রতিনিয়ত চিন্তা করতে হয় তার সাইটের জন্য কিভাবে এবং কত বেশী পরিমানে ভালো মানের ওয়ান ওয়ে ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।

ব্যাক-লিংক কেনো এত গুরুত্বপূর্ণ? সার্চ-ইঞ্জিন যে ফ্যাক্টরগুলোর উপর ভিত্তি করে ঠিক করে যে, কোন একটি বিষয়ের সার্চ-রেজাল্টে কোন সাইটটির নাম আগে দেখাবে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যাক-লিংক। কোন সাইটের যত বেশী ব্যাক-লিংক থাকবে, সেই সাইটটি তত বেশী গুরুত্ব পাবে। প্রতিটি ব্যাক-লিংক একটি করে ভোট হিসেবে গণ্য হবে।

আবার শুধু ব্যাকলিংক হলেই হবে না, সেগুলো হতে হবে অবশ্যই ডু-ফলো - অর্থাৎ সেগুলো সার্চ-ইঞ্জিন ক্রলার দারা ক্রল-যোগ্য হতে হবে। ব্যাক-লিংক যত বেশী মানসম্পন্ন হবে ততই প্লাস পয়েন্ট। মানসম্পন্ন ব্যাক-লিংক কি? লিংক যত বেশী সমবিষয়ের সাইট থেকে আসবে, সেটার মান তত বেশী হবে। আপনার রেসিপি সাইটে কোন একটি খেলার সাইট থেকে আসা ব্যাক-লিংকের চেয়ে অন্য একটি রেসিপি সাইট থেকে আসা লিংকের মান হবে অনেক বেশী।

যে শব্দ বা বাক্যটিতে লিংকটি দেয়া থাকে সেটাকে বলে "এ্যাঙ্কর টেক্সট"। আপনার সাইটে আসা ব্যাক-লিংকটির এ্যাঙ্কর টেক্সটটিতে যদি আপনার সাইটের কি-ওয়ার্ডটি থাকে, সেটার মান তখন আরো বেশী হবে। সার্চ-ইঞ্জিন তখন আরো নিশ্চিত হবে যে আপনার সাইটটি সেই বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ।

মানসম্পন্ন লিংকের আরেকটি গুণ হলো সেটি যে পেইজটি থেকে আসছে সেই পেইজটির পেইজরেঙ্ক। যত উচ্চ মানের পেইজরেঙ্ক থেকে লিংক আসবে, লিংকটির মান ততই বেশী হবে। এছাড়াও .org, .edu, .gov - এই সাইটগুলো থেকে আসা ব্যাক-লিংককে সার্চ-ইঞ্জিন কমার্শিয়াল সাইটগুলোর তুলনায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সুতরাং আপনার সাইটটিকে সার্চ-ইঞ্জিন রেঙ্কিং-এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইলে আপনার টার্গেট হতে হবে - কত বেশী সমবিষয়ের সাইটের কত বেশী পেইজরেঙ্ক সম্পন্ন পেইজ থেকে কত বেশী ব্যাক-লিংক পাওয়া যায়। যত বেশি মানসম্পন্ন ব্যাক-লিংক, তত বেশী সাফল্য। সুতরাং লেগে পড়ুন এখন থেকেই।

সূত্র: http://www.somewhereinblog.net/blog/rawhasan/28989856

নামহীন ফোল্ডার তৈরী করুন

এটা খুবই পুরনো টিপস। তারপরেও মজার টিপসটি সবার জন্য দিলাম। সাধারণত আমরা কোন Folder তৈরী করলে তাতে কোন না কোন নাম দিতে হয়। নাহলে Default Name হিসেবে New Folder হিসেবে Save হয়।

নামছাড়া ফোল্ডার তৈরী করতে প্রথমে যে কোন ড্রাইভে একটা ফোল্ডার তৈরী করুন। এখন সাথে সাথেই কী-বোর্ড এ Alt Key চেপে ধরে 0160 চাপুন। এন্টার দিন। দেখবেন নামহীন একটা ফোল্ডার তৈরী হয়ে গেছে। আসলে অল্টার কী এবং ০১৬০ একসাথে চাপলে কম্পিউটারে একটা ASCII Code তৈরী হয় যা Invisible.

উইন্ডোজের হাইবারনেশন


উইন্ডোজ এমই অপারেটিং সিস্টেমে হাইবারনেশন (শীতনিদ্রা) নামে একটি চমৎকার সুবিধা আছে। এ ফিচারটি উইন্ডোজকে বন্ধ করার বা আবার চালু করার (রিস্টার্ট) প্রক্রিয়াকে দ্রুত করেছে। তবে এটি হাইবারনেশনের মূল বৈশিষ্ট্য নয়। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কম্পিউটার বন্ধ বা পুনরায় চালু (রিস্টার্ট) করার সময় ডেস্কটপের সর্বশেষ অবস্থাটি র‌্যাম থেকে হার্ডডিস্ক ড্রাইভে কপি করে রাখে। আর যেহেতু হার্ডডিস্ক র‌্যামের মতো অস্থায়ী তথ্যভান্ডার নয় তাই কম্পিউটার বন্ধ করে দিলেও সর্বশেষ অবস্থার স্নৃতি রয়ে যায় হার্ডডিস্কে। ধরুন, যদি এমএস ওয়ার্ডে কাজ করতে করতে কম্পিউটার বন্ধ (শাট ডাউন) করে দেন, তবে পরেরবার কম্পিউটার চালু করলে ঠিক আগের অবস্থায় দেখতে পাবেন ওয়ার্ডের ফাইলটিকে। এমনকি কার্সরটি পর্যন্ত যেখানে ছিল, সেখান থেকে একচুলও নড়বে না। এই হচ্ছে হাইবারনেশনের ক্যারিশমা!
হাইবারনেশনের সঙ্গেই একটি দারুণ সুবিধা যোগ করেছে মাইক্রোসফট, সেটি হলো বায়োসের সংস্করণ, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও চালক সফটওয়্যারে (ড্রাইভার) শনাক্ত করার ক্ষমতা। ফলে উইন্ডোজ এমই ইনস্টল হওয়ার সময়ই সেটি দেখে নেয় বায়োসের উপাদান বা ড্রাইভার হালনাগাদ করা আছে কি না। পাওয়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সেটি খাপ খাচ্ছে কি না তা-ও দেখে নেয়। ফলে কোনো সমস্যা হলে কম্পিউটার অস্িথতিশীল হয়ে পড়ে না। বরং উইন্ডোজ এমই ইনস্টলেশনের সময় হাইবারনেশন সুবিধাটি নিষ্কিত্র্নয় করে দেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীই তাঁদের শাট ডাউন মেনুতে হাইবারনেশন নামে কোনো কিছু খুঁজে পান না।
তবে একই সঙ্গে পাওয়ার ম্যানেজমেন্টে একটি সমস্যাও রয়ে গেছে। সেটি হলো শাট ডাউন সমস্যা। উইন্ডোজ ৯৮-এর দ্বিতীয় সংস্করণে এ সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল। সমস্যাটির কারণে প্রায়ই দেখা যেত, উইন্ডোজ থেকে কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করার নির্দেশ ঠিকই পাঠানো হয়েছে, তবে সেটা বায়োসে পৌঁছায়নি বা বায়োস তা গ্রহণ করেনি। ফলে কম্পিউটারের কাজ থেমে গেছে বা হ্যাং হয়েছে। আসলে এ সমস্যাটি উইন্ডোজ ৯* সিরিজের সাধারণ সমস্যা, উইন্ডোজ এমইকেও এ সমস্যা থেকে মুক্ত করা যায়নি। সাধারণত ব্র্যান্ড কম্পিউটার এ সমস্যা থেকে মুক্ত। সমস্যা ঘটে যখন ব্যবহারকারীরা নিজে উইন্ডোজ এমই ইনস্টল করেন। মাঝেমধ্যে সেটআপের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট নিষ্কিত্র্নয় করে দিলে এ সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। তবে সব সময় এ বুদ্ধি কাজে দেবে, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।

সূত্র: প্রথম আলো

উইন্ডোজের হাইবারনেশন

উইন্ডোজ এমই অপারেটিং সিস্টেমে হাইবারনেশন (শীতনিদ্রা) নামে একটি চমৎকার সুবিধা আছে। এ ফিচারটি উইন্ডোজকে বন্ধ করার বা আবার চালু করার (রিস্টার্ট) প্রক্রিয়াকে দ্রুত করেছে। তবে এটি হাইবারনেশনের মূল বৈশিষ্ট্য নয়। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কম্পিউটার বন্ধ বা পুনরায় চালু (রিস্টার্ট) করার সময় ডেস্কটপের সর্বশেষ অবস্থাটি র‌্যাম থেকে হার্ডডিস্ক ড্রাইভে কপি করে রাখে। আর যেহেতু হার্ডডিস্ক র‌্যামের মতো অস্থায়ী তথ্যভান্ডার নয় তাই কম্পিউটার বন্ধ করে দিলেও সর্বশেষ অবস্থার স্নৃতি রয়ে যায় হার্ডডিস্কে। ধরুন, যদি এমএস ওয়ার্ডে কাজ করতে করতে কম্পিউটার বন্ধ (শাট ডাউন) করে দেন, তবে পরেরবার কম্পিউটার চালু করলে ঠিক আগের অবস্থায় দেখতে পাবেন ওয়ার্ডের ফাইলটিকে। এমনকি কার্সরটি পর্যন্ত যেখানে ছিল, সেখান থেকে একচুলও নড়বে না। এই হচ্ছে হাইবারনেশনের ক্যারিশমা!
হাইবারনেশনের সঙ্গেই একটি দারুণ সুবিধা যোগ করেছে মাইক্রোসফট, সেটি হলো বায়োসের সংস্করণ, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও চালক সফটওয়্যারে (ড্রাইভার) শনাক্ত করার ক্ষমতা। ফলে উইন্ডোজ এমই ইনস্টল হওয়ার সময়ই সেটি দেখে নেয় বায়োসের উপাদান বা ড্রাইভার হালনাগাদ করা আছে কি না। পাওয়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সেটি খাপ খাচ্ছে কি না তা-ও দেখে নেয়। ফলে কোনো সমস্যা হলে কম্পিউটার অস্িথতিশীল হয়ে পড়ে না। বরং উইন্ডোজ এমই ইনস্টলেশনের সময় হাইবারনেশন সুবিধাটি নিষ্কিত্র্নয় করে দেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীই তাঁদের শাট ডাউন মেনুতে হাইবারনেশন নামে কোনো কিছু খুঁজে পান না।
তবে একই সঙ্গে পাওয়ার ম্যানেজমেন্টে একটি সমস্যাও রয়ে গেছে। সেটি হলো শাট ডাউন সমস্যা। উইন্ডোজ ৯৮-এর দ্বিতীয় সংস্করণে এ সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল। সমস্যাটির কারণে প্রায়ই দেখা যেত, উইন্ডোজ থেকে কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করার নির্দেশ ঠিকই পাঠানো হয়েছে, তবে সেটা বায়োসে পৌঁছায়নি বা বায়োস তা গ্রহণ করেনি। ফলে কম্পিউটারের কাজ থেমে গেছে বা হ্যাং হয়েছে। আসলে এ সমস্যাটি উইন্ডোজ ৯* সিরিজের সাধারণ সমস্যা, উইন্ডোজ এমইকেও এ সমস্যা থেকে মুক্ত করা যায়নি। সাধারণত ব্র্যান্ড কম্পিউটার এ সমস্যা থেকে মুক্ত। সমস্যা ঘটে যখন ব্যবহারকারীরা নিজে উইন্ডোজ এমই ইনস্টল করেন। মাঝেমধ্যে সেটআপের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট নিষ্কিত্র্নয় করে দিলে এ সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। তবে সব সময় এ বুদ্ধি কাজে দেবে, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।

সূত্র: প্রথম আলো

মোবাইল ফোনের জন্য ওয়েবসাইট

ইন্টারনেটে মোবাইল ফোনের সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হয়েছে। হরর ভাইরাস নামের এ সাইটে গেমস, রিংটোন, অ্যানিমেশন, সফটওয়্যার ইত্যাদি ডাউনলোড করা যাবে। এ ছাড়া এই সাইটটিতে রয়েছে চ্যাট, বিনামূল্যে এসএমএস, ফোরাম ইত্যাদি সুবিধা। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা: www.horrorvirus.com।

স্ক্রিন সেভার বন্ধ করা

অনেক সময় কম্পিউটারের কাজ করতে করতে কিছু সময় বিরতি দিলে দেখা যায়, কম্পিউটারের প্রোগ্রাম চলে গিয়ে উইন্ডিজ স্ক্রিন সেভার মনিটরে ভাসে। মাউসে হাত দিলে আবার মনিটরের পাওয়ার ফিরে এসে প্রোগ্রাম চলে আসা যায়। কিন্তু আমরা যদি নিচের ধাপ অনুসরণ করি, তাহলে প্রোগ্রাম চলে যাবে না।
At desktop mouse rt click-properties-screen saver-power-power schemes-turn off monitor-never-apply-ok.।

এ্যাডমিনিস্ট্রেটরের পাসওয়ার্ড খোলা

সাধারণত বাসার কম্পিউটারে একাধিক ইউজার থাকে ফলে লিমিটেড ইউজার ব্যবহার করতে হয় নিরাপত্তার জন্য। লিমিটেড ইউজারে কোন সফটওয়্যার যেমন ইনষ্টল করা যায় না তেমনই অনেককিছুই পরিবর্তন করা যায় না। যদি কোন কারণে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে সেক্ষেত্রে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। হয়তোবা নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল কারারও প্রয়োজন হতে পারে। এমতবস্থায় আপনি যদি লিমিটেড ইউজার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সহজেই লিমিটেড ইউজারের মাধ্যমে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বা নতুন ইউজার খুলতে অথবা বর্তমান লিমিটেড ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য কমান্ড প্রোম্পট খুলে (রানে গিয়ে Crtl+R চেপে cmd লিখে এন্টার করলে) নিজের পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
cd\ লিখে এন্টার করুন,
c: লিখে এন্টার করুন,
cd windows\system32 লিখে এন্টার করুন,
copy logon.scr logon.old লিখে এন্টার করুন,
copy cmd.exe logon.scr লিখে এন্টার করুন,
এছাড়াও সরাসরি উইন্ডোজের সিস্টেম৩২ ফোল্ডারে ঢুকে logon.scr ফাইলকে যেকোন নামে রিনেম করে আবার cmd.exe ফাইলকে logon.scr নামে রিনেম করতে পারেন। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন এবং কম্পিউটার লগঅন না করে অপেক্ষা করুন তাহলে নির্দিষ্ট সময় পরে স্ক্রিনসেভারের ওয়েট টাইম) স্ক্রিনসেভারের পরিবর্তে কমান্ড প্রোম্পট খুলবে। যদি এই পদ্ধতিতে কমান্ড প্রোম্পট না খোলে তাহলে বিকল্প হিসাবে কমান্ড প্রোম্পট খুলে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
cd\ লিখে এন্টার করুন,
c: লিখে এন্টার করুন,
cd windows\system32 লিখে এন্টার করুন,
copy sethc.exe sethc.old লিখে এন্টার করুন,
copy cmd.exe sethc.exe লিখে এন্টার করুন,
এছাড়াও সরাসরি উইন্ডোজের সিস্টেম৩২ ফোল্ডারে ঢুকে sethc.exe ফাইলকে রিনেম করে আবার cmd.exe ফাইলকে sethc.exe নামে রিনেম করুন। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন এবং কম্পিউটার লগঅন না করে শিফট (Shift) কী পাঁচবার চাপুন তাহলে কমান্ড প্রোম্পট খুলবে।
এখন এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে net user administrator 2007 লিখুন তাহলে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়ে ২০০৭ হয়ে যাবে। আর আপনি যদি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে নতুন ইউজার খুলতে চান তাহলে net user rony /add লিখে এন্টার করুন তাহলে rony নামে নতুন একটি ইউজার তৈরী হবে। এবার rony ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করতে হলে net localgroup administrator rony /add লিখুন এবং এন্টার করুন। তাহলে আপনার বর্তমান ইউজার (rony) এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। একইভাবে বর্তমান ব্যবহার করা যে কোন লিমিটেড ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

লগইন করার সময় কমান্ড প্রোম্পট আসেল control userpassword2 লিখে এন্টার করলে ইউজার একাউন্টস আসবে যেখান থেকে সহজেই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা বা ইউজার তৈরী করা যাবে।
আর nusrmgr.cpl লিখে এন্টার করলে ইউজার একাউন্টস ম্যানেজমেন্ট আসবে এবং lusrmgr.msc লিখে এন্টার করলে লোকাল ইউজারস এন্ড গ্রুপ আসবে যেখান থেকেও ইউজার তৈরী বা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যাবে। এছাড়াও কমান্ড প্রোম্পট শুধূ control লিখে এন্টার করলে ইউজার কনট্রোল প্যানেল খোলবে।

সূত্র: http://www.somewhereinblog.net/blog/kfgmanik/28815775

ওয়েবে শিশুর বিকাশের তথ্য


আপনার সন্তান বড় হয়ে মাদার তেরেসা, মাহাথির মোহাম্মদ নাকি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো হবে−সেখানে আপনার ভুমিকা আছে। একটি শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে মস্তিষ্কেকর কোষের সংযোগ স্থাপনের গুরুত্ব সর্বাধিক। গবেষণা থেকে জানা যায়, একটি শিশুর জন্েনর সময় মস্তিষ্কেক ১০০ বিলিয়ন কোষ (নিউরন) থাকে। এককভাবে একটি কোষ অন্য প্রায় ১৫ হাজার কোষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে। শিশুর বয়স আট বছরের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ কোষের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়। কোষের সংযোগ থেকেই শিশুর শারীরিক, সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সৃজনশীলতা ও আবেগীয় যে বিকাশ সব কিছুই এ সময়ে সম্পন্ন হয়। আর মস্তিষ্কেকর বিকাশ শৈশবে না হলে আর কখনোই বিকশিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। যে কারণে শিশুর শুন্য থেকে আট বছর পর্যন্ত বয়সকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়কালকে প্রারম্ভিক শৈশব বিকাশ বা সংক্ষেপে ইসিডি বলে। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে শিশুর বিকাশে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। এ জন্য প্রতিটি শিশুর বাবা-মা ও সন্তান লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ইসিডি সম্পর্কে জানা দরকার।
বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইসিডি কার্যক্রম চলছে। দেশে ইসিডি কার্যক্রম পরিচালনা করে, এমন সরকারি ও বেসরকারি ২০০ প্রতিষ্ঠান মিলে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক (বিইএন) নামে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট www.ecd-bangladesh.net থেকে ইসিডি সম্পর্কে দরকারি অনেক কিছুই জানার সুযোগ রয়েছে।
ওয়েবসাইটের একটি লক্ষণীয় ভালো দিক হলো এর একটি সাইটম্যাপ রয়েছে। সেখান থেকে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটিতে মোট ১৬টি বিষয়ে তথ্য রয়েছে। যদিও বা পাশের প্যানেলে আপনি ১৮টি বোতাম পাবেন। এখানে থাকা বেশির ভাগ তথ্য যাঁরা ইসিডি নিয়ে কাজ করছেন কিংবা ভবিষ্যতে কাজ করতে চান তাঁদের কাজে লাগবে।
তবে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে উপকৃত হওয়ার মতো তথ্যও এখানে দেওয়া হয়েছে। যেমন: ইসিডি রিসোর্সেস শিরোনামের বোতামে ক্লিক করে আপনি ইসিডি-বিষয়ক প্রকাশনা রয়েছে এমন অনেকগুলো সংস্থার তালিকা পাবেন। শিশুর বিকাশ সহায়ক বইয়ের প্রচ্ছদসহ বইয়ের তালিকা এখানে পাওয়া যাবে। তবে এখান থেকে কোনো বই ডাউনলোড করা যাবে না। বাংলা ভাষায় লেখা এই বইগুলো পিডিএফ আকারে দেওয়া থাকলে ও ডাউনলোড করা গেলে সবাই উপকৃত হতে পারতেন। বইয়ের প্রকাশকের নাম পাতার শুরুতে দেওয়া থাকলেও যোগাযোগের কোনো ঠিকানা দেওয়া নেই। কিংবা বইগুলো যাঁরা সংগ্রহ করতে আগ্রহী তাঁরা কীভাবে সেটি করবেন তারও কোনো নির্দেশনা নেই।
এই ওয়েবসাইটের একটি বড় দুর্বলতা হলো এর কোনো বাংলা সংস্করণ নেই। বলা হয়, বাংলাদেশে ইসিডি কার্যক্রম বাস্তবায়নের বড় বাধা আমাদের দেশের বেশির ভাগ বাবা-মা স্বল্পশিক্ষিত এবং তাঁরা শিশু যত্নের বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানেন না। তাঁদের জানাতে হলে সবকিছুই বাংলায় হওয়া আবশ্যক।
এর রিসার্চ হাইলাইটস বিভাগে ইসিডি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। যার অনেক কিছুই তৃণমূলে কর্মরতদের কাজে লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রেও কিছু কিছু ডকুমেন্টের বাংলা সংস্করণ এখানে থাকা দরকার। যেমন : ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শৈশব উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত শিশুর বিকাশে গণিত কার্যক্রমের কার্যকারিতা শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধগুলোর বাংলা সংস্করণ থাকা দরকার। ‘সাকসেস স্টোরিজ’ বোতামের অধীন একটিমাত্র সফলতার গল্প দেওয়া আছে, যা একেবারেই অপ্রতুল।
ওয়েবসাইটের ‘একাডেমি কোর্স’ বোতাম থেকে জানা যায়, ইসিডি সম্পর্কিত নানা ধরনের কোর্স ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আয়োজন করে থাকে।
এই ওয়েবসাইটের একটি শক্তিশালী দিক হলো, এতে ইসিডি বিষয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানাসহ একটি তালিকা ‘এক্সপার্টস’ বোতামের অধীন উল্লেখ করা হয়েছে। এই সাইটটি তো বটেই শিশুর বিকাশের দরকারি তথ্যসমৃদ্ধ আরও ওয়েবসাইট বাংলা ভাষায় থাকা উচিত।
ই-মেইল: gnabi1969@yahoo.com

ল্যাপটপের সাধারণ যত্ন

# ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে, যেন কোনোভাবেই এটি হাত থেকে মাটিতে বা শক্ত কোনো স্থানে পড়ে না যায়। কেননা, একটু বাড়তি চাপ লাগলেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ল্যাপটপের এলসিডি মনিটর। আর এ ক্ষেত্রে কোনো রকম বিক্রয়োত্তর সেবাও পাওয়া যাবে না। লক্ষ রাখতে হবে, ল্যাপটপের ওপর ভারী কিছুর চাপ যেন না পড়ে।
# এলসিডি মনিটরে ধুলা জমলে বা ময়লা হলে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে পারেন। শক্ত কোনো কাপড় ব্যবহার না করাই ভালো।
# যাঁরা ল্যাপটপে মাউস ব্যবহার করেন, তাঁরা অনেক সময় মনের ভুলে কি-বোর্ডের ওপর মাউস রেখেই ল্যাপটপ বন্ধ করে দিতে যান। এ ক্ষেত্রে ল্যাপটপের পর্দায় চাপ পড়লে তা মুহুর্তেই অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
# ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় লক্ষ রাখতে হবে এর পেছনে, ভেতরের গরম বাতাস বের করার জন্য যে পাখাটি কাজ করে, তার সামনে যেন কোনো বাধা না থাকে।
# ল্যাপটপ কেনার পরপরই ব্যবহার করার আগে কমপক্ষে আট ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে চার্জ দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সাধারণত ব্যাটারি পরে আর কোনো সময়েই তার পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না।
# শুধু ব্যাটারির সাহায্যে (বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকা অবস্থায়) ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ চার্জ বাকি থাকতেই বন্ধ করা ভালো।
# ল্যাপটপের কি-বোর্ড তরল নিরোধ (স্পিল প্রুফ) না হলে ব্যবহারের সময় যাতে কি-বোর্ডে কোনো তরল পদার্থ না পড়ে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
# ল্যাপটপে সব সময় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে এবং তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
# পেনড্রাইভ, বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ইত্যাদি ব্যবহারের আগে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে পরীক্ষা (স্ক্যান) ও পরিষ্ককার (ক্লিন) করে নিতে হবে।
# ল্যাপটপের সঙ্গে সাধারণত নিবন্ধিত (লাইসেন্স) অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যায়। অপারেটিং সিস্টেমটি মাঝেমধ্যে হালনাগাদ করা উচিত।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

আপনি কি ল্যাপটপ কিনছেন?


বিশাল বাক্স-পেঁটরা আর ঘর ভরা যন্ত্রপাতি নিয়ে শুরু হয়েছিল কম্পিউটারের পথচলা। ছোট হতে হতে সেই কম্পিউটার এখন আপনার হাতব্যাগে। কোনোটা আবার হাতের মুঠোয়। বহনযোগ্য কম্পিউটার এখন যেমন কাজের, তেমনি এটা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের প্রতীক। কোলে রেখেকাজ করা যায় বলে এর নাম ল্যাপটপ কম্পিউটার। আমাদের দেশে করপোরেট কর্মকর্তা, ব্যস্ত নির্বাহীর পাশাপাশি তরুণ প্রজন্েনর হাতে চলে এসেছে ল্যাপটপ কম্পিউটার।আর এ ধারা শুরু হয়েছে বছর তিন-চারেক আগে থেকে । প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, দেশে এখন কম্পিউটার ক্রেতাদের মধ্যে ২০ শতাংশই ল্যাপটপ কিনছে। সারা বিশ্বে এই হার প্রায় ৬০ শতাংশ। ল্যাপটপ বিক্রেতা ও আমদানিকারকদের হিসাবে, আগামী বছর নাগাদ দেশের কম্পিউটার ক্রেতাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই ল্যাপটপ কিনবে। কেননা, ডেস্কটপ আর ল্যাপটপের দামের পার্থক্য এখন আর খুব একটা বেশি নয়।

কাদের জন্য ল্যাপটপ
শিক্ষার্থীই হোক বা কর্মজীবী, বাড়িতে বা অফিসে কম্পিউটার তো এখন লাগেই। তবে কথা হলো, কী ধরনের কম্পিউটার আপনার প্রয়োজন−ডেস্কটপ না ল্যাপটপ! নিজের প্রয়োজন না বুঝে হুট করে কম্পিউটার কিনে ফেললে পরে আফসোস হতে পারে। তার চেয়ে আগে থেকে জেনে-বুঝে কম্পিউটার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়াই ভালো। এমনটাই মনে করেন, রায়ানস আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান। তিনি আরও জানান, কেবল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে চাইলে কোনো ব্যক্তির প্রথম কম্পিউটারটি ল্যাপটপই হওয়া উচিত। শুধু ছবি দেখা, গান শোনা, কম্পিউটারে লেখালেখি বা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য হলে, ল্যাপটপই যথেষ্ট। আর যদি আপনার আগ্রহ থাকে গ্রাফিকস ডিজাইন বা গেম খেলার দিকে তবে ডেস্কটপই ভালো। কেননা, ডেস্কটপে আপনি প্রয়োজনমতো যন্ত্রাংশ সংযোজন, বিয়োজন করতে পারবেন। অন্যদিকে ল্যাপটপে শুধু র‌্যাম ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভ বাড়ানোর সুযোগ থাকে। প্রায় একই ধরনের পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশে এসারের ব্যবসায়িক অংশীদার এক্সিকিউটিভ টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকলেছুর রহমান। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করলেন, দেশে চলে এসেছে ওয়াইম্যাক্সের মতো দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি। করপোরেট অফিসের বড় কর্মকর্তা বা সাধারণ শিক্ষার্থী−এখন সবারই প্রয়োজন বিশ্বের সঙ্গে সব সময় যুক্ত থাকা। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা গেলেও চাহিদার কতটুকুই বা মোবাইল ফোনের ছোট পর্দা পূরণ করতে পারে? আর সে কথা মাথায় রেখেই ল্যাপটপ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে ছাড়ছে শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের অপেক্ষাকৃত কম দামের এবং ওজনে হালকা ল্যাপটপ কম্পিউটার। যাকে বলা হচ্ছে নেটবুক। তবে এখন দেশে গ্রাফিকসের মতো বড় বড় কাজের উপযোগী ল্যাপটপও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।
আসুস ও ডেল ল্যাপটপ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রা. লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আনোয়ার জানান, ল্যাপটপের এই ছোট্ট সংস্করণকে আমরা বলছি সেকেন্ড পিসি বা দ্বিতীয় কম্পিউটার। ধরুন, আপনার একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার আছে। অপেক্ষাকৃত ভারী এই কম্পিউটার আপনার সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ছোটখাটো কাজ ও যোগাযোগ রক্ষার জন্য আপনার প্রয়োজন নেটবুক বা ছোট্ট ল্যাপটপ।
বর্তমান বাজারে নোটবুক আর নেটবুক এই দুটি নামে বহনযোগ্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে। নোটবুক আসলে পূর্ণাঙ্গ ল্যাপটপ কম্পিউটারের নামান্তর মাত্র।

ল্যাপটপ কেনার আগে
আসছে ঈদ। অনেকেই ঈদ বোনাসের টাকা দিয়ে ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন। তবে কেনার আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। ল্যাপটপ কেনার আগেই কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখলে ভবিষ্যতে নিজের জন্যই ভালো হবে।এ বিষয়ে এইচপি, ফুজিৎসু ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কম্পিউটার বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্সের পরিচালক মুহিবুল হাসান জানান, ল্যাপটপ কেনার আগেই ভালোভাবে আপনার নিজের প্রয়োজনটি বুঝে নেওয়া উচিত। আপনার প্রয়োজন যদি হয় শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার, তাহলে ছোট্ট ল্যাপটপ বা নেটবুকই যথেষ্ট।
যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে
"" যে ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনবেন, তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিন।
"" আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ল্যাপটপের বিভিন্ন রেটিং হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে পারেন।
"" বিক্রয়োত্তর সেবা কেমন এবং ল্যাপটপ আমদানিকারকের বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো আছে কি না, খোঁজ নিন।
"" কী কী সমস্যা হলে বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে আর কোন কোন সমস্যায় পাওয়া যাবে না, তা আগেই জেনে নিন।
"" অপারেটিং সিস্টেম নিবন্ধিত (লাইসেন্স) কি না, তা জেনে নিন।
"" কেনার আগে ল্যাপটপটির ব্যাটারির মান কেমন, তা জেনে নিন।
"" বিক্রেতার কাছ থেকে জেনে নিন ল্যাপটপের র‌্যাম ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভ কতটুকু বাড়ানো যাবে।
"" প্রসেসরের গতির দিকে লক্ষ রাখুন।
"" ইন্টারনেট ব্যবহার ও যোগাযোগপ্রযুক্তির সর্বশেষ সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে কি না, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
"" ব্যাটারি, অ্যাডাপ্টর, ব্যাগসহ ল্যাপটপটির মোট ওজন কত তা জেনে বুঝে নিন।

বাজার ঘুরে
দেশের বাজারে আসছে নিত্যনতুন মডেলের ল্যাপটপ কম্পিউটার। এর মধ্যে সাত ইঞ্চি মনিটরের ২০ হাজার ৫০০ টাকা দামের আসুসের ই-পিসি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ১৫ ইঞ্চি মনিটরের এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা দামের অ্যাপল ম্যাক বুক প্রোর মতো ল্যাপটপ। নিচে বিভিন্ন দামের কিছু ল্যাপটপের খোঁজ দেওয়া হলো।
৪০ হাজার টাকার নিচে
বর্তমান বাজারে ৪০ হাজার টাকার নিচে যেসব ল্যাপটপ পাওয়া যায়, তার মধ্যে বিভিন্ন মান ও আকারের ল্যাপটপ রয়েছে। বিভিন্ন আকারের নেটবুকও পাবেন এই দামে।
এসার ১০.১ ইঞ্চি মনিটরের ছোট্ট নেটবুক ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা; ১১.৬ ইঞ্চির নেটবুক দাম ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা; ডেল ২১০০ নেটবুক ৩৫ হাজার টাকা; এইচপি মিনি ১১০১০০৬টিউ ৩৩ হাজার টাকা; লেনোভো আইডিয়া প্যাড এস১০ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা; আসুস: কে৪০ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা; ফুজিৎসু এম১০১০ ৩৫ হাজার টাকা; বেনকিউ ইউ১০১ ৩৩ হাজার টাকা; তোশিবা: এনবি২০০-এ১০১ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা; হ্যাসি এফইউ৪০০ ৩৮ হাজার টাকা; পশবুক ১০২ মডেল ২৭ হাজার টাকা এবং প্রোলিংক ২২ হাজার টাকা।
৪১ থেকে ৫৯ হাজার টাকা
এই দামের মধ্যে ভালো মানের পূর্ণাঙ্গ ল্যাপটপ কম্পিউটার পাওয়া যাবে। এইচপি ৫৪০ ৪৬ হাজার টাকা; কমপ্যাক সিকিউ৪৫ ৪০২টিইউ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা; এসার: অ্যাস্পায়ার ৪৭৩৬জেড ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা; ৫৮১০টি ৬৯ হাজার ৮০০ টাকা; তোশিবা স্যাটেলাইট এল৩০০-এস৫০২ ৪৯ হাজার টাকা; এল৩১০-এস৪০৮ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা; লেনোভো ৩০০০জি৪৩০ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা; আইডিয়া প্যাড ওয়াই৩৩০ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা; ফুজিৎসু লাইফবুক এস৭২১১ ৫৫ হাজার টাকা; এল১০১০ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা; ডেল ভস্ট্রো এ৮৬০ ৫৫ হাজার টাকা; ডেল ১৫১০ ৫৯ হাজার টাকা; আসুস: এফ৮২কিউ-টি৪২০০ ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা এবং কে৪০আইজে টি৬৫০০ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা।
৬০ থেকে ৯৯ হাজার টাকা
অ্যাপল ম্যাকবুক হোয়াইট ৯০ হাজার টাকা; এ১১৮১ (অ্যালুমিনিয়াম) ৯৯ হাজার টাকা; এইচপি কমপ্যাক প্রোসেরিও সিকিউ২০ ১২২টিইউ ৭২ হাজার টাকা; প্যাভিলিয়ন টিএক্স২ ১০১১এইউ ৯৫ হাজার টাকা; এসার: অ্যাস্পায়ার ২৯৩০ ৬২ হাজার ৮০০ টাকা; ৫৮১০টি ৬৯ হাজার ৮০০ টাকা; আসুস এফ৬এটি৬৫০০ ৬৫ হাজার টাকা; ইউ৬ভিপি৭৩৫০ ৯৮ হাজার টাকা; তোশিবা স্যাটেলাইট এম৩০০পি৪০৬ ৬০ হাজার টাকা; এম১০ এস৪৫০ ৮৫ হাজার টাকা; লেনোভো: ৩০০০ জি২৩০ ৬৩ হাজার টাকা; ফুজিৎসু লাইফবুক এ১১১০ ৬১ হাজার টাকা; এস৬৪২০ ৯৮ হাজার টাকা; ডেল ভস্ট্রো১৫২০ ৬৫ হাজার টাকা এবং ই৬৫০০এন ৯১ হাজার টাকা।
এক লাখ টাকার বেশি
এইচপি কমপ্যাক ২৫১০পি এক লাখ ২০ হাজার টাকা; ফুজিৎসু লাইফবুক ই৮৪২০ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা; কিউ২০১০ এক লাখ ৯৯ হাজার টাকা; ডেল ল্যাটিচুড ই৬৪০০ এক লাখ তিন হাজার টাকা এবং ই৪৩০০ এক লাখ ৩২ হাজার টাকা। অ্যাপল ম্যাকবুক দি অ্যালুমিনিয়াম এক লাখ ২০ হাজার টাকা; ম্যাকবুক এয়ার এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা; ম্যাকবুক প্রো (১৫ ইঞ্চি) এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
সনি ভায়ো ভিজিএন-জেড২৫ এক লাখ ১৫ হাজার টাকা; সিএস-৩৬ এক লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং জেড-৪৬ এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।

ল্যাপটপে যোগাযোগ ও নিরাপত্তা
ল্যাপটপ কম্পিউটারে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বিভিন্ন ল্যাপটপে এখন আঙ্গুলের ছাপ শণাক্ত করার প্রযুক্তি দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এতে আপনার কম্পিউটার চালু করতে হলে আপনার আঙুলের ছাপ লাগবে।এ ছাড়াও আছে চেহারা শণাক্ত করার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে ল্যাপটপ চালু করার আগে ওয়েবক্যামের সাহায্যে ল্যাপটপ আপনার ছবি তুলে তা আগে থেকেই সংরক্ষিত ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। যোগাযোগের জন্য ল্যাপটপের জনপ্রিয় প্রযুক্তিগুলো হলো লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান), ওয়েবক্যাম, ব্লুটুথ, তারহীন ওয়াইফাই ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৯

ব্লগস্পটের পোষ্ট বাংলায়

ব্লগস্পটে অনেক সময় বাংলা পোষ্ট দিলে তা ভালো দেখা যায় না। এর জন্য ব্লগস্পটের ডিফল্ট ফ্ন্ট সিস্টেম দায়ী। আপনি এটাকে বাংলা উপযোগী করতে পারেন।
প্রথমে আপনাকে যেতে ব্লগারের Edit HTML এ।
Dashboard --> Layout --> Edit HTML।
এখন খুজে বের করুন এই লাইনটি,

<\Variable name="bodyfont" description="Text Font" type="font" default="normal normal 100% Georgia, Serif" value="normal normal 100% Georgia, Serif">

এখানে দেখুন লিখা আছে ২টি ফন্টের নাম। Georgia, Serif এর জায়গায় লিখুন SolaimanLipi। ২বারই পরিবর্তন করুন। লাইনটির পরিবর্তিত রুপ হবে এইরকম,

<\Variable name="bodyfont" description="Text Font" type="font" default="normal normal 100% SolaimanLipi" value="normal normal 110% SolaimanLipi">


এখন Save Template এ ক্লিক করে বের হয়ে যান।
দেখুন আপনার ব্লগস্পটে বাংলা পোষ্ট কত সুন্দর দেখাচ্ছে।
আর হ্যা, SolaimanLipi ফন্টটি কিন্তু সিস্টেমে থাকতে হবে।

পিডিএফ ডাউনলোড

Rapidshare থেকে ডাউনলোড করার সবচাইতে সহজ পদ্ধতি


আপনার কাজ হচ্ছে শুধু মাত্র লিঙ্ক কপি করা আর বাকী কাজ করবে Universal Share Downloader। এটাই সত্যি! Rapidshare, MegaUpload এই ধরনের সাইট থেকে ডাউনলোড করার জন্য সত্যিই দারুন এক ডাউনলোড ম্যানেজার এটি। এটি একটি রাশিয়ান প্রোগ্রামারদের ডেভেলপ করা প্রোগ্রাম। এর মূল সাইটটাও রাশিয়ান ভাষায়। তাই সরাসরি ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। ডাউনলোড শেষ হয়ে গেলে USDownloader135 জিপ ফাইলটাকে আনজিপ করুন। আনজিপ করা ফোল্ডার থেকে USDownloader প্রোগ্রামটি চালু করুন। প্রথমবার ভাষা নির্বাচন করতে বলবে। English সিলেক্ট করে OK দিন। Options(বাম দিক থেকে ৫ম বাটন) -> Main -> Watch clipboard for links এ টিক চিহ্ন দিন। Apply -> OK দিন।

এবার আপনার কাজ হবে শুধু মাত্র Rapidshare এর লিঙ্ক কপি করা। Rapidshare এর যে কোন লিঙ্ক কপি করা মাত্র সফটওয়্যারটি চালু থাকলে সয়ংক্রিয়ভাবে সেটা নিয়ে নিবে। না নিলে Paste Links from clipboard(বাম দিক থেকে ২য় বাটন) এ ক্লিক করে এড করে দিন। এরপর খালি মজা দেখুন, কিভাবে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই যে কোন Rapidshare ফাইল ডাউনলোড হয়। ডাউনলোড করা ফাইল টি আপনি পাবেন c:\Downloads\ ফোল্ডারে। ইচ্ছা করলে আপনি এটা চেঞ্জ করে নিতে পারেন, Options(বাম দিক থেকে ৫ম বাটন) -> Misc -> Default Download Folder এ গিয়ে।

ডাউনলোড লিংক-১ ডাউনলোড লিংক-২

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Buy Coupons