সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা
জানিয়ে আজকে ফ্রীলান্সিং নিয়ে আমার ৪র্থ টিউটোরিয়াল শুরু করতে যাচ্ছি।
আজকের টিউটোরিয়ালটির মূল বিষয় “অতি দ্রুত কিভাবে প্রোজেক্ট জয়লাভ করতে
পারবেন”। যদিও একজন নতুন ফ্রীলান্সার হিসাবে এটা পাওয়া অনেকটা কঠিন কাজ
কিন্তু তার পরেও বলবো আপনিও পেতে পারেন। আমার দীর্ঘ ৩(তিন) বছরের
ফ্রীলান্সিং ক্যারিয়ারে এতো দ্রুত প্রোজেক্ট জয় লাভ করেছি গত ৬-৭ দিন আগে।
তো চলুন কিভাবে আপনিও পেতে পারেন তা দেখে নিন…
আগে দেখি ফ্রীলান্সিং এর যেকোন সাইট থেকে দ্রুত কাজ পাবার প্রথম শর্ত গুলো হচ্ছে –
ক. প্রোজেক্ট বিড করার পূর্বে ভালমত পড়ুন ও
বুঝে নিন। কাজটি যদি আপনি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন বলে মনে করেন তবে
বিড করুন।কোথাও না বুঝলে বিড এর সাথে বায়ার-কে পিএম দিন। তবে হ্যা অতিরিক্ত
কথা পিএম-এ লিখবেন না।
খ. বিড করার সময় স্পেলিং ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
গ. যদিও বায়াররা পূর্ববর্তী কাজের নমুনা দেখতে চায় প্রায় প্রতিটি প্রোজেক্ট-এ, কিন্তু আপনি যদি নতুন ফ্রীল্যান্সার হয়ে থাকেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সুন্দর এবং আকর্ষনীয় কথার দ্বারা বায়ারকে বুঝাতে হবে।
ঘ. কয়েকটি প্রোজেক্ট এর কাজ না পাওয়া পর্যন্ত বেশি ডলারের প্রোজেক্ট এ বিড না করাই ভাল।
ঙ. আস্তে আস্তে কাজ সম্পর্কিত কিছু Sample তৈরি করে রাখুন এবং পরবর্তী প্রোজেক্ট বিড করার সময় তা এটাচ করে দিন।
চ. বায়ারের সাথে সব সময় আন্তরিকতা বজায় রাখুন এবং প্রোজেক্ট এ বায়ারের রিকোয়্যারমেন্ট দ্রুত বোঝার চেষ্টা করুন।
ছ. আপনার দক্ষতা(Expertise), নৈপূন্যতা(Skill), দৃষ্টি(vision) ইত্যাদি smartly সুন্দরভাবে দিয়ে প্রোফাইল সাজিয়ে তুলুন। প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলুন।।
জ. ফ্রীল্যান্সিং এ কাজ পাওয়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়ারের সাথে ইংরেজিতে চ্যাট করতে হয়। চ্যাটিং এর সময় কমপক্ষে বায়ারের ম্যাসেজ বোঝা এবং আপনার ম্যাসেজটি যেন বায়ার বুঝতে পারে, এরকম ইংরেজিতে চ্যাটিং এর নুন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে অভিধান(ডিকশনারী) সঙ্গে নিয়ে রাখুন। যদি বাযারের কোন কথা বুঝতে না পারেন তো অভিধান দেখুন।
ঝ. Facebook, Gtalk, Yahoo Messenger, Skype প্রায় সবগুলোর ব্যবহার ভালমত জানুন।
ঞ. সর্বপরি কমিটমেন্ট অনুযায়ী বায়ারের সব কাজ করবেন। কোন প্রকার ছলচাতুরী কিংবা ধোকা দেয়ার মত কাজ করে হয়তোবা দু্ই-একটা কাজ চালাতেও পারবেন তবে, একবার ধরা পরলে সব শেষ।
খ. বিড করার সময় স্পেলিং ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
গ. যদিও বায়াররা পূর্ববর্তী কাজের নমুনা দেখতে চায় প্রায় প্রতিটি প্রোজেক্ট-এ, কিন্তু আপনি যদি নতুন ফ্রীল্যান্সার হয়ে থাকেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সুন্দর এবং আকর্ষনীয় কথার দ্বারা বায়ারকে বুঝাতে হবে।
ঘ. কয়েকটি প্রোজেক্ট এর কাজ না পাওয়া পর্যন্ত বেশি ডলারের প্রোজেক্ট এ বিড না করাই ভাল।
ঙ. আস্তে আস্তে কাজ সম্পর্কিত কিছু Sample তৈরি করে রাখুন এবং পরবর্তী প্রোজেক্ট বিড করার সময় তা এটাচ করে দিন।
চ. বায়ারের সাথে সব সময় আন্তরিকতা বজায় রাখুন এবং প্রোজেক্ট এ বায়ারের রিকোয়্যারমেন্ট দ্রুত বোঝার চেষ্টা করুন।
ছ. আপনার দক্ষতা(Expertise), নৈপূন্যতা(Skill), দৃষ্টি(vision) ইত্যাদি smartly সুন্দরভাবে দিয়ে প্রোফাইল সাজিয়ে তুলুন। প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞদের সাথে কথা বলুন।।
জ. ফ্রীল্যান্সিং এ কাজ পাওয়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়ারের সাথে ইংরেজিতে চ্যাট করতে হয়। চ্যাটিং এর সময় কমপক্ষে বায়ারের ম্যাসেজ বোঝা এবং আপনার ম্যাসেজটি যেন বায়ার বুঝতে পারে, এরকম ইংরেজিতে চ্যাটিং এর নুন্যতম যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে অভিধান(ডিকশনারী) সঙ্গে নিয়ে রাখুন। যদি বাযারের কোন কথা বুঝতে না পারেন তো অভিধান দেখুন।
ঝ. Facebook, Gtalk, Yahoo Messenger, Skype প্রায় সবগুলোর ব্যবহার ভালমত জানুন।
ঞ. সর্বপরি কমিটমেন্ট অনুযায়ী বায়ারের সব কাজ করবেন। কোন প্রকার ছলচাতুরী কিংবা ধোকা দেয়ার মত কাজ করে হয়তোবা দু্ই-একটা কাজ চালাতেও পারবেন তবে, একবার ধরা পরলে সব শেষ।
এবার আসি আমার কথায়, সম্প্রতি আমি ফেসবুক
ফ্যান পেজ প্রোমোশন এর একটি প্রোজেক্ট এ বিড করেছিলাম। ভাবতেও পারিনাই ২
দিনের মথ্যে প্রোজেক্টটি জয়লাভ করবো।
যেখানে প্রোজেক্টটির শেষ তারিখ ছিল আরো ১৫ দিন পিছনে। আমার চাইতেও অনেক
বেশি রিভিউ প্রাপ্ত ক্লাইন্টরাও প্রোজেক্টটিতে বিড করেছিলেন।
যাক, ফ্যান পেজ নিয়ে আমার পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতাই আমাকে প্রোজেক্টটি পাইয়ে
দিতে সমর্থ হয়েছে। এখন দেখুন, প্রোজেক্টটিতে বিড করা থেকে শুরু করে
প্রোজেক্টটির কাজ নেয়া পর্যন্ত আমার এবং বায়ারের মধ্যে যেভাবে তথ্য আদান
প্রদান হয়েছিল। আশা করি কিছুটা হলেও আপনাদের কাজে আসবে। দেখুন….
১. চিত্র: আমার বিড এর পিএম ম্যাসেজ, সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা স্বরূপ পূর্ববতী কাজের লিঙ্ক।
২. চিত্র: বায়ারের রিপ্লে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত কোন বায়ার আমার বিডের প্রশংসা করে।
৩. চিত্র: বায়ারের প্রশ্ন মত আমার প্রতি-উত্তর।
৪. চিত্র : বায়ার আমার কাজে জানতে চায়যে, আমি প্রোজেক্টটি কত দিনের মধ্যে শেষ করতে পারবো।
৫. চিত্র : আমি যে পেজটি প্রোমেশনের কাজ করবো, সেটির এ্যাডমিন একসেস আমার দরকার কি-না তা বায়ার জানতে চাইছেন।
৬. চিত্র: আমার উত্তর।
৭. চিত্র: বায়ার আমাকে যে ফ্যান পেজগুলো
দিবেন, সেগুলো ছাড়াও বা তার পরিবর্তে অন্য কোন নির্দিষ্ট দেশের ফ্যান এ্যাড
করে দিতে পারবো কি না তা জিজ্ঞাসা করেছেন।
৮. চিত্র : আমার জবাব।
৯. চিত্র : সব কথা শেষে বায়ার আমাকে তার স্কাইফ আইডি দিলেন তাকে এ্যাড করার জন্য। গোপনীয়তা রক্ষার্থে বায়ার আইডি অপ্রকাশিত রাখা হল।
১০. চিত্র: তারপর আমিও আমার আইডি দিলাম।
১১. চিত্র: এবারে বায়ার আমাকে আমার নামটি দিতে বললেন, যেটিকে ফ্যান পেজ এর এ্যাডমিন করে দিবেন।
১২. চিত্র: আমি আমার কাঙ্খিত নামটি বায়ারকে দিলাম। এখানেও গোপনীয়তা রক্ষার্থে নামটি অপ্রকাশিত রাখা হল।
উপরের প্রতিটি চিত্রগুলো লক্ষ করুন
অত্যান্ত যত্নসহকারে। দেখুন, একটি কাজের জন্য বায়ার আপনাকে অনেক ধরনের
প্রশ্ন করতে পারেন। আবার একটির সাথে আরো অনেক কাজের অফারও দিতে পারেন।
আপনার উচিৎ হবে প্রথম যে, প্রোজেক্টটির জন্য বিড জয়লাভ করেছেন সেটি আগে শেষ
করা। অবশ্য আপনার যদি লোকবল মানে টিম তাকে কাজ করার মত তবে বায়ারের অফার
গ্রহন করতে পারেন। তবে হ্যা, কাজ শুরুর আগে অবশ্যই মাইলস্টেন পেমেন্ট
কনফার্ম করে নিবেন।
লিখেছেনঃ আরিফুল ইসলাম (শাওন) মূল লেখা
0 টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন