বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

রেজিস্ট্রি এডিটর সম্পর্কে জেনে নিই



রেজিস্ট্রি উইন্ডোজের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। উইন্ডোজের প্রতিটি কাজ, সেটিংস, সংযোন, বিয়োজন বা যে কোন ধরনের পরিবর্তন হলে তা রেজিস্ট্রিতে সেভ হয় এবং সে মতে উইন্ডোজ চলে। তাই  কোন ধরনের ভুল এন্ট্রি হলে উইন্ডোজ ঝামেলা করে। রেজিস্ট্রি সেটিংস পরিবর্তন করে উইন্ডোজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যায়। উইন্ডোজের এমন অনেক কাজ আছে যা রেজিস্ট্রি সেটিংস পরিবর্তন না করে করা যায় না। ভাইরাস এ রেজিস্ট্রি সেটিংস পরিবর্তন করে কম্পিউটারে নানা ঝামেলা তৈরি করে থাকে। তাই রেজিস্ট্রি ফাইল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী।


রেজিস্ট্রির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
Start Menu থেকে Run এ যান। regedit লেখে এন্টার চাপুন। আপনার সামনে রেজিস্ট্রি উইন্ডো অপেন হয়ে গেছে। ওখানে বাম পাশে পাঁচটা মেন্যু আছে। এগুলোকে Registry Key বলা হয়ে থাকে। ওগুলোর অধীনে অনেকগুলো Sub Menu আছে। এগুলোকে subkey বলে। এই subkey গুলোর অধীনে আবার অনেকগুলো subkey রয়েছে। Registry Key গুলোর সাথে সিস্টেম ফোল্ডারগুলোর মিল আছে। নিচের চিত্র আর বর্ণনাটি পড়লে তা আরো পরিষ্কার হবে। Registry Key গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নিই।

১। HKEY_CURRENT_USER:
এটি কম ব্যবহৃত হয়। একটা উইন্ডোজে অনেকগুলো ইউজার একান্ট থাকতে পারে। যতটা ইউজার থাকে C: (সিস্টেম ড্রাইভ) ড্রাইভে সেই নামে ততটা প্রোফাইলও থাকে। এখানে বর্তমানে লগ-অন করা ইউজারের ফোল্ডার সেটিংস, স্ক্রীন কালার সেটিংস, কন্ট্রোল প্যানেল সেটিংস ইত্যাদি জমা থাকে যা উউজারের প্রোপাইলে সংরক্ষিত থাকে। এখানকার কোন সেটিংস অন্য ইউজারদের সেটিংস পরিবর্তন করবে না। এটিকে সংক্ষেপে “HKCU” বলা হয়ে থাকে।

২। HKEY_USERS:
এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত Registry Key। উইন্ডোজে যত লগ-অন করা ইউজার একাউন্ট থাকে এখানে তাদের সেটিংসগুলো জমা থাকে। সুতরাং এখানে কোন পরিবর্তন করলে যত একটিভ একাউন্ট আছে সবাই ঐ সেটিংসটা পাবে। বাদ যাবে ইনএকটিভ একাউন্টগুলো HKEY_CURRENT_USER কে HKEY_USERS এর subkey বলা যায়। এটিকে সংক্ষেপে "HKU." বলা হয়ে থাকে।

৩। HKEY_LOCAL_MACHINE:
এটিও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত Registry Key। উইন্ডোজে সকল একটিভ-ইনএকটিভ ইউজারদের জন্য এটি কাজ করে। এখানে কোন পরিবর্তন সকল ইউজারদের সেটিংস পরিবর্তন করে দেবে। তাই যদি কোন নির্দিষ্ট ইউজারের জন্য সেটিংস পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় তাহলে এখানে না করাটাই ভাল। এটিকে সংক্ষেপে "HKLM" বলা হয়ে থাকে।

৪। HKEY_CLASSES_ROOT:
এটি HKEY_LOCAL_MACHINE\Software এর একটি subkey। এটি কম ব্যবহৃত হয়। এটাতে প্রোগ্রাম ইন্সটল/আনইন্সটলের তথ্য জমা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন ফাইলের associations and program classes ইউজার ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আপনি যখন কোন ফাইলের উপর ডাবল ক্লিক করেন তখন এটি একটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে অপেন হয়। আবার অন্য ইউজারের বেলায় অন্য প্রোগ্রাম দিয়ে তা খুলতে পারে। এই সেটিংসগুলো এখানে থাকে। এটিকে সংক্ষেপে " HKCR" বলা হয়ে থাকে।

৫। HKEY_CURRENT_CONFIG:
এখানে hardware profile এর তথ্য থাকে যেটা system startup এর সময় কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। যেমন VGA, Sound, Chipset, Printer ইত্যাদি। এটির সাথে অনেকটা Device Manager এর সাথে সম্পর্ক। এখানে অনভিজ্ঞদের প্রবেশটা একটা প্রকার ঝঁকিপূর্ণ।


এই গেল Registry Key স্পর্কে আলোচনা। উপরে বর্ণিত Registry Key গুলোর মধ্যে  HKEY_CURRENT_USER আর HKEY_LOCAL_MACHINE এ দুটি Key খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বেশিরভাগ সেটিংসই এখানে অবস্থান করে।
রেজিস্ট্রি ফাইলের ডানপাশের মেন্যুতে তিনটা কলাম থাকে। ১মটা হল Value Name, ২য়টা হল Value Type, ৩য়টা হল Value Data। এগুলো Data Name, Data Type, Data Value হিসাবেও পরিচিত। সংক্ষেপে  Name, Type, Data বলা হয়। এখানে আমরা এডিট করি ৩য় নাম্বার অর্থাৎ Value Data। 
Data Value গুলোর মান বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন YES, NO, 0,1। এরকম আরো বিভিন্ন Data থাকতে পারে। YES আর 1 মানে হল হ্যাঁ। অর্থাৎ আপনি যে Data ValueYES, 1 দেবেন সেটি এনাবল হবে বা কাজ করবে। আর NO এবং 0 মানে হল না। আপনি যে Data ValueNO, 0 দেবেন সেটি ডিজেবল হবে বা কাজ করবে না। তবে মনে রাখবেন-যেখানে ভেল্যু হিসেব অংখ্য সংখ্যা (0,1) আছে সেখানে YES, NO মান দেয়া যাবে না।
রেজিস্ট্রি সম্পর্কে আরো অনেক পড়ালেখা আছে। আপাতত আমার সীমিত জ্ঞান নিয়ে এতটুকু।

0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Buy Coupons