রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১২

ফ্রীল্যান্সিং এর পথে – ওডেস্ক টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১

 
আমরা অনেকেই অনলাইন আর্নিং এর সাথে জড়িত। কিন্তু, সফলভাবে কতজন কাজ করতে পারছি? এই হাতে-গুনে ৫-৬ জন। তো, চলুন না সত্যিকারের কিছু শিখে আয় করি! আজ থেকে শুরু করলাম ওডেস্ক নিয়ে আমার চেইন টিউন। আশা করি, আপনারা সাথেই থাকবেন।
ওডেস্ক কি ?
  • ওডেস্ক একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। অনলাইন মার্কেটপ্লেস আবার কি? এরকম প্রশ্ন আসতে পারে মনে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এমন একটি মার্কেট যেখানে নির্দিষ্ট কাজের জন্য যোগ্য লোক খুঁজে নিয়োগ দেয়া হয়।

এটা কিভাবে কাজ করে ?
  • এখানে, এমপ্লয়ার (বায়ার) এবং কন্ট্রাক্টর (ওয়ার্কার) নামে দুটি টার্ম আছে। এমপ্লয়ার তার কাজ, কাজের প্রকৃতি, ধরণ, সময়কাল, তার নিজস্ব মতামত দিয়ে কাজের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। আর একজন কন্ট্রাক্টর যদি নিজেকে যোগ্য মনে করেন সেই কাজের জন্য তবে তার পারিশ্রমিকসহ এমপ্লয়ার বরাবর এপ্লিকেশন (কভার লেটার) করেন।

কি কি ধরণের কাজ এখানে পাওয়া যায় ?
  • বাসায় বসে দূরবর্তী কাউকে করে দেয়া যায়, এখানে সেই ধরণের কাজই থাকে সাধারণত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (যেমন, ওয়ার্ডপ্রেস, সি.এস.এস, পি.এইচ.পি, এইচ.টি.এম.এল, জুমলা ইত্যাদি)
১. ওয়েব ডিজাইন (যেমন, ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন, থিসিস ডিজাইন, ওয়েবপেজ ডিজাইন ইত্যাদি)
২. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (যেমন, ডেস্কটপ এপ্লিকেশন, মোবাইল এপস ইত্যাদি তৈরি)
৩. ব্লগ রাইটিং/আর্টিকেল রাইটিং (যেমন, কোনো ব্লগের জন্য পোস্ট, রিভিউ রাইটিং ইত্যাদি)
৪. ডাটা এন্ট্রি (যেমন, পিডিফ থেকে এক্সেল শিট সম্পাদন, ক্যাপচা এন্ট্রি ইত্যাদি)
৫. গ্রাফিক্স ডিজাইন (যেমন, এডোব ইলাস্ট্রেটর, ফটোশপ ইত্যাদি)
৬. কাস্টমার সাপোর্ট (যেমন, ইমেইল রেসপন্স, কল রেসপন্স ইত্যাদি)
৭. সেলস মার্কেটিং (যেমন, এস.ই.ও, মার্কেট রিসার্চ ইত্যাদি)

আর বলতে পারলাম না। বাকিগুলো নিচের ছবিটি দেখে বুঝে নিনঃ


কাজের কি কোনো প্রকারভেদ আছে ?
  • হ্যাঁ, এখানে ২ ধরণের কাজ পাওয়া যায়ঃ

১. নির্ধারিত মূল্য (ফিক্সড প্রাইস) : নির্ধারিত মূল্যের কাজে বায়ার যেভাবে বলবে আপনি সেভাবে কাজ সম্পন্ন করে দেবেন । কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে এপ্লিকেশন করার সময় যে টাকায় কাজটি করার জন্য প্রস্তাব করেছিলেন সেই পরিমাণ টাকা বায়ার আপনাকে পে করতে বাধ্য থাকবে।
২. ঘন্টায় পারিশ্রমিক (আওয়ারলি) : আর আওয়ারলি কাজে আপনি একটি নির্দিষ্ট মূল্যে (ঘন্টা প্রতি) সময়কাল উল্লেখ করে এপ্লাই করবেন। ফলে, যত ঘন্টা কাজ করবেন, তত ঘন্টার জন্য সেই পরিমাণ টাকা বায়ার পে করতে বাধ্য থাকবে (সঠিকভাবে কাজ হওয়ার শর্তে)।


কোন ধরণের কাজ বেশি ভালো ?
  • ওডেস্কে ফিক্সড প্রাইসের কাজের চেয়ে আওয়ারলি ভালো। এটা এজন্যই যে, ফিক্সড প্রাইস কাজে বায়ার আপনার টাকা মেরে দিতে পারে। কিন্তু, আওয়ারলি তে এটা সম্ভব না।

সবসময় এপ্লাই করে কাজ নিতে হবে ?
  • হ্যাঁ, আপনাকে সবসময় কাজের জন্য এপ্লাই করতে হবে। এপ্লাই করার সময় বায়ার বরাবর একটি পত্র পাঠাতে হয় যা কভার লেটার নামে পরিচিত। এটি কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপুর্ণ।

কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে বায়ার কোন বিষয়গুলোতে নজর দেন ?
অবশ্যই, সর্বপ্রথম আপনার প্রোফাইল দেখবেন। তারপর আপনার কভার লেটার দেখে আপনার ইংলিশে কথা বলার দক্ষতা নিরূপণ করবেন। তারপর, আসবে আপনার পোর্টফলিও। এটি হচ্ছে আপনার অতীতের এ ধরণের কাজের বিবরণ। এটি আপনার প্রোফাইলেই দেয়া থাকবে। সব শেষে আসবে, আপনার টেস্ট গুলোর ফলাফল। ওডেস্কে কাজ করতে টেস্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: 

0 টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | Best Buy Coupons