মানুষ মাত্রই ভুল কিন্তু তারপরও আপনি যদি সর্তকভাবে কাজ করেন তবে এ ভুলের মাত্রা অনেক তো কমে যাবেই বরং না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি থাকবে। ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ারে যারা নতুন মূলত তাদের জন্যই আমার এ লেখা।
যে কোন ক্যারিয়ারেই আপনাকে আপনার প্রফেশনালিজম ধরে রাখতে হবে যদি আপনি তা না পারেন তবে তা আপনার ক্যারিয়ারের জন্যই ক্ষতিকর। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অনেক সময় অনেক কিছু করি কিন্তু সতর্কভাবে করি না। ফলাফল হিতে বিপরীত হয়। সুতরাং সতর্কভাবে কাজ করুন এবং ক্যারিয়ারে সফল হন।
নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন:
১. ক্লায়েন্টের সাথে যখন কথোপকথোন করবেন সবসময় খেয়াল রাখবেন যে ক্লায়েন্টের নামের বানান যেনো ভুল না হয়। ইমেইল করার সময় এ ব্যাপারে আরো বেশি নজর দেওয়া উচিত। এই ভুলটা দেখতে ছোট হলেও খুব বড় ধরনের ভুল। কারণ যারা ছোট ছোট বিষয়ে ভুল করে তারাই বড় ধরনের ভুল করে । মানুষের একটা স্বভাব হল কেউ যদি তার নাম বিকৃত করে এটা সে পছন্দ করে না সুতরাং কখনই ক্লায়েন্টের নামের বানান ভুল করবেন না।
২. নিজের নাম লেখার সময় বানান ভুল করবেন না, অনেকই আছে অতি দ্রুত লিখতে গিয়ে এ ধরনের কাজ করে ফেলে।
৩. আমার পরিচিত একজন ছিল যে তার নামের নিচে বিশাল বিশাল টাইটেল লিখত যেমন CEO of … Company, CTO of …..another company, Head …. of IT, Designer…. Developer এবং আরো অনেক কিছু। এটা নিজেকে বোতল প্রমান করার একটা নমুনা মাত্র। শুধু আপনার নাম লিখুন এবং নিচে একটি মাত্র টাইটেল লিখুন যেমন Software Engineer অথবা Designer এরকম। এতটুকুই যথেষ্ট। টাইটেল লাগালেই কিছু অর্জন করা যায় না বরং কাজ দিয়েই অর্জন করতে হয়।
৪. অবশ্যই গ্রামার এবং বানানের দিকে নজর দিবেন। ইংরেজী যদি ভালো না পারেন তবে ভালভাবে শিখুন এবং অবশ্যই ব্রাউজারে একটা ডিকশনারি ইন্সটল করে রাখুন। এতে বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। আপনি কি লিখছেন এটা যদি ক্লায়েন্ট বুঝতেই না পারে অথবা ভুল বোঝে তাহলে আপনার জন্যই বিপদ, কারণ ক্লায়েন্টের হাতেই রয়েছে আপনার ফিডব্যাক দেওয়ার চাবি।
৫. নেগেটিভ কথা বলার পরিবর্তে পজিটিভ কথা বলার অভ্যাস করুন। ধরুন আপনি হয়তো বলতে চাইতেছেন “এই কাজটা করার দরকার নাই”। এটা না বলে বলুন “এই কাজটা যদি আমরা এভাবে করি তাহলে অনেক ভালো হবে”।এতে ক্লায়েন্ট আপনার উপর খুশি হবে।
৬. টেক্সট চ্যাটে আমরা অনেকেই শর্ট ভাবে অনেক কিছু লিখে থাকি যা কখনই ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার সময় করবেন না। যেমন আমরা হয়তো লিখে থাকি U এটা না লিখে লিখুন You
৭. অতিরিক্ত বকবক না করে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলুন। ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি টুইটার এপিআই নিয়ে কাজ করছ কিনা? তাহলে আপনি এ বিষয়ে কথা বলুন অথবা এর সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়ে কথা বলুন। কিন্তু আপনি যদি বলেন আমি টুইটার না জুমলা নিয়া অনেক কাজ করছি তাহলে ব্যাপারটা খুবই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে দাড়ায়।
৮. প্রজেক্ট ডেডলাইনের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ক্লায়েন্টকে যদি কথা দিয়ে থাকেন ২০ তারিখের মধ্যে কাজ করে দিবেন তবে যেকোন ভাবেই হোক সেটা সম্পন্ন করুন। অন্যথায় ক্লায়েন্ট আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবে।
৯. আমরা সবাই কাজ করি টাকা আয়ের জন্য তাইনা। কেউ কাজ করে ভালবেসে কেউ করে বাধ্য হয়ে। কিন্তু কাজ করার পর যদি টাকাই না পান তাহলে কেমন লাগতে পারে একবার ভাবুন। সুতরাং একজন নতুন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার আগে যতভাবে পারুন তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন, যাতে কখনই খারাপ ক্লায়েন্টের হাতে পরতে না হয়।
একটি মন্তব্য
আমি ক্লায়েন্টের নাম কখনই ভুল করিনা কিন্তু ক্লায়েন্ট আমার নামে প্রায়ই ভুল করে। (বিরক্তিকর)
ক্লায়েন্ট যে কাজগুলো বাড়িয়েছে সেগুলো কিছু না বলেই করে ফেললে সেটা ভাল ফল দেয় কারন চেঞ্জ করতে বলার সময়ও তার একটা মানষিক চাপ থাকে কারণ সে মনে করে বিরক্ত করছে। বিরক্ত হয়েছি এ ভাব না দেখালে সে অনেকটা হালকা অনুভব করে এবং তাই খুশি থাকে। ভাল ক্লায়েন্ট হলে অইটুকু কাজের সাধারন ভেলুর চেয়ে ভালই দাম পাওয়া যায়। যেমন, ২৫০ ডলারের একটা কাজে আমি এক্সট্রা কাজের ভেলু আশা করেছিলাম ৫০ ডলার্। কিন্তু সে ২৭৫ ডলার দিয়ে অবাক করে দিল। মানে মোট ৫২৫ ডলার্।
কোন কিছু করতে বললে এবং সেটা না পারলে পারব বলার চেয়ে “আগে করিনি। পারার সম্ভাবনা কম তবু আমি দেখছি ” বলাই ভাল। তাহলে না পারলেও সমস্যা হয়না আর পারলে বায়ার বেশ ইপ্রেস হয়।
লিখেছেন : Zannat Khan | মূল লেখা
2 টি মন্তব্য:
https://sohojtechone.blogspot.com
http://sohojtechone.blogspot.com
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন