ওডেস্কে কাজ করার ন্যূনতম যোগ্যতা কি ?
- ওডেস্কে মূলত সাধারণ ইংলিশ বলার ও লেখার যোগ্যতা থাকলেই যথেষ্ট। তারপরও ভালোভাবে আয় করতে চাইলে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রোগামিং বা হায়ার লেভেলের জ্ঞান না থাকলেও দু’ধরণের কাজে এপ্লাই করা যায়। এগুলো হলঃ আর্টিকেল রাইটিং এবং ডাটা এন্ট্রি। কিন্তু, এই দুটি কাজে অনেক বিড থাকে। এজন্য কাজ পাওয়া প্রায় দুসাধ্য হয়। এভাবে কাজ করে আপনি অন্তত আপনার মাসের ইন্টারনেটের বিলটুকু তুলতে পারবেন। আর এক্সটা আয় করতে চাইলে একটু খানি কষ্ট করতে হবে। আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেস, হোস্টিং, ডোমেইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিজাইন এই কয়েকটি বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান থাকে তবেই আপনি বড় কাজে হাত দিতে পারবেন। সাথে ওডেস্কের পরীক্ষাগুলোতেও একটু ভালো ফলাফল করতে হবে। আপনি আপনাদের ভালো ফলাফল করার সহজ উপায় শিখিয়ে দিব।
বিভিন্ন কাজে পারিশ্রমিকের হার কেমন ?
- অবশ্যই যত বড় এবং কষ্টের কাজ তত আয় বেশি। আর যত ছোট কাজ, ততই কম। এক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইন, প্রোগামিং এর মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরিতে আয় সবচেয়ে বেশি। তারপর হচ্ছে ওয়েব সাইট বিল্ডিং অর্থাৎ, ওয়ার্ডপ্রেস, থিসিস ডিজাইন, টেমপ্লেট কাস্টোমাইজেশন ইত্যাদি। তুলনামূলকভাবে কম আয়ের কাজ হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং এবং ডাটা এন্ট্রি। আপনার যদি ফেসবুক, টুইটার সম্পর্কে অধিক জ্ঞান থাকে তবেও ভালো আয় করা সম্ভব। ফেসবুক সংক্রান্ত বেশিরভাগ কাজ থাকে ফ্যানপেজে লাইক দেয়া। তাই, যদি এই লাইনে ভালো হাত থাকে, তবেও খারাপ না। তবে, এখানে বলতে গেলে ১০ ডলারের নিচে কোনো কাজই নেই (ফিক্সড প্রাইসের ক্ষেত্রে)।
এখানে কাজ করলে ওডেস্কের কোনো চার্জ আছে ?
- হ্যাঁ, এখানে কাজ করলে ওডেস্ক ১১% চার্জ কাটবে। কিন্তু, হিসাবটা একটু অন্য রকম। যেমন, আপনি যদি কোনো কাজে (ফিক্সড প্রাইসের ক্ষেত্রে) ৫ ডলার চান, তবে বায়ার ওডেস্ককে পরিশোধ করবে ৫ X ১১১% = ৫.৫৫ ডলার। এখানে, ১১১% লিখলাম, কারণ, বায়ার আপনার ৫ ডলার তো পরিশোধ করবেই (১০০%) সাথে আবার ১১% চার্জ পরিশোধ করবে। ফলে, ওডেস্ক পাবে ০.৫৫ ডলার, আর আপনি পাবেন ৫ ডলার।
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন